এক ঘর থেকে অন্য ঘরে যাওয়ার অংশতে রংয়ের ভিন্নতায় ফুটবে প্রাণোচ্ছল আভা।
Published : 25 Mar 2025, 02:34 PM
যে কোনো উৎসব ঘিরে ঘরের প্রতিটি কোণ নতুন রূপে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়।
তবে বেশিরভাগ সময় করিডোর বা এক ঘর থেকে অন্য ঘরে যাওয়ার জায়গাটুকু নিয়ে তেমন একটা ভাবনা চিন্তা করা হয় না।
বাসার অন্যান্য অংশের তুলনায় করিডোরকে হয়ত কম গুরুত্ব দেওয়া হয়। অথচ এই অংশই ঘরের প্রথম ছাপ তৈরি করে, অতিথিদের স্বাগত জানায় এবং ঘরের বিভিন্ন অংশের সাথেও সংযোগ ঘটায়।
সঠিক রং নির্বাচন করলে করিডোর হতে পারে উজ্জ্বল, আকর্ষণীয় এবং আরামদায়ক। বিশ্বের বেশ কয়েজন নামকরা গৃ্হসজ্জাবিদরা করিডোরের জন্য কিছু নির্দিষ্ট রং আদর্শ বলে মনে করেন।
ট্যামারিন্ড – মাটির উষ্ণ ছোঁয়া
এই রংটি উষ্ণ মাটির ছোঁয়া দেয়, যা করিডোরের স্থাপত্যশৈলীর সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক রংয়ের প্রতিষ্ঠান ‘ফ্রেশ কোট পেইন্টার্স’য়ের সভাপতি লিসা হাডসন বলেন, “এই রং করিডোরের ছাদ, দেয়াল ও দরজার কাঠামোকে সূক্ষ্মভাবে উজ্জ্বল করবে।”
বাংলাদেশে যেহেতু অনেক বাসাতেই কাঠ ও ধাতব কাজ থাকে, তাই এই ধরনের উষ্ণতাপূর্ণ রং সহজেই মানিয়ে যাবে।
টিউডর ক্রিম – আলো প্রতিফলনের জাদু
করিডোর যদি ছোট হয় বা কম আলো প্রবেশ করে, তবে হালকা রং বেছে নেওয়া উচিত। এটি এমনই একটি রং, যা আলো প্রতিফলিত করে জায়গাটিকে উজ্জ্বল দেখাতে সাহায্য করে।
লিসা হাডসন বলেন, “এই পিচক্রিম রং করিডোরে আলোর প্রবাহ বাড়ায়।”
ঈদের মতো উজ্জ্বল উৎসবে ঘরকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলতে এই রং আদর্শ।
আর্বান ব্রোঞ্জ – আধুনিকতার গাঢ় ছোঁয়া
আধুনিক ও গাঢ় ভাব আনতে চাইলে এই রং হতে পারে আদর্শ।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘বিকেসি কিচেন অ্যান্ড বাথ’য়ের অন্দরসজ্জাকর জেনিফার রজার্স বলেন, “এটি গভীর বাদামি-ধূসর রং- যা কাঠ, ধাতু ও পাথরের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে। এতে করিডোর আরও সংযত ও নান্দনিক লাগে।”
শ্যাডো হোয়াইট – পরিশীলিত অফ-হোয়াইট
ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্টের করিডোরকে উজ্জ্বল রাখতে চাইলে এই রং একেবারেই যথাযথ।
রজার্স বলেন, “এটি এমন একটি অফ-হোয়াইট, যা শীতলতার পরিবর্তে উষ্ণতা যোগ করে। ফলে করিডোর প্রাণহীন লাগে না, বরং স্বাগতপূর্ণ হয়ে ওঠে।”
ক্লাসিক গ্রে – স্নিগ্ধ ও নরম রং
করিডোরের রং ঘরের অন্য রংয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া জরুরি। এজন্য এটি একটি দারুণ বিকল্প।
রজার্স বলেন, “এই সূক্ষ্ম ধূসরের কাছাকাছি বর্ণটি প্রায় সব ঘরের রংয়ের সঙ্গে সহজেই মিশে যায়।”
বিশেষ করে যদি ঘরে মেহগনি বা শিমুল কাঠের আসবাব থাকে, তবে এই রং হবে দুর্দান্ত।
সিলভার স্ট্র্যান্ড – ঠাণ্ডা ও পরিশীলিত ছোঁয়া
একটু শীতল ও সতেজ ভাব চাইলে এই রং বেছে নেওয়া যায়।
লিসা হাডসন বলেন, “এটি হালকা ধূসর, যাতে সবুজ ও নীলের সূক্ষ্ম আভা রয়েছে। ফলে এটি করিডোরে প্রশান্তি যোগ করে।”
ফ্রেঞ্চ গ্রে – ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিকতার মিশ্রণ
চিরায়ত ও আধুনিকতার মিশ্রণ চাইলে বেছে নেওয়া যায় এই রং। এই ধূসরের সাথে নীল ও লালের মিশ্রণ আছে।
রজার্স বলেন, “এটি আধুনিক এবং ঐতিহ্যবাহী ঘর- দুইয়ের সাথেই মানিয়ে যায়।”
চার্লসটন গ্রিন – গাঢ় কিন্তু উষ্ণ
যদি একটু গাঢ় রংয়ের সাথে নিরীক্ষা করার ইচ্ছা তবে ‘চার্লসটন গ্রিন’ একটি চমৎকার বিকল্প।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘হাউজ অব এল’য়ের নকশাকর লিবি পালমিয়েরি বলেন, “এই রং করিডোরে নাটকীয়তা ও উষ্ণতা আনে এবং একঘেয়েমি দূর করে।”
গাঢ় টিয়ল
করিডোর যদি দীর্ঘ হয় তবে এই রং ভালো লাগবে।
লিসা হাডসন বলেন, “গাঢ় টিয়ল করিডোরে উৎসবের প্রাণ যোগ করে এবং বিশেষ বিন্দুতে দৃষ্টি আটকে রাখতে পারে।
আরও পড়ুন