ঘামে ভেজা কাপড় শুকালে দাগ দেখা দেয়, হয় দুর্গন্ধ। এজন্য চাই বাড়তি যত্ন।
Published : 25 Apr 2024, 11:57 AM
তীব্র গরমের কারণে পরার সাথে সাথেই কাপড় ঘামে ভিজে যায়।
বাসায় থাকলে কিছুটা রক্ষা পাওয়া গেলেও যারা সারাদিনের জন্য বাইরে থাকেন তাদের জন্য এটা বেশ অস্বস্তিকর।
বাসায় ফিরে নিজেরা ঠিকঠাক গোসল করে আরাম পেলেও, বঞ্চিত হয় ঘামে ভেজা কাপড়। যেটা শুকালে পড়ে দাগ, দেখা দেয় দুর্গন্ধ।
গরমে পোশাকের যত্ন প্রসঙ্গে বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের ‘বস্ত্র পরিচ্ছদ ও বয়নশিল্প’ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহ্মিনা রহমান বলেন, “ঘামের কারণে শরীর থেকে বের হয়ে আসা লবণ শুকিয়ে দাগ সৃষ্টি করে। এতে কাপড়ের রংয়ের ক্ষতি হয়। হালকা রংয়ের কাপড়ে দেখা দেয় তিলা।”
আলসেমি না করে, যত্রতত্র ঘামে ভেজা কাপড় ফেলে না রেখে বরং সঠিক পদক্ষেপ নিলে কাপড় দীর্ঘদিন ভালো থাকে।
ঘামে ভেজা কাপড়ের যত্ন
বাইরে থেকে এসে কাপড় খোলা বাতাসে মেলে দিতে হবে। মোট কথা, কাপড় ভেজা রাখা যাবে না।
দাগ ও ঘাম স্থায়ী করতে না চাইলে ঘামের কাপড় ধুয়ে দিতে হবে। সাবান বা ডিটারজেন্ট ঘন ঘন ব্যবহার করতে না চাইলে সাধারণ পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
প্রতিদিন একই কাপড় ব্যবহার করা করা ঠিক নয়। অন্তত একদিন অন্তর অন্তর পরা উচিত।
ইস্ত্রি করার সাথে সাথেই কাপড় না পরে বরং কিছুক্ষণ বাতাসে মেলে রেখে পরতে হবে। নয়তো কাপড়ের তন্তু উষ্ণ থাকায় ঘাম বেশি হবে।
রোদে কাপড় শুকানোর সময় উল্টো করে দেওয়া উচিত, এতে কাপড়ের রং নষ্ট হবে না।
ঘাম বেশি হয় এমন পোশাক তীব্র গরমে না পরাই ভালো।
বাতাস চলাচল করে এমন তন্তু যেমন- সুতি, লিনেন, রেশম, ডেক্রন ইত্যাদি তৈরির পোশাক ব্যবহার করা উপকারী।
ঘামে ভেজা অন্তর্বাস কোনোভাবেই একাধিক দিন ব্যহার করা যাবে না। প্রতিদিনেরটা প্রতিদিন ধুয়ে ব্যবহার করতে হবে।
গরমে অন্তর্বাসের তন্তুর প্রতিও মনোযোগী হওয়ায় পরামর্শ দেন এই অধ্যাপক।
তিনি বলেন, “পাতলা সুতি বা গেঞ্জির কাপড়ের তৈরি অন্তর্বাস নারী পুরুষ সবার জন্যই উপকারী। এতে ঘামের পরিমাণ কিছুটা কমে, ত্বকে র্যাশ, চুলকানি বা ফুসকুড়ি হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পায়।”
আরও পড়ুন