রান্না করার জন্য ফ্রিজ থেকে মাংস বের করে বাইরে রাখাটা প্রতিটি ঘরের সাধারণ চিত্র। কেউ পানিতে ভিজিয়ে রাখেন, সময় কম থাকলে কুসুম গরম পানি দেন।
কেউ আবার ওভেনে দিয়েও বরফ গলিয়ে নেন। আবার হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকলে রান্নাঘরের কক্ষ তাপমাত্রায় রেখেই বরফ গলিয়ে নেওয়া হয়।
অন্যান্য মাধ্যমগুলোর তুলনায় কক্ষ তাপমাত্রা হিমায়িত মাংস গলানো বেশি নিরাপদ।
তবে কোথায় মাংসটা রাখছেন, আবহাওয়ার তাপমাত্রা কতটুকু তার ওপর নির্ভর করে এই পদ্ধতিতেও ঝুঁকি আছে।
কারণ হিমায়িত যেকোনো খাবার দুই ঘণ্টার বেশি সময় বাইরে কাঁচা অবস্থায় ফেলে রাখলে তাতে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ ও বিস্তার হয় দ্রুত।
পুষ্টিবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, “অপরদিকে আবহাওয়ার তাপমাত্রা যদি ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয় তাহলে খাবারে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি হয়।
কাঁচা মাংস যতক্ষণ হিমায়িত আছে ততক্ষণ নিরাপদ। তবে তা যতই গলবে ততই বাড়তে থাকবে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের সম্ভাবনা।
আর এজন্যই খাদ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন কখনই রান্নাঘরের কোথাও রেখে হিমায়িত মাংস গলানো উচিত নয়। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় দুই ঘণ্টা আর গরমের দিনে মাত্র এক ঘণ্টা বাইরে থাকলেই ওই মাংস ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে ব্যাক্টেরিয়ার কারণে।
মাংসের পাশাপাশি ডিম দিয়ে তৈরি যেকোনো খাবারে একই মাত্রায় ঝুঁকি থাকে।
মাংস গলানো নিরাপদ উপায়
‘দ্য ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ)’য়ের পরামর্শ অনুযায়ী, “ডিপ ফ্রিজ থেকে বের করে ‘নরমাল ফ্রিজ’য়ের রেখে যেকোনো হিমায়িত খাবার গলানো সবচাইতে নিরাপদ। এতে খাবার ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট’য়ের অনেক নিম্ন তাপমাত্রায় থাকবে।”
“আবার কুসুম গরম পানিতে হিমায়িত খাবার স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আনাও বিপদজনক। ‘নরমাল ফ্রিজ’য়ে রাখা বাদে অন্যান্য নিরাপদ উপায় হল ঠাণ্ডা পানিতে রাখা। আর ‘মাইক্রোওয়েভ ওভেন’য়ে দিয়ে গরম করে নেওয়া।”
আরও পড়ুন