“ধনী ও গরিব সবাই একই হারে এ সুবিধা ভোগ করে বলে ভর্তুকিতে সমাজে অন্যায্যতাও তৈরি হয়”, বলেন তিনি।
Published : 25 May 2024, 01:32 AM
মূল্যস্ফীতির ঢেউ মোকাবেলা করে জনগণের আকাঙ্খা পূরণই আওয়ামী লীগ সরকারের চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট প্রণয়নের পরিকল্পনার মূলে থাকলেও পর্যায়ক্রমে ভর্তুকি ও এর আওতা কমিয়ে ফেলার নীতি অনুসরণ করাই যৌক্তিক পদক্ষেপ হবে বলে মনে করছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার।
ভর্তুকি তুলে নিলে বা কমিয়ে ফেললে সাধারণ ও সীমিত আয়ের মানুষের ওপর আরও চাপ তৈরি হবে। উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে জেরবার হওয়ার এ সময়ে ভর্তুকি তুলে দেওয়ার মত অজনপ্রিয় পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী টানা চার মেয়াদ ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের সক্ষমতা বাড়ার কথা তুলে ধরেন।
তার মতে, সরকারের পাশাপাশি মানুষের সক্ষমতাও বেড়েছে। ধনী ও গরিব সবাই একই হারে এ সুবিধা ভোগ করে বলে ভর্তুকিতে সমাজে অন্যায্যতাও তৈরি হয়।
আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের শেষ ভাগের যোগ-বিয়োগের কাজ এগিয়ে চলার মধ্যে সরকারের ভর্তুকি বিষয়ক ভাবনার বিষয়ে এমনটাই আভাস দিলেন শহীদুজ্জামান সরকার।
আগামী ৬ জুন সংসদে উপস্থাপিত হতে যাওয়া নতুন বাজেট বিষয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “বাজেট তো সবসময় একটা আদর্শিক হিসাব-নিকাশ, সেই অর্থে শুধু অঙ্কের হিসাব নয়।”
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও ভর্তুকি তুলে নেওয়ার মত বড় দুই চাপের মধ্যে বড় অঙ্কের বিদেশি ঋণ পরিশোধের বিষয়টিও সরকারকে ভোগাবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা। এমন প্রেক্ষাপটেও আগামী বাজেটের উন্নয়ন কর্মসূচির প্রকল্পগুলোর জন্য লাখ কোটি টাকার বিদেশি অর্থায়নের মধ্যেও খারাপ কিছু দেখছেন না পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান।
তার মতে, বিদেশি ঋণ নির্ভরতা বাড়লেও দেশের অর্থনীতিতে ডলারের সরবরাহ বাড়বে, যা নতুন বিনিয়োগে গতি আনবে এবং কর্মসংস্থান তৈরিতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে।
আগামী অর্থবছরের বাজেটের আওতায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অর্থায়নের মধ্যে ৩৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ বা এক লাখ কোটি টাকা বৈদেশিক উৎস থেকে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে বিদেশি ঋণ ও অনুদানের পরিমাণ ছিল ৮৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এতে করে বিদেশি অর্থায়নের পরিমাণ বাড়বে ১৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেওয়ার সময় জ্বালানির দাম বাড়িয়ে ভর্তুকি কমানোসহ আর্থিক খাতের সংস্কারে বেশ কিছু শর্তে সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
এর আগে ও পরে বাংলাদেশ সেই পরামর্শ অনুযায়ী বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়িয়ে ভর্তুকি কমানোসহ আর্থিক খাতের কাঠামো ও নীতি সংস্কারে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করে।
