‘অফিসে ৯টাতেই আসতে হবে’

“কোনো ধরনের গাফিলতি আমি মেনে নেব না”, দায়িত্ব নিয়েই বলেন সিডিএ চেয়ারম্যান।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে মোহাম্মদ ইউনুছ সোমবার দায়িত্ব নেন।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) দায়িত্ব পালনে কোনো ধরনের গাফিলতি সহ্য করা হবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছেন সংস্থাটির নতুন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ।

নিয়োগ পাওয়ার পর সোমবার প্রথম অফিস করেন তিনি। এ সময় এই সতর্কতা দেন তিনি। তার সঙ্গে দেখা করতে আসা কারো কাছ থেকে ফুলই নেননি তিনি।

সোমবার সকাল নয়টায় তিনি নগরীর কোতয়ালী মোড়ে সিডিএ ভবনে পৌঁছান নতুন চেয়ারম্যান। কার্যালয়ে যাওয়ার আগে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কক্ষও ঘুরে দেখেন তিনি। এরপর অফিস সূচি অনুযায়ী কর্মীদের উপস্থিতি যাচাই করেন।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মত বিনিময়ে ইউনুছ বলেন, “অফিস টাইম সকাল ৯টায়। সবাইকে সময় মত অফিসে আসতে হবে। দায়িত্ব পালন করতে হবে দেশপ্রেম, সততা এবং আন্তরিকতা দিয়ে।

“কোনো ধরনের গাফিলতি আমি মেনে নেব না। চেয়ারম্যান হয়েছি বলে, আমি এসি রুমে বসে থাকব সেটা ভাবলে ভুল করবেন।”

মতবিনিময় শেষে সিডিএ বোর্ড সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন নতুন চেয়ারম্যান। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র গিয়াস উদ্দিনসহ কয়েকজন তার সঙ্গে সাক্