রাজস্ব আদায় ও বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি বলে মনে করেন সাবেক এই গভর্নর।
Published : 05 Jun 2024, 01:26 AM
বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় মনোযোগ বাড়িয়ে উচ্চ মূল্যস্ফীতি সামাল দিতে বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাত সম্প্রসারণের ও ভাতার অঙ্ক বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সরকারের সামনে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রিজার্ভ বাড়ানো, ভঙ্গুর ব্যাংক খাতে সুশাসন জোরদার, রাজস্ব আদায় ও বাজেট বাস্তবায়ন সক্ষমতা বাড়ানোর মত পাঁচটি চ্যালেঞ্জ দেখছেন তিনি।
এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বড় অবকাঠামোতে আপাতত নজর না দিয়ে অর্থের অপচয় রোধ, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ ও মজুরি বাড়ানো জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
আগামী ৬ জুন নতুন অর্থবছরের জন্য মোটামুটি সাত লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করতে যাচ্ছে টানা চতুর্থবার ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ সরকার।
গত জানুয়ারিতে সরকার গঠনের পর সরকারের এ মেয়াদের প্রথম বাজেট এমন সময়ে দিতে যাচ্ছেন নতুন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী যখন বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ নানা কারণে চাপে থাকা অর্থনীতির বৈদেশিক সম্পদ কমে আসছে।
বিনিময়ে হারে টাকার মান কমায় আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে। এর প্রভাবে মূল্যস্ফীতির পারদ চড়তে থাকায় সাধারণের জীবন সঙ্গিন হয়ে পড়েছে। অর্থনীতির অস্বস্তির জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে উচ্চ পণ্যমূল্য।
এমন প্রেক্ষাপটে আগামী বাজেটের আগে সরকারের আয়-ব্যয় পরিকল্পনা ও সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা আনতে আর্থিক খাত ব্যবস্থাপনার কৌশল কী হতে পারে, তা নিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে কথা বলেছেন সালেহউদ্দিন আহমেদ।
রিজার্ভ বাড়বে কীভাবে?
গত দুই বছরের বেশি সময় ধরেই এভাবে ক্রমাগত কমছে রিজার্ভ। এতে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ সক্ষমতা কমে যাওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে দর কষাকষিতে বাংলাদেশের দুর্বল হয়ে পড়ছে বলে পর্যবেক্ষণ দেন সাবেক গভর্নর।
বৈদেশিক লেনদেনের অন্যতম সূচক আর্থিক হিসাবটি এখনও ঋণাত্মক। তবে চলতি হিসাব ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে বছর খানেক পরে।
বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় চলতি অর্থবছরের শুরুতে থাকা ৩১ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ শেষ দিকে মে মাসে ২৪ দশমিক ২১ বিলিয়নে নেমেছে। বিপিএম৬ হিসাবে তা ১৯ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার।
সালেহউদ্দিন বলেন, ‘‘রিজার্ভ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ দুর্বল হচ্ছে। এখন রিকশাওয়ালাও জেনে গেছে রিজার্ভ প্রয়োজন মত নেই। আগে তো তারা রিজার্ভ কী জিনিস তাই বুঝত না। গত কয়েক বছর ধরেই তো কত নীতিমালা নেওয়ার কথা শুনলাম। যদি দুর্বল না হত, তাহলে তো রিজার্ভ বাড়ত, কই বাড়ল তো না।’’