বাজেট ঘাটতি কমিয়ে আনতে কর অব্যাহতি দেওয়া বন্ধ করার পাশাপাশি কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানো এবং আর্থিক খাত সংস্কারের পরামর্শও দিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাটি।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি খাতে মূল বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ১০ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা। আগামী বাজেটে এটা দুই হাজার কোটি টাকার মত বাড়তে পারে বলে খবরে এসেছে। তবে টাকার অঙ্কে কিছুটা বাড়ানো হলেও বিদ্যুৎ, জ্বালানি, কৃষিতে ভুর্তকির আওতা কমিয়ে আনা হতে পারে বলে আভাস মিলেছে।
ভর্তুকি কমিয়ে আনা বিষয়ক প্রশ্নে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান বলেন, “সক্ষমতা বাড়ছে দেশের মানুষেরও। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ভর্তুকি দিয়ে সবটা চলবে না। ভর্তুকি আস্তে আস্তে তুলে নিতে হবে। একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ভর্তুকির বরাদ্দ থাকে। যুগ যুগ ধরে ভর্তুকি দেবে না। অর্থনীতির আকার বাড়ছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকও চায় ভর্তুকি কমিয়ে আনতে।”
এমন চাপ মোকাবেলা করেই সাহস, অঙ্গীকার নিয়ে আওয়ামী লীগের ‘ভিশনের’ পথে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি।
আইএমএফ এর শর্ত মানতে গিয়েই কী ভর্তুকি কাটছাঁটের মধ্যে ঢুকেছে সরকার-এমন প্রশ্নে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে অসমর্থদের সুবিধা দেওয়া সম্ভব হলেও কৃষিতে সেরকম করা সম্ভব হচ্ছে না। যেমন সারে যখন ভর্তুকি দেওয়া হয়, তা একশ বিঘা জমির মালিকও পায়। সেটা আলাদা করে কেবল গরিব কৃষককে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এখানে একপ্রকার অন্যায্যতা রয়েছে। সেজন্য আস্তে আস্তে এগুলো তুলে নিতে হবে।
“আর ভর্তুকি মানে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সহযোগিতা দেওয়া। শেষ পর্যন্ত ভর্তুকি তুলে নিতে হবে। বিশ্ব ব্যাংকের চাপ আছে, অর্থনীতির উপর চাপ আছে, ভর্তুকি কমিয়ে ফেলার জন্য। তাদের পরামর্শ আছে, তবে আমরা তাদের বিষয়টাও বিবেচনায় নেব। সর্বোপরি আমাদের দেশের মানুষের স্বার্থ সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তারা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। তাদের অংশগ্রহণও আমাদের বিবেচনায় আছে।”
এবারের বাজেট সংকোচনমূলক হচ্ছে কি না জানতে চাওয়া হলে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, “পুরো পৃথিবীতেই এখন অর্থনৈতিক মন্দার জন্য সংকোচনমূলক পরিস্থিতিতে যেতে হচ্ছে। জাপান এবারেই প্রথম তাদের ইতিহাসে সংকোচনমূলক অর্থনীতিতে আছে, আমেরিকা নীতি সুদহার ধারাবাহিকভাবে বাড়াচ্ছে। আমাদের দেশের অর্থনীতি আমদানিনির্ভর। অনেক পণ্য আমদানি করতে হয়। রপ্তানি আছে তবে অতটা নয়। আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে মেলাতে গেলে ব্যবসার ভারসাম্যও বিঘ্নিত হয়। ডলার বেশি দামে কিনলে স্বাভাবিকভাবেই পণ্যের দাম বাড়বে।
“স্বাভাবিক একটা মূল্যস্ফীতির ঢেউ আমাদের আসছে, না চাইলেও নিতেই হচ্ছে। এই চাপ মোকাবেলা করেই, সাহস, অঙ্গীকার নিয়ে আমাদের ভিশনের দিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।”
