সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলায় এক মাসের মধ্যে আবার তদন্ত কর্মকর্তা বদল হয়েছে।
Published : 15 Dec 2021, 09:27 AM
তিনি বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগের কর্মকর্তা পদোন্নতি পেয়েছেন। তার স্থলে পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুককে নতুন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।”
ওমর ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মামলার ডকেট বুঝে নিয়েছি। তদন্ত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাজও ইতোমধ্যে শুরু করেছি।”
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদরদপ্তরে যোগ দিতে ওই সময় ঢাকায় ছিলেন তখনকার পুলিশ সুপার বাবুল। তার ঠিক আগেই চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশে ছিলেন তিনি।
হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছিলেন বাবুল আক্তার নিজেই। কয়েক মাস পর নানা নাটকীয়তার মধ্যে পুলিশের চাকরি ছাড়তে হয় তাকে।
কয়েক বছর মামলাটির তদন্তে ছিল নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এর পর সেটি যায় পিবিআইর হাতে। পাঁচ বছর পর তদন্ত করে বাবুলকেই স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করে পিবিআই।
গত ১২ মে বাবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার আগে মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন জামাতা বাবুলকে আসামি করে মামলা করেন।
পিবিআই মামলা তদন্তের শুরু থেকে আলোচিত এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা। পিবিআই থেকে বদলি হয়ে গত ১৮ নভেম্বর তিনি চট্টগ্রাম নগর পুলিশে যোগ দিয়েছেন, বর্তমানে সিএমপি খুলশী থানার ওসির দায়িত্বে আছেন।
২২ নভেম্বর আলোচিত এ হত্যা মামলার তদন্তভার দেয়া হয়েছিল পরিদর্শক মহিউদ্দিন সেলিমকে। মামলার তদন্তভার নেয়ার কিছু দিনের মধ্যেই মহিউদ্দিন সেলিম সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পান।