খাবার সংরক্ষণের জন্য রেফ্রিজারেইটর ব্যবহার করা হলেও কিছু খাবার আছে যা বাইরেই ভালো থাকে।
তবে সব খাবার ফ্রিজারে রাখা জরুরি নয়, উচিতও নয়। এমনকি সকল ফল, সবজি যা সাধারণত রেফ্রিজারেইটরে রাখা হয়, সেগুলোর মধ্যে কিছু আছে যা না রাখলেও ভালো থাকে।
আর কিছু ফল সবজি হিমায়িত করলেই বরং জলদি নষ্ট হয়ে যায়।
রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে এই বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হল বিস্তারিত।
সস
হট সস, কেচাপ ইত্যাদি যে কোনো সস রেফ্রিজারেইটরের বাইরে কক্ষ তাপমাত্রায় তিন বছর পর্যন্ত ভালো থাকতে পারে। আর তিন বছরে এক বোতল সস যদি শেষ না হয়, তবে বোতল ধরে সস না কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
আলু
রেফ্রিজারেইটরে রাখলে আলুর স্বাদ নষ্ট হয়ে যায় দ্রুত। আলু সংরক্ষণ করা উচিত কক্ষ তাপমাত্রায় খোলা অবস্থায় কিংবা কাগজের ব্যাগে। প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখলে ব্যাগের মধ্যে আটকে থাকা আর্দ্রতা আলু নষ্ট করে দেবে দ্রুত। খোলা কিংবা কাগজের ব্যাগে রাখলে আলু তিন সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকা উচিত।
পাউরুটি
পাউরুটি রেফ্রিজারেইটরে রাখলে তা দ্রুত শুকিয়ে যাবে। এক্ষেত্রে বুদ্ধিমানের কাজ হল আগামী চারদিনের মধ্যে যতটুকু খেয়ে ফেলবেন তা বাইরে কক্ষ তাপমাত্রায় রাখা। আর এর বেশি দিন যা সংরক্ষণ করবেন তা ডিপ ফ্রিজে রাখা।
পেঁয়াজ্
এটাও রেফ্রিজারেইটরে নয়, কক্ষ তাপমাত্রায় শুকনা স্থানে রাখতে হবে। আলুর কাছাকাছি পেঁয়াজ রাখা যাবে না। কারণ আলু আর্দ্রতা ও গ্যাস ছড়ায়, যা পেঁয়াজ নষ্ট করে দেবে।
ব্যাটারি
নতুন অব্যবহৃত ব্যাটারি কোনো ড্রয়ারে বা বাক্সে করে রেখে দেওয়া উচিত কক্ষ তাপমাত্রায়। রেফ্রিজারেইটরে ব্যাটারি রাখা মোটেই উচিত নয়। অতিরিক্ত গরম ও অতিরিক্ত ঠাণ্ডা দুটোই ব্যাটারিকে দূর্বল করে দেয়।
রসুন
কক্ষ তাপমাত্রায় শুকনা স্থানে দুই মাস পর্যন্ত ভালো থাকে রসুন। তাই একে রেফ্রিজারেইটরে রাখার কোনো দরকার নেই। খোলা অবস্থায় রাখতে হবে যাবে আলো ও বাতাস পায়।
টমেটো
টমেটো রেফ্রিজারেইটরে রাখলে তা একেবারে নরম হয়ে যায়। ওই টমেটো তখন শুধু তরকারিতে দেওয়া যায় বা চাটনি বানানো যেতে পারে।
টমেটো সংরক্ষণের উপায় হল কক্ষ তাপমাত্রায় খোলা অবস্থায়। টমেটো কাঁচা হলে দ্রুত পাকানোর জন্য কাগজের ব্যাগে রাখা যায়। পাকা টমেটো কক্ষ তাপমাত্রায় তিন দিন ভালো থাকলে। আর রেফ্রিজারেইটরে যদি রাখতেই হয় তবে পলিথিন ব্যাগে করে রাখতে হবে।
কফি
কফির বিন, গুঁড়া- যেটাই হোক না কেনো রেফ্রিজারেইটরে রাখলে তা জমাট বেঁধে যায়। ফ্রিজের সাধারণ অংশে কিংবা ডিপ ফ্রিজ দুটোতেই একই সমস্যায় ভুগতে হবে। কফি রাখতে হবে বায়ুরোধক কৌটায় কক্ষ তাপমাত্রায়।
নেইল পলিশ
এই প্রসাধনী রেফ্রিজারেইটরে রাখলে তা ঘন হয়ে যাবে। তাই একে বাইরে রাখতে হবে। তবে সূর্যের আলো যাতে সরাসরি না পড়ে সেদিকে নজর রাখতে হবে।
কুমড়া ধরনের সবজি
মিষ্টি কুমড়া, লাউ, জালি কুমড়া ইত্যাদি রেফ্রিজারেইটরে না রাখলেও দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।
আরও পড়ুন