বাজেট প্রণয়ন করতে গিয়ে মূল্যস্ফীতিকে কীভাবে মোকাবেলা করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “মূল্যস্ফীতি ভোগাচ্ছে। বাজেটে সেটা বড় চ্যালেঞ্জ। এই জন্যই আমরা কিছুটা সংকোচনমূলক অর্থনীতিতে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে ব্যাংকের সুদের হারে ৬ টাকা ৯ টাকার যে টুপি পরানো ছিল, সেটাও তুলে নেওয়া হয়েছে। সুদের হার বাজারভিত্তিক করা হয়েছে। বাজারে বেশি টাকা থাকলেই তার প্রভাব পড়েই।
“আবার শুধু টাকা বেশি থাকলেই ইনফ্লেশন হবে, তা নয় আরও বিষয় থাকে। প্রধান কারণ হিসেবে ইনফ্লেশনকে রোধ করার প্রধান অস্ত্র হিসেবে গোটা পৃথিবীতেই অর্থনীতি এই সুদহার বাড়ানোকেই প্রথম গুরুত্ব দেয়। আমরাও সেটা দিয়েছি। বাজারে টাকার প্রবাহ কিছুটা কমানো যায়, সেই কমানোর ক্ষেত্রে কিছু মেকানিজমের আওতায় কাজ করছি।”
চলতি অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও বাস্তবে অনেক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে মানুষ। পরে মধ্যবর্তী বাজেট কাঠামোর প্রতিবেদনে প্রথমবারের মত এ লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়।
সবশেষ মাস এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ হলেও তা এখনও দুই অঙ্কের কাছাকাছি। মূল্যস্ফীতির পারদ চড়তে থাকার এ প্রবণতায় বছর দুয়েক থেকে ভুগছে দেশ। ২০২৩ সালের মে মাসে মূল্যস্ফীতি গত এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে ওঠে।
এমন প্রেক্ষাপটে আগামী ৬ জুন বর্তমান সরকারের এ মেয়াদের প্রথম বাজেট নিয়ে আসছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলে আসা এ রাজনীতিবিদ অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার প্রথম বাজেটে আট লাখ কোটি টাকার আয় ব্যয়ের ফর্দ মেলাতে বসেছেন বলে খবরে এসেছে।
জনতুষ্টির বাজেট হবে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রথমবারের মত সরকারের পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে আসা শহীদুজ্জামান বলেন, “শব্দটা ওইভাবে ব্যবহার করি না, আমরা ব্যবহার করি ন্যায়ানুগ। প্রয়োজনের নিরিখে আমরা ব্যবস্থা করি। আমরা অতটা পপুলারিস্ট চিন্তা করি না। আমরা চিন্তা করি যেটা ন্যায়ানুগ, যেটা মানুষের জন্য ক্যলাণকর যেটা যৌক্তিক সেটার ব্যাপারেই আমরা কাজ করি।
“অর্থনীতিতে বৈশ্বিক কারণে সংকোচনের মধ্যে আছি। তারপরও আমরা সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে ব্যয় বৃদ্ধি করেছি। অন্যান্য প্রকল্প যেগুলো নেওয়া হচ্ছে সবগুলোই নির্বাচনি ইশতেহার, অষ্টম পঞ্চমবার্ষিকী পরিকল্পনা, ডেল্টা প্ল্যান এসডিজি, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা সব মিলিয়ে করা হয়েছে। আমরা মানুষের কল্যাণের জন্য চেষ্টা করছি। এবারের বাজেটে স্থানীয় সরকার এবং পরিবহনখাতকে আমরা সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দিয়েছি। এটাও বলতে গেলে এক অর্থে জনতুষ্টির জন্যই করা। তারপরও বলি যে, মানুষকে খুশি করাটাও রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমাদের দায়িত্ব কর্তব্য। সেজন্য সেসব খাতে বরাদ্দ বেশি আছে।”
