দেহ গড়তে যেমন নিয়মিত ব্যায়াম প্রয়োজন তেমনি ভালোবোধের জন্য চাই আনন্দের রুটিনে অভ্যস্ত হওয়া।
Published : 02 May 2024, 05:32 PM
শেষ কবে ছুটি কাটিয়েছেন? কিংবা ভালো একটা সময় কেটেছে বন্ধু বা সঙ্গীর সাথে। আর সেসব ভেবে মন উদাস হচ্ছে। ভাবছেন প্রতিদিন কেনো দিন এত ভালো যায় না।
দৈনিক জীবনে নানান কারণে মন থেকে হারিয়ে যায় আনন্দভাব। তবে নিত্যচর্চায় ও অভ্যাস গড়তে পারলে প্রতিদিন মনকে আনন্দদান করা যায়।
এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো ইউনিভার্সিটি’র ‘সেক্সোলজিস্ট’ রেবেকা আলভারেজ স্টোরি বলেন, “প্রতিদিনের ছোট ছোট বিষয় ধরে আনন্দ পাওয়ার বিষয়টাকে গুরুত্ব দিতে হবে। হতে পারে সেটা গান শোনা, কফি পান এমনকি স্বমেহন।”
ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “কোনো কার্যক্রমকে গুরুত্ব দিয়ে সেটা থেকে আনন্দ নেওয়ার অভিজ্ঞতাকে রুটিনে আবদ্ধ করা যায়। আর এভাবে ব্যস্ত সময়ের মাঝেও নিজের সুখী করা সম্ভব হয়।”
আর সেজন্য কয়েকটি বিষয়ে জোর দেন তিনি।
নিজের আনন্দের বিষয়টা চিহ্নিত করা
কীভাবে আনন্দ পেতে পছন্দ করেন সেটা আগে নিজে বুঝতে হবে করতে হবে। সেজন্য কয়েকটি কাজ করা যেতে পারে। যেমন- বই পড়া, পার্কে হাঁটতে যাওয়া, রান্না করা, বা কোনো শখ পূরণ করা, এমনকি প্রিয় মানুষদের সাথে সময় কাটানো।
এরকম কাজগুলো থেকে আপনা-আপনি আনন্দ আসছে কোনটা থেকে সেটা চিহ্নিত করে, প্রতিদিনের চর্চায় নিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে।
প্রতিদিন আনন্দ সংযুক্ত করা
স্টোরি’র মতে, প্রতিদিন অন্তত এক ঘণ্টা আনন্দ পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আর সেই সময়ে অন্য কিছু নিয়ে ভাবা যাবে না।
কোনো বিরক্তির পরিস্থিতির মধ্যে ভাবার চেষ্টা করতে হবে- কী করলে ভালো লাগবে! ঘরে নিজের মতো গান শুনতে শুনতে নাচা, কিংবা নতুন কোনো রান্না শেখা।
নিজের সাথেই প্রেম
প্র্রতিদিন আনন্দ পাওয়ার রুটিনে অভ্যস্ত হওয়া ব্যস্ত সময়ে হয়ত সম্ভব হয় না। এজন্য নিজের সাথেই প্রেম করার চেষ্টা করতে হবে- পরামর্শ দেন স্টোরি। সেটা হতে পারে আরামদায়ক কোনো রাত কাটানো, বা নিজের জন্য তৃপ্তিকর কিছু করা।
আনন্দ নিতে হবে মনেপ্রাণে
যে কোনো আনন্দদায়ক অনুভূতি পাওয়ার জন্য বর্তমান সময়টা অনুভব করা গুরুত্বপূর্ণ। হতে পারে সেটা- শারীরিক বা অশারীরিক সুখ।
যেমন- ধ্যান বা ইয়োগা করা। বা মাঝেমধ্যে গভীর শ্বাস নেওয়া ও ছাড়া।
অটল থাকা
নিয়মিত ব্যায়াম করলে যেমন শরীরের পরিবর্তন বোঝা যায়, তেমনি আনন্দ নেওয়ার বিষয়টা প্রতিদিন করলে আত্মস্থ হবে এক সময়। তাই প্রতিনিয়ত আনন্দ পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। সেজন্য ভালোবোধের বিষয়গুলোকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে নিয়মিত করে যেতে হবে।
হতে পারে সেটা- দুপুরে খাবারের বিরতি, মজার কোনো বই পড়া, বেশ সময় নিয়ে গোসল করা ইত্যাদি।
আরও পড়ুন