বিদ্যুৎ চলে গেলেও ফ্রিজে রাখা খাবার ভালো রাখার পন্থা

বিদ্যুৎ না থাকা অবস্থায় বার বার ফ্রিজের দরজা খুললে ভেতরের তাপমাত্রা দ্রুত গরম হয়ে যায়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Sept 2022, 12:00 PM
Updated : 29 Sept 2022, 12:00 PM

লোডশেডিংয়ের ঝামেলায় ফ্রিজে রাখা খাবার হয়ত নষ্ট হওয়ার শঙ্কা জাগে।

তবে কিছু পন্থা অবলম্বন করলে দীর্ঘ সময়ের জন্য বিদ্যুৎ চলে গেলেও ফ্রিজে রাখা খাবার অনেকক্ষণ ভালো রাখা যায়।

যতক্ষণ সম্ভব ফ্রিজের দরজা না খোলা

বিদুৎ চলে গেলে ফ্রিজ ও রেফ্রিজারেইটরের দরজা যত কম খোলা হবে ততই মঙ্গল।

‘ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ)’র তথ্যানুসারে ইনসাইডার ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিদুৎ চলে গেলে দরজা না খোলা হলে রেফ্রিজারেইটরের ভেতরটা ৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ঠাণ্ডা থাকে।

আর ডিপ ফ্রিজ বা ফ্রিজারের ভেতরটা যদি আধা ভর্তি থাকে তবে ২৪ ঘণ্টা এবং পুরোটা ভর্তি থাকলে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত তাপমাত্রা ঠাণ্ডা থাকে।

তাই বেশি সময়ের জন্য বিদ্যুৎ চলে গেল যতটা সম্ভব বাইরে থাকা খাবার ও সাধারণ ফিল্টার করা পানি পান করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র ব্যবহার

ইউএসডিএ’র সূত্রানুসারে, রেফ্রিজারেইটরের ভেতরের তাপমাত্রা ৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ফ্রিজারের ভেতরের তাপমাত্রা শূন্যের নিচে থাকতে হবে।

অনেক আধুনিক ফ্রিজে তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র থাকে। আর না থাকলে একটা থার্মোমিটার ফ্রিজারের ভেতর রাখা উচিত। যাতে তাপমাত্রা বোঝা যায়। এক্ষেত্রে জ্বর মাপার নয়, ফ্রিজে ব্যবহারের জন্য তৈরি থার্মোমিটার ব্যবহার করতে হবে।

বেশি সময়ের জন্য বিদ্যুৎ চলে গেলে, ফ্রিজার ও ফ্রিজের ভেতরটা গরম হয়ে যাচ্ছে কি-না সেটা বোঝা যাবে থার্মোমিটার দেখে।

অতিরিক্ত বরফ রাখা

ডিপ ফ্রিজ বা ফ্রিজারের সঠিক তাপমাত্রা বেশিক্ষণ বজায় রাখতে আলাদা করে বরফ রাখা একটা ভালো পন্থা। এক্ষেত্রে বোতলে রাখা পানিও বরফ অবস্থায় রাখা যেতে পারে।

একই রকম খাবার একসঙ্গে রাখা

‘ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেইশন (এফডিএ)’ পরামর্শ দেয়, বিছিন্নভাবে না রেখে, বরফ করা একই রকম খাবার পাশাপাশি বা ‘গ্রুপ’ করে রাখলে দীর্ঘ সময়ের জন্য বিদ্যুৎ চলে গেলেও ফ্রিজারের ভেতরটা বেশিক্ষণ ঠাণ্ডা থাকে।

খাবার ডিপে রাখা

রেফ্রিজারেইটরে সাধারণত দুটি অংশ থাকে। একটা সাধারণ ঠাণ্ডা করার জায়গা। আরেকট বরফ করে রাখার জায়গা।

যদি বেশিক্ষণ বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে তবে ‘এফডিএ’ পরামর্শ দেয়, কিছু খাবার ডিপ অংশে তুলে রাখার। এর মধ্যে রয়েছে দুধ, রান্না করা মাংস ও বেচে যাওয়া খাবার।

কম নষ্ট হয় এমন খাবার বেশি রাখা

বৈদ্যুতিক গোলযোগ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দীর্ঘ সময়ের জন্য বিদ্যুৎ চলে যেতে পারে। এক্ষেত্রে বোতল ও টিনজাত খাবার ফ্রিজে রাখার উপকারিতা বেশি।

‘ইউএসডি’য়ের ‘ফুডকিপার অ্যাপ’ থেকে এরকম তথ্য পাওয়া যায়। টিনজাত করা নানান ধরনের সবজি, বীজ ও মটর ধরনের খাবার ফ্রিজারে রাখলে দুই থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত ভালো থাকতে পারে।

আরও পড়ুন

Also Read: খাবার ফ্রিজে রাখার সঠিক পন্থা

Also Read: যে কারণে তরমুজ ফ্রিজে রাখা ঠিক না

Also Read: হিমায়িত মাংস কক্ষ তাপমাত্রায় রাখার ঝুঁকি