একজন রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি হিসেবে কেমন বাজেট দেখতে চান জানতে চাইলে এই আইনপ্রণেতা বলেন, “বাজেট তো সবসময় একটা আদর্শিক হিসাব-নিকাশ, সেই অর্থে শুধু অঙ্কের হিসাব নয়। বাজেট প্রণয়নে আমরা সামনে রেখেছি আমাদের নির্বাচনি ইশতেহার, অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, ডেল্টা প্ল্যান এসডিজি। আবার বিশ্ব অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতিও বিবেচনায় নিয়েই সরকার এবারের বাজেট প্রণয়ন করেছে।
“আমাদের সরকার ধারাবাহিকভাবে বাজেট দিচ্ছে। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত যেসব বাজেট দেওয়া হয়েছে, তার সবগুলোই জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করার লক্ষ্য নিয়েই প্রণয়ন করা হয়েছে। এবারের বাজেটও জনগণের লক্ষ্য পূরণ করতেই প্রণয়ন করা হচ্ছে। কিন্তু সঙ্গে বিশ্ব পরিস্থিতির যে টালমাটাল অবস্থা তার আঁচকেও সঙ্গী করতে হয়েছে।”
প্রকল্প বাস্তবায়নে দক্ষতায় পিছিয়ে থাকার প্রসঙ্গে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমাদের মাঠ পর্যায়ে কিছু অভিজ্ঞতা আছে। প্রকল্পের অনিয়ম সংক্রান্ত, বাস্তবায়ন কেন দেরি হয়, কোন কোন ক্ষেত্রে দেরি হয়, তত্ত্বাবধানের দুর্বলতা কোথায়, প্রধানমন্ত্রীও বারবার প্রকল্প বাস্তবায়ন বিষয়ে আমাদের তাগাদা দেন। তবে আমাদের এবার পেন্ডিং প্রকল্প কম। রেকর্ড প্রকল্প আমরা সময়মত শেষ করতে পেরেছি। প্রকল্প সময়মত শেষ করার বিষয়ে সরকারের ভেতর থেকে চাপ থাকে, যারা এর সঙ্গে সম্পর্কিত, বিশেষ করে প্ল্যানিং কমিশন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সবার চাপ আছে।”
স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বরাদ্দ ব্যয়ের অপ্রতুল সক্ষমতার বিষয়ে তিনি বলেন, “অস্বীকার করার উপায় নেই স্বাস্থ্য-শিক্ষার মত মৌলিক চাহিদার বরাদ্দ ব্যয়ে সক্ষমতার জায়গায় ঘাটতি আছে। স্থানীয় সরকারের বা পানি সম্পদের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের তাদের বিশেষজ্ঞ প্রাতিষ্ঠানিক অবয়ব আছে কিন্তু স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের ক্ষেত্রে এরকম বিশেষায়িত কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। স্বাস্থ্য খাতের প্রকল্প বাস্তবায়নে তাদের নিজস্ব প্রকৌশল বিভাগ থাকলেও তাদের সক্ষমতা ততটা নয়, যতটা থাকলে তারা যা বরাদ্দ পায় তা খরচ করতে পারে। এটা আমাদের জন্য খুবই বড় একটা সেটব্যাক।
“আমরা স্বাস্থ্য-শিক্ষা যদি ঠিক জায়গায় না নিতে পারি অন্য কোনো উন্নয়নই টেকসই হবে না। এটা অমর্ত্য সেনের কথা যে, স্বাস্থ্যবান এবং শিক্ষিত মানুষ যদি থাকে তাহলে আর কিছুই লাগবে না। শিক্ষা মানেই খালি পুঁথিগত বিদ্যা সেরকম নয়। কারিগরি খাতেও দক্ষ জনবল লাগবে।
“এই দুটি জায়গা আমাদের চিন্তার বিষয়। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীও উষ্মা প্রকাশ করেন। দক্ষতা তৈরির বিষয়েও আমাদের দায় আছে অস্বীকার করলে হবে না। ক্যাপাসিটি বিল্ডআপের ব্যাপারে এখনও আমরা আপ টু দ্য মার্ক যাই নাই। যেহেতু বিষয়গুলো নিয়ে সরকার নিজেই চিন্তা করছে সেজন্য আশা করছি আগামী দিনে বরফটা গলবে। খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই দুটো সেক্টর বাদ দিয়ে শুধু ভৌত অবকাঠামো করে উন্নয়ন টেকসই করতে পারবেন না। মানব সম্পদ উন্নয়নের এই দুটি খাত ছাড়া চলবে না।”
আরও পড়ুন: