খাবার ফ্রিজে রাখার সঠিক পন্থা

রান্না করা খাবার কিংবা মৌসুমি ফল- ফ্রিজে ঠিক মতো না রাখলে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

লাইফস্টাইলডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Oct 2020, 11:40 AM
Updated : 21 Oct 2020, 11:40 AM

ব্যস্ত জীবনে সময় বাঁচাতে অনেকেই বেশি পরিমাণে রান্না করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। আবার মৌসুমি খাবার বেশিদিন টিকিয়ে রাখতেও ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। তবে তা যেন সঠিক উপায়ে হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

জীবনযাপন-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে রেফ্রিজারেইটরে খাবার দীর্ঘদিন রাখার সঠিক উপায় সম্পর্কে জানানো হল।

লেবেল দেখে নেওয়া: খাবার রেফ্রিজারেইটরে সংরক্ষণ করার সময় অবশ্যই এর লেবেল দেখে নিতে হবে। রেফ্রিজারেইটরে কাঁচা ও প্রক্রিয়াজাত খাবার রাখা নিরাপদ। আবার কাঁচা মাংস ও পচনশীল খাবার পুনরায় শীতলকরণ করা নিরাপদ নয়।

তবে অবশ্যই রান্না করার পরে খাবার ঠাণ্ডা করে তা রেফ্রিজারেইটরে রাখা যাবে।

প্রস্তুতিকরণ: যেসব সবজি পরে রান্না করা হবে তা ভালো মতো কেটে রান্নার জন্য প্রস্তুত করে রেফ্রিজারেইটরে রাখতে পারেন। এতে কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। যেমন- ফল, সবজি, রান্না করা মাংস, সস ও মসলা।

রান্নার উপকরণ কাটা অবস্থায় থাকলে তা প্রয়োজনের সময় সহজেই ব্যবহার করা যায়।

তাজা সবজির এনজাইমের কার্যকারিতা বন্ধ করতে তা ফুটন্ত পানিতে সামান্য ভাঁপিয়ে নিন। এরপর তা বরফ ঠাণ্ডা পানিতে ডুবিয়ে রাখুন। ভালো মতো পানি ঝরিয়ে, শুকিয়ে তা প্যাকেট করে রেফ্রজারেইটরে সংরক্ষণ করুন।

তারিখের প্রতি খেয়াল রাখা: রেফ্রিজারেইটরে খাবার রাখা হলে তা দীর্ঘদিন ভালো থাকে। তবে তার মেয়াদ আছে কিনা তা দেখে নেওয়া উচিত।

পুরানো প্যাকেটটা হাতের সামনের দিকে রাখলে খাবার মেয়াদোর্ত্তীণ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। তাই খাবারের প্যাকেটের গায়ে লেবেল লাগিয়ে তাতে তারিখ লিখে রাখা ভালো। এতে নতুন ও পুরান খাবার আলাদা করা সম্ভব।

রেফ্রিজারেটরে রাখা হয়েছে এমন উপকরণগুলো একটা তালিকা করে রাখুন। তাহলে ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে। কোনো খাবার যেন নষ্ট না হয়; সেজন্য মাঝে মধ্যে সব একবার দেখে নিন।

জায়গা বাঁচান: ‘ফ্রোজেন’ খাবার রেফ্রিজারেইটরের অনেক জায়গা নষ্ট করতে পারে। তাই তা এলোমেলোভাবে না রেখে সাজিয়ে রাখুন। এতে ঠিক মতো বাতাস চলাচল করতে পারবে এবং ভেতরের পরিবেশটাও সুন্দর থাকবে।

জায়গা বাঁচাতে খাবারগুলো ‘ফ্রিজার ব্যাগে’ সংরক্ষণ করতে পারেন। এই ধরনের ব্যাগে খাবার রাখা হলে তা একটার উপর আরেকটা রাখা যায়। ফলে জায়গা কম লাগে।

সঠিক বাক্স ব্যবহার: তরল খাবার ঠাণ্ডা হলে আকারে বেড়ে যায়। তাই পাত্র ভরাট করে রাখা হলে তা পরে আকার নষ্ট করে ফেলতে পারে।

কাচের বোতল বা পাত্র এই চাপের কারণে ভেঙে বা ফেটেও যেতে পারে। তাই এসব পাত্র ব্যবহার না করাই ভালো। এক্ষেত্রে প্লাস্টিক বা অ্যালুমিনিয়াম বেশ কাজের।

বিস্কুট, পেস্ট্রি বা ময়দার তৈরি খাবার রেফ্রিজারেইটরে রাখার সময় তা প্লাস্টিকের মোড়কে পেঁচিয়ে রাখুন। এতে খাবারগুলোর গুণগত মান ঠিক থাকবে।

আরও পড়ুন