রিজার্ভ বাড়াতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, “অর্থপাচার শূন্যে নামাতে হবে।
“রেমিটেন্স আরও আসার কথা, রেমিটেন্স কই যাচ্ছে, এটা তো সরকারকে দেখতে হবে। প্রবাসীরা বিদেশেই রেমিটেন্স দিয়ে দেয়, এখান থেকে প্রবাসীর পরিবারের কাছে টাকা দিয়ে দিচ্ছে অর্থ পাচারকারীরা। যেকোনো ভাবেই হোক এটা ঠেকাতে হবে, অর্থপাচারও ঠেকাতে হবে। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে পারলে যে কোনো সময়েই তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।’’
সব প্রবাসী আয় বৈধ পথে এলে বছরে রেমিটেন্স ৪ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার বেশি আসবে বলেই বিশ্বাস করেন সালেহউদ্দিন।
বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়ানো রিজার্ভ বাড়ানোর আরেকটি উপায়। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ তা আকর্ষণে দক্ষতার পরিচয় দিতে না পারার অন্যতম কারণ হচ্ছে জ্বালানি দরের পূর্বাভাস না থাকা ও ক্রেডিট রেটিংস সন্তোষজনক অবস্থানে না থাকা।”
বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটের স্থায়ী সমাধান চেয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম বছরে ৭-৮ বিলিয়ন ডলার এফডিআই (সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ) পায়। আমরা কেন পাই না? বিনিয়োগ পরিবেশ ভালো করার কথা শুধু মুখে বললেই হবে না। জ্বালানি ও বিনিয়োগ পরিবেশের নিশ্চয়তা চাইবে তারা (বিদেশিরা)।
‘‘বিনিয়োগ নিজ দেশে সময় মত ফেরত নিতে পারবে কি না তাও বুঝতে চাইবে তারা। রিজার্ভ বেশি না থাকলে তাদের সে বিশ্বাস আসবে না। বিদেশিদের কিছু বাড়তি সুবিধা দিয়ে, দীর্ঘমেয়াদে নীতি ছাড় দিয়ে ও দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলে যে কেউ আসতে চাইবে।”
জ্বালানি খাতে ঘনঘন নীতি বদলানোতে বিদেশিরা দীর্ঘমেয়াদের বিনিয়োগে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না বলেও মনে করেন সালেহউদ্দিন। বলেন, ‘‘একই সমস্যায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও আছেন। তারা তো দ্বিধা-দ্বন্দ্বে থাকেন কখন তেল, গ্যাসের দাম বাড়ে। আজ গ্যাস তো কালকে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে।’’
মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপে রপ্তানি আয় দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া জোরদার করা ও বৈদেশিক মুদ্রার আমানত আনতে বন্ড ছাড়া যেতে পারে বলেও মত দেন তিনি।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কীভাবে
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে গত বছরের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ এর সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তিতে যায় বাংলাদেশ।
সংস্থাটির শর্ত বাস্তবায়নে জ্বালানি খাতে ভর্তুকি কমাতে শুরু করায় পরিবহন খরচ বেড়ে গিয়ে মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের কাছাকাছি। খাদ্য মূল্যস্ফীতি উঠেছে সাড়ে ১২ শতাংশের ঘরে।
সবশেষ সিদ্ধান্তে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে প্রতি তিন মাস অন্তর দর সমন্বয় শুরু করেছে বাংলাদেশ। আগামী বাজেটেও জ্বালানি খাতে ভর্তুকি কমিয়ে দেওয়ার পদক্ষেপ আসলে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য আরও বাড়বে।
টাকার দরপতনে আমদানি ব্যয় বেড়ে গিয়ে পণ্যের দাম যেমন বাড়ছে, তেমনি অভ্যন্তরীণ বাজার ব্যবস্থাপনায় ‘সিন্ডিকেটের’ দৌরাত্ম তা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
দুই ধাপে খরচ বেড়ে যাওয়া কীভাবে সামাল দেওয়া যায় প্রশ্নে সাবেক গভর্নর বলেন, ‘‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পণ্য সরবরাহ বাড়াতে হবে। এটি যদি না হয়, তাহলে যতই বলা হোক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে না।
“দোকানে তো পণ্য আছে। এর মানে সরবরাহের দিকে খুব সমস্যায় নেই। এরপরও দাম বাড়ছে কেন? ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিয়ে বাজার তদারকিতে সাফল্য আসবে না। খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে নামতে হবে। পাইকারি ও মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের যে সিন্ডিকেট আছে, তা ভাঙতে হবে। এখানে শক্ত হওয়া দরকার সরকারের পক্ষ থেকে।’’
কৃষি খাতে সার ও বিদ্যুতে ভর্তুকি কমাতে আইএমএফের শর্ত না মানার পরামর্শও দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই গভর্নর।
তিনি বলেন, ‘‘সার ও কৃষি খাতে ভর্তুকি কমানো যাবে না। এখানে কয়েক জায়গায় যৌক্তিক হার করা যায়। ভর্তুকির সুবিধা প্রান্তিক ব্যক্তি পর্যায়ের কৃষক পাচ্ছে, তা নিশ্চিত করতে হবে।’’
‘ব্যাংককে রক্ষা করতে হবে আগে’
বাজেট ঘাটতি মেটাতে চলতি অর্থবছরে ব্যাংক খাত থেকে এক লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে গত ১২ মে পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১০ মাসে সরকার নিট ঋণ নিয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা।
গত অর্থবছরের এ সময়ে নিট ব্যাংক ঋণ ছিল ৭৮ হাজার ৫৫৯ কোটি টাকা, যেখানে বাজেটে এক লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। আগামী বাজেটেও সরকার ব্যাংক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা আরও বাড়াচ্ছে। যদিও গত দুই অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার পুরোটা ব্যবহার করেনি।
বর্তমান আর্থিক প্রেক্ষাপটে ঘাটতি বাজেট দেওয়ার বিরোধিতা করে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘আয়ের চেয়ে ব্যয় বাড়ালেই ঘাটতি আরো বাড়বে। বাজেট বড় হলে রাজস্ব আদায়ের চাপ বাড়বে ব্যবসায়ীদের উপর। তারা কোথা থেকে দেবে? সব চাপ তো জনগণের ঘাড়ে পড়ছে। তাই বাজেট বড় করার দরকার নেই আপাতত।
‘‘সরকারের আয়ের সংস্থান করেই ব্যয় ঠিক করতে হবে। বাজেট বড় করলাম, কিন্তু তা ঋণ করে নিতে হচ্ছে। এতে তো খরচ বাড়বে, টাকার সরবরাহ বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না।’’
তারল্য সংকটের সঙ্গে ব্যাংকও ‘ভাবমূর্তি’ সংকটে পড়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘‘ব্যাংকের প্রতি আস্থা উঠে গেলে অর্থনীতির অব্যবস্থাপনা মেরামত করা কঠিন হয়ে পড়বে। ভঙ্গুর ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার বিকল্প কিছু নেই। সরকার তো ব্যাংক থেকেই ঋণ নেবে। তারল্য না থাকলে কীভাবে ঋণ নেবে?
