বাড়ি ফিরতে লম্বা পথ যাত্রায় অসুস্থতা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
Published : 10 Apr 2024, 11:39 AM
ঈদের সময় মোটামুটি লম্বা ছুটিতে অনেকেই গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যাবেন। সুস্থ থাকতে সেক্ষেত্রে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তা মেনে চলা প্রয়োজন।
কারণ কোভিড সম্পূর্ণভাবে চলে যায় নিই। যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত তাদের এই বিষয়ে আরও সাবধান থাকতে হবে।
গুলশান ক্লিনিকের মেডিসিন, ডায়াবেটিস ও হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ কামরুল হাসান এই বিষয়ে বলেন, “পরিবারের সকলের সাথে ঈদ করতে অধিকাংশ মানুষই লম্বা পথ যাত্রা করেন। এরফলে অনেকে অসুস্থ হয়ে যান। তাই যাত্রা পথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।”
“গন্ত্যবে পৌঁছে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিলে ঈদের সময় অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়”- পরামর্শ দেন তিনি।
আরও বলেন, “ঈদের দিনেও অনেকে অসুস্থবোধ করে থাকেন। দেখা দিতে পারে- বদহজম, উচ্চ রক্তচাপ বা বমিভাব। এর প্রধান কারণ হল টানা এক মাস রোজা রাখার ফলে শরীর ও পাকস্থলী একটা নিয়মে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। ঈদের দিন হঠাৎ করে অধি-ভোজন বিশেষ করে মিষ্টি ও তেল চর্বি ধরনের খাবার বেশি খাওয়ার ফলে সেসব শোষণে জটিলতা দেখা দেয়। ফলে শরীর হয় অসুস্থ।”
“এক্ষেত্রে আমি সকল সুস্থ মানুষকেই একবারে বেশি ভারী খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দেই। মিষ্টি, দুধের তৈরি খাবার, পোলাও কোরমা, মাংস বা ভাজা- যে খাবারই হোক- সময় নিয়ে অল্প অল্প করে খাওয়া অসুস্থতার ঝুঁকি কমাবে”- বলেন এই স্বাস্থ্যবিদ।
রোজার পর ঈদের দিনে ভর পেট খাওয়া এই ধরনের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে।
তাছাড়া এখন গরমের প্রকোপ বেশ। সেক্ষেত্রে রসালো ফল, শরবত, ঘরে তৈরি লাচ্ছি ইত্যাদি খাওয়া উপকারী।
ঈদের দিন একে অপরের বাসায় বেড়াতে যায়। অতিথি আপ্যায়নের সময় যদি এসব ঠাণ্ডা খাবার পরিবেশন করা হয় তাহলে আরামের পাশাপাশি বেশ সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যবান্ধব হয় বলে মন্তব্য করেন ডা. হাসান।
বাইরের খাবার সব সময় এড়িয়ে চলা উচিত। ঈদের কয়েকটা দিন যেহেতু বাইরে বেশ ঘোরাফেরা করা হয়। তাই এই বিষয়ে আরও সচেতন হতে হবে।
কোভিডের প্রকোপ এখনও রয়ে গেছে। তাই সুস্থ থাকতে অধিক জন-সমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।
“পার্কে বা বেশি লোক সমাগম হয় এমন স্থানে গেলে ব্যক্তিগত সুরক্ষা যেমন- মাস্ক পরা, হ্যান্ড ওয়াশ ও স্যানিটাইজার ইত্যাদি ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন”- বলেন ডা. হাসান।
অনেকেই বাইরে বেড়াতে গেলে গরমে ঠাণ্ডা কোমল পানীয়, আইসক্রিম, গোল্লা, লাচ্ছি ইত্যাদি খেয়ে থাকেন। এগুলো তীব্র গরমে সাময়িক আরাম দিলেও আসলে শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
ঈদে আনন্দ করতে গিয়ে অসুস্থ হওয়া কারও কাম্য নয়। সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের পাশাপাশি যারা দীর্ঘ মেয়াদী রোগ যেমন- ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদিতে ভুগছেন তাদের আরও বেশি সচেতন থাকা প্রয়োজন।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবার ও ওষুধ সঠিক মাত্রায় গ্রহণ করা উচিত।
আরও পড়ুন
যে ৭ খাদ্যাভ্যাসে শরীরের ক্ষয় হয়