ধানমন্ডিকে ৭টি জোনে ভাগ করে ৭০০ কর্মী নিয়ে চালানো অভিযানে বিশেষ করে নালা-নর্দমা যেখানে মশার উৎপাত বেশি, সেসব জায়গা পরিষ্কার করে ওষুধ দেওয়া হবে।
Published : 25 Apr 2025, 11:08 AM
রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হওয়া বেশরভাগ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ঢাকার বাইরের বলে দাবি করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসক শাহজাহান মিয়া।
শুক্রবার সকালে ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযানে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ‘নিজ আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখি, পরিচ্ছন্ন নগর গড়ি’ স্লোগানে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
ধানমন্ডিকে ৭টি জোনে ভাগ করে ৭০০ কর্মী নিয়ে চালানো অভিযানে বিশেষ করে নালা, নর্দমা যেখানে মশার উৎপাত বেশি, সেসব জায়গায় পরিষ্কার করে ওষুধ দেওয়া হবে।
শাহজাহান মিয়া বলেন, “যে কয়েকটি ডেঙ্গুর কেইস আমরা হাসপাতালে পেয়েছি, এর অধিকাংশ রোগী ঢাকার বাইরে থেকে এসেছে। অধিকাংশ কেইস ঢাকার বাহিরে। এটা যে ঢাকা সিটিতে হচ্ছে এমনটা নয় কিন্তু। আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। আমরা ডাবল কাজ করছি কিন্তু।”
তিনি বলেন, “বর্ষার মৌসুমে সারা ঢাকাতেই ডেঙ্গুর প্রকোপ তৈরি হয়। সেটা যদি এবার না হয় সেজন্য আমরা একটি বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি। দক্ষিণ সিটির প্রত্যেকটি জোনে আমরা বিশেষ অভিযান পরিচালনা করব।”
শাহজাহান মিয়া বলেন, “ঢাকাকে একটি বাসযোগ্য নগরী হিসেবে তৈরি করার আপ্রাণ চেষ্টা করছি। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে পরিছন্নতা ও মশা নিধন শুরু করা হয়েছে। ধানমন্ডি এলাকায় দুর্গন্ধ, অপরিষ্কার জাতীয় যদি কিছু না থাকে সেই বিষয়ে পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে।
“ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। এ নিয়ে আমরা মিটিং করেছি যাতে সবার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও রাস্তা পরিস্কার থাকে। আমাদের সঙ্গে রাজউক, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, বিআরটিএ ও অন্যান্য অথরিটি, পুলিশ কাজ করছে।”
এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, “আমি এর আগে বলেছিলাম ধানমন্ডি থেকে এ কার্যক্রম শুরু করব। সেই মোতাবেক আজকে কার্যক্রম শুরু করা হল। আমাদেরকে সহায়তা করছে ধানমন্ডি ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।”
তিনি বলেন, যাত্রাবাড়ীতেও ডোবা, নালা-নর্দমা পরিষ্কার করা হচ্ছে।
বর্ষা শুরুর আগেই এই কাজ শেষ করা হবে বলে জানান তিনি।