“ব্যাংক রক্ষা করতে হবে আগে। ঋণ খেলাপিদের ছাড় দিয়ে কোনো লাভ হয়নি। তাদের কাছ থেকে টাকা ফেরত আনতে হবে, এতে তারল্য বাড়বে ব্যাংকে, তখন সমস্যা হবে না।’’
বড় অবকাঠামো এখন আর ‘না’
সব পর্যায়ে কৃচ্ছ্রতা সাধন করার পরামর্শ দিয়ে সাবেক এই গভর্নর বলেন, ‘‘ধার করে এখন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাবে না। আমাদের তো বাজেট ব্যয়ে অপচয় হচ্ছে। এটা রোধ করার পাশাপাশি খুব জরুরি না হলে, বড় বড় অবকাঠামো আপাতত ‘না’।”
শুধু অবকাঠামো করলেই তো চলবে না-মন্তব্য করে তিনি বলেন, “সেখানে তো জনবল ও সেবা দেওয়া লাগবে। হাসপাতাল পড়ে রয়েছে, মেশিনারিজ ব্যবহার করছে না। এটা তো সরাসরি অপচয়। এখান থেকে সরে আসা লাগবে।’’
বাজেট বাস্তবায়নে সক্ষমতা বাড়াতেও জোর দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন সালেহউদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘‘বাজেট বাস্তবায়ন এত দুর্বল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দক্ষতার অভাব তো আছে, সঙ্গে আছে নৈতিকতা ও স্বচ্ছতার অভাব।
“প্রকল্পের জন্য পাঁচ টাকার জিনিস ১০ টাকা দিয়ে কিনছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কিনা, তা তো জানা যাচ্ছে না।’’
জোর হোক কর্মসংস্থানে
কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে ছোট ও মাঝারি শিল্পে নজর বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন সাবেক গভর্নর ।
তিনি বলেন, ‘‘বাজেটে কর্মসংস্থানের দিকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমদানি নিয়ন্ত্রণ করায় গত বছরের শেষে যাদের আয়ের পথ ছিল তাদের একটি অংশ চলতি বছরের শুরুতে বেকার হয়ে গিয়েছে।
‘‘ছোট, মাঝারি শিল্পের ভিত্তি না হলে তো অর্থনীতি টেকসই হবে না। কর্মসংস্থান এসব খাত থেকে হয়। তাদের সহায়তা দিতে হবে।”
সেবা খাতের উপর ভর করে অর্থনীতি বেশি দূর এগোবে না মত দিয়ে সাবেক গভর্নর বলেন, “বাজেট বড় না করে অগ্রাধিকার দিতে হবে আবশ্যকীয় কাজে খরচ করার, যেখানে কর্মসংস্থানবান্ধব বিনিয়োগ হয়।’’
শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে বাড়ুক বরাদ্দ
এমন পরামর্শ দিয়ে সালেহউদ্দিন বলেন, ‘‘চিকিৎসা সেবা নিতে গিয়ে মানুষ বেসরকারি খাতে নির্ভরশীল হয়ে সর্বশান্ত হয়ে যাচ্ছে। এখানে বিশেষ নজর দেওয়া লাগবে।
‘‘সামাজিক নিরাপত্তা খাতের আওতা বাড়িয়ে ব্যয় বাড়াতে হবে। বয়স্ক ভাতার পরিমাণ বাড়াতে হবে, যে অর্থ দেওয়া হয় তা বর্তমান সময়ে অতি নগণ্য।“
স্বল্প পরিমাণ এ ভাতাও সব সময় সঠিক ব্যক্তির কাছে যাচ্ছে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, সরকার উদ্যোগ নিয়ে তার কিছুটা সংশোধন করেছে। তবে ভাতার পুরোটা যেন আসল ব্যক্তির কাছে যায়, তা তদারকি করতে হবে, আরেকটু সুসংহত করা লাগবে।
বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা বাড়বে কোন পথে?
বাজেট ঘাটতি মেটাতে ঋণ নির্ভরতা 'চাপ বাড়াবে' অর্থনীতিতে
‘চাপের বাজেটে’ ব্যবসায়ীদের ‘প্রত্যাশার চাপ’
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে জোর থাকবে বাজেটে:অর্থ প্রতিমন্ত্রী
বাজেটে আয়-ব্যয়ে ভারসাম্য আসবে কীভাবে? কী বলছেন অর্থনীতিবিদরা
চাল-ডাল-তেল শুল্ক ও ভ্যাটমুক্ত করা হোক প্রথম কাজ:মান্নান
ভর্তুকি দিয়ে সবটা চলবে না: নতুন বাজেট নিয়ে প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান
বাজেট ২০২৪-২৫:এনবিআরের ওপর বাড়ছে কর আদায়ের সেই পুরনো চাপ
বাজেট:বাড়ছে বয়স্ক ও বিধবা ভাতাভোগীর সংখ্যা
বাজেটে সর্বোচ্চ গুরুত্ব থাকছে মূল্যস্ফীতি রোধে:অর্থ প্রতিমন্ত্রী