পোশাক দীর্ঘদিন ব্যবহার করার পন্থা

সুতির পোশাক খেপে গেলেও ঠিক করা যায়।

লাইফস্টাইল ডেস্ক
Published : 27 Sept 2022, 01:30 PM
Updated : 27 Sept 2022, 01:30 PM

ভালো মানের পোশাক কিনলে সেগুলো যেমন টেকসই হয় তেমনি মেরামত করার উপায়ও থাকে।

নতুন পোশাক কেনা ও পরার মাঝে অন্যরকম একটা তৃপ্তি আছে। আর কিছু প্রিয় পোশাক থাকে যা পুরানো হলেও বারবার পরতে ইচ্ছে হয়। যেন ওই পোশাকেই আরাম বেশি।

আবার শীতের পোশাক যা সারা বছরে হয়ত দুই মাস পরা হয়, সেগুলো প্রতিবছর নতুন কেনাও অপচয়।

এজন্য প্রথমেই উচিত ভালোমানের পোশাক কেনা। নষ্ট হলে নতুন কিনব এই ধারণা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে পোশাক কিনতে হবে।

আর ভালোমানের পোশাক যখন কিনবেন তখন তাতে সামান্য কোনো সমস্যা দেখা দিলেও সেটা মেরামত করে ব্যবহার করা সম্ভব হবে।

পুরানো পোশাক মেরামতের এমন কিছু কৌশল জানা থাকা ভালো।

আয়রন-অন প্যাচ: যুক্তরাষ্ট্রের একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান ‘রিমেইড ইন ব্রুকলিন’, যারা বিভিন্ন পুরানো জিনিসকে আবার ব্যবহারযোগ্য করে তোলে।

এই প্রতিষ্ঠানের কর্মী অ্যাড্রিয়ান বুথ ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “জিন্স কাপড়ের যে কোনো পোশাকের ছেঁড়া অংশে স্টাইলের বদলে দিতে পারে ‘আয়রন-অন প্যাচ’। এর জন্য সুঁই-সুতার কাজ না জানলেও কোনো সমস্যা নেই।”

মনে রাখতে হবে, প্যাচ’টি যাতে ছেড়া অংশের চাইতে বড় আকারের হয়। ছেঁড়া অংশটিতে ‘প্যাচ’ বসিয়ে বিপরীত দিক থেকে গরম ইস্ত্রির দিয়ে চাপ দিতে হবে।

জিন্স কম ধোয়া: পরনের কাপড় একদিন পরেই পরিষ্কার করে ফেলা যেখানে পরিচ্ছন্নতার পরিচায়ক সেখানে জিন্সের প্যান্ট অনেক না ধুয়ে পরাকে নোংরা মনে হওয়াই স্বাভাবিক।

তবে এতে কোনো সমস্যা নেই। তিন থেকে চারবার পরার পর একবার জিন্স পরিষ্কার করাটা একেবারে নিরাপদ। বরং যত বেশি জিন্স ধোয়া হবে তা ততই দ্রুত নষ্ট হয়।

সাদা জুতা পরিষ্কার করতে বাসন ধোয়ার সাবান: যুক্তরাষ্ট্রের ‘মায়েভ মেথড’য়ের প্রতিষ্ঠাতা মায়েভ রিচমন্ড বলেন, “সাদা জুতা থেকে কঠিন দাগ তুলতে সবচাইতে উপযোগী হল বাসন পরিষ্কার করার সাবান। এতে থাকা ‘ডিটারজেন্ট’ থেকে যে ফেনা তৈরি হয় তা দাগ তোলার জন্য খুবই কার্যকর।”

এক কাপ পানিতে এক চা-চামচ পরিমাণ বাসন ধোয়ার তরল সাবান নিয়ে তা ভালোভাবে গুলিয়ে নিতে হবে। একটা তাতে ভেজানো কাপড় বা ব্রাশ দিতে জুতা পরিষ্কার করতে হবে।

সাদা রংয়ের পোশাকে ‘টাই-ডাই’: পুরানো সাদা রংয়ের যে কোনো পোশাককে নতুন রং দিতে পারে ‘টাই-ডাই’। নানা ধরনের রং আনা যায় এই পদ্ধতিতে।

খেপে যাওয়া কাপড় স্বাভাবিক করতে: ধোয়ার পর পোশাক খেপে যাওয়াটা বেশ বিরক্তিকর। তবে এটাও মেরামত সম্ভব।

সুতি কাপড়ের এই সমস্যা দূর করা সবচাইতে সহজ।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘অক্সিক্লিন’য়ের প্রতিষ্ঠাতা ম্যাক্স অ্যাপল বলেন, “এক বালতি কুসুম গরম পানিতে এক টেবিল-চামচ ‘ফেব্রিক সফ্টেনার’, ডিটারজেন্ট কিংবা শ্যাম্পু মিশিয়ে নিন। এবার তাতে ছোট হয়ে যাওয়া পোশাকটি আধা ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখতে হবে। এরপর পোশাকটি আলতোভাবে টেনে টেনে প্রসারিত করতে হবে। পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।”

উঠে যাওয়া সুতা বা ববলিন ওঠাতে: সোয়েটারে সবচাইতে বেশি হয়। তবে শার্ট, পোলা টি শার্ট, প্যান্ট ইত্যাদিতেও এই সমস্যা দেখা দেয়।

এজন্য ‘সোয়েটার শেভার’ কিনে নিতে পারেন। আবার দাড়ি গোঁফ কাটার রেজার দিয়েও কাজটি করা যায়। তবে এক্ষেত্রে হাত দক্ষ হতে হবে।

আরও পড়ুন