যে মাংস ফ্রিজে রাখা হবে সেটা নিয়ে সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে।
Published : 01 Aug 2020, 06:06 PM
কোরবানির ঈদে প্রায় সব বাড়িতেই ভালো পরিমাণ মাংস জমা হয়। এই মাংস সংরক্ষণ নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় ভোগেন। বিশেষ করে যাদের বাড়িতে ফ্রিজ নেই।
আর করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে অন্যকারও ফ্রিজে মাংস রাখতে যাওয়ার চিন্তা তো আগেই বাদ দিতে হবে।
যে মাংসটুকু খেয়ে ফেলবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তা নেই। রান্নায় সময়ই তাতে যে ভাইরাসই থাক না কেনো ধ্বংস হয়ে যাবে। তবে যে মাংস ফ্রিজে রাখবেন সেটা নিয়ে সতর্ক হতে হবে।
এবিষয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পক্ষ থেকে আলাপ করা হয় বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি (বাডাস)’য়ের পুষ্টিবিদ ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার এবং বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি অব ডায়াটিকস অ্যান্ড নিউট্রিশন (বিএডিএন)’য়ের নির্বাহী পরিচালক ডা. সাজেদা কাশেম জ্যোতীর সঙ্গে।
তার পরামর্শগুলো তুলে ধরা হলো এই প্রতিবেদনে।
পুষ্টিগুণের কথা চিন্তা করলে কোরবানির মাংস এক মাসের মধ্যেই খেয়ে ফেলা উচিত। তবে তা সবার জন্য বাস্তবমুখী হয়না।
মাংস সংরক্ষণের প্রধান উদ্দেশ্য হল তা জীবাণুমুক্ত রাখা, স্বাদ ও গুণগত মান যথাসম্ভব অক্ষুণ্ন রাখা, পচন রোধ করা, খাদ্যবাহিত রোগ সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকা। এজন্য অবশ্যই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
মাংস বেশিক্ষণ বাইরে রাখলে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ হতে পারে। তাই মাংস বাড়িতে আসার পর দ্রুত সেটা ভালোভাবে ধুয়ে, রক্ত পরিষ্কার করে রান্না করতে হবে। অথবা ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হবে।
মাংস অবশ্যই প্লাস্টিকের ব্যাগে বা ‘অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল’য়ে মুড়ে রাখতে হবে। এতে মাংসে বাতাস ঢুকবে না। ফলে ব্যাক্টেরিয়া জন্মানোর আশঙ্কা কমবে।
ফ্রিজে সংরক্ষণ করা সম্ভব না হলে মাংস সঠিকভাবে জ্বাল দিয়ে রাখতে হবে। আর ছয় ঘণ্টা পরপর সেটা পুনরায় জ্বাল দিতে হবে।
মাংস লম্বা টুকরা করে লবণ ও হলুদ মেখে রেখে রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা যায়।
চর্বিযুক্ত মাংস স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই মাংস কাটার সময় চর্বি বাদ দেওয়াই ভালো। মাংসের ভেতরে যে চর্বি আছে সেটা গলাতে গরম পানিতে মাংস সিদ্ধ করে নিতে পারেন।
রান্নার সময় মাংসের টুকরাগুলো ছোট করে কাটলে এবং মাংসে টক দই, লেবুর রস, সিরকা, পেঁপে বাটা দিয়ে মেখে রাখলে একদিকে যেমন কম সময়ে মাংস সিদ্ধ হয় তেমনি চর্বির ক্ষতিকর প্রভাব অনেকটাই কাটানো যায়।
প্রতীকী ছবির মডেল: শিউলি আক্তার। ছবি আব্দুল মান্নান।