যে স্পঞ্জ দিয়ে থালা ধোয়া হচ্ছে সেটাই হতে পারে সবচেয়ে নোংরা।
Published : 09 Sep 2024, 04:33 PM
থালাবাসন ধোয়ার স্পঞ্জ, তরকারি কাটার বোর্ড, ছুরি, মোছার কাপড়সহ রান্নাঘরে নানান ধরনের জিনিস ব্যবহার হয়।
এসব জিনিস পরিবর্তন করার প্রয়োজন পড়ে ব্যবহারের ওপর।
তবে মার্কিন খাদ্য-নিরাপত্তা-বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ট্রেভর ক্রেইগ, কিছু জিনিস নিয়মিত পরিবর্তনের পরামর্শ দেন।
স্পঞ্জ
বলা হয়ে থাকে রান্নাঘরের থালাবাসন ধোয়ার বেসিন হল নোংরা এলাকা।
‘ইউএসডি’এস ফুড সেফটি অ্যান্ড ইন্সপেকশন সার্ভিস’য়ের করা গবেষণার বরাত দিয়ে ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়- খাবার তৈরি, কাটাকাটি ও ধোয়ার কাজে ব্যবহৃত রান্নাঘরের সিংক বা বেসিনে সবচেয়ে বেশি জীবণুর সংক্রমণ ঘটে।
আর ধোয়ার কাজে ব্যবহার করা স্পঞ্জে লেগে থাকে তেল, খাবারের অংশ যা এক পর্যায়ে আঠালো হয়ে ব্যাক্টেরিয়ার জন্মানোর আদর্শ স্থানে পরিণত হয়।
তাই সপ্তাহে একবার ধোয়ার স্পঞ্জ পরিবর্তন করার পরামর্শ দেন, যুক্তরাষ্ট্রের ‘মাইক্রোব্যাক ল্যাবরেটরিজ’য়ের পরমর্শক ক্রেইগ।
পরিষ্কারের ব্রাশ
থালাবাসনে লেগে থাকা কিংবা বেসিন ধোয়ার জন্য নানান ধরনের ব্রাশ ব্যবহারের চল রয়েছে।
তবে ক্রেইগ’য়ের মতে, এই ব্রাশও দ্রুত নোংরা হয়।
তিনি বলেন, “স্পঞ্জের মতো ব্রাশও ময়লা হয় জন্মায় ব্যাক্টেরিয়া। আর সেখান থেকে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।”
যদিও ব্রাশের স্থায়িত স্পঞ্জের চাইতে বেশি। তারপরও প্রতি এক মাস অন্তর পরিষ্কারের ব্রাশ পরিবর্তন করা উচিত।
মোছার কাপড়
রান্নার ঘরের বিভিন্ন জায়গা, থালবাটি বা হাত মোছার জন্য যে কাপড় ব্যবহার করা হয়, সেটা প্রতিদিন ধোয়ার পরামর্শ দেন, ক্রেইগ।
তার কথায়, “কাপড় দিয়ে মোছার কাজ করার পর সেটা তো ময়লা হচ্ছে। তাই নিয়মিত পোশাক ধোয়ার মতোই মোছার কাপড় ধুতে হবে।”
কাটাকাটির বোর্ড
এখন অনেকেই তরকারি বা খাবার কাটাকাটি করতে ‘কাটিং বোর্ড’ ব্যবহার করেন।
ক্রেইগ বলেন, “কাটাটির ফলে বোর্ডে দাগ পড়তে থাকে। এই দাগে ময়লা, তেল ইত্যাদি লেগে থাকার পরিমাণ বাড়ে তখন ব্যাক্টেরিয়া জন্মানোর উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়।”
তাই তার পরামর্শ হল, প্রতি ছয় মাস অন্তর কাটিং বোর্ড পরিবর্তন করা উচিত।
ছুরি
রান্নাঘরে সবচেয়ে প্রয়োজন জিনিস। কাটাকাটির জন্য ব্যবহার করা ছুরির ধার শেষ হলে, নতুন করে ধার দিয়ে ব্যবহার করা হয়।
ক্রেইগ বলেন, “তবে ছুরি হাতলে যদি ফাটল দেখা দেয় তখন বুঝতে হবে এর স্থায়িত্ব শেষ হতে চলেছে। হাতল থেকে ছুরি ফলা ক্রমেই আলগা হতে থাকবে। ফলে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। তাছাড়া ফাটলেও জমে ব্যাক্টেরিয়া।”
তাই কাটাকাটির কাজে ব্যবহৃত ছুরি নিয়মিত পরখ করা উচিত। নষ্ট হলেই পরিবর্তন করতে হবে। আর বাজে মানের ছুরি ব্যবহার করলে ছয় মাসের মধ্যে পরিবর্তন করারা পরামর্শ দেন তিনি।
প্লাস্টিকের বোতল বাটি
শুকনা বা বাটা মসলা, রান্না বা কাঁচা খাবার সংরক্ষণ করতে গিয়ে নানান ধরনের প্লাস্টিকের বোতল ও কৌটা ব্যবহার করা হয়। এগুলোর রং এক পর্যায়ে ফ্যাকাশে হয়ে যায়।
ক্রেইগ বলেন, “ফ্যাকাশে রংয়ের সাথে বাজে গন্ধও দেখা দিতে পারে প্লাস্টিকের সামগ্রীতে। এই অবস্থা চোখে পড়া মাত্রই পরিবর্তন করতে হবে।”
কারণ এমন অবস্থায় প্লাস্টিকের কৌটা, বোতল বা বাটিতে ব্যাক্টেরিয়া জন্মানোর পরিবেশ তৈরি হয়। আর খাদ্যদ্রব্য টাটকাও রাখতে পারে না।
এক্ষেত্রে কাচের বাটি বোতল ব্যবহার করা নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব বলে মত দেন এই খাদ্য-নিরাপত্তা-বিশেষজ্ঞ।
আরও পড়ুন
পরিষ্কার করতে যেসব পণ্য কেনার প্রয়োজন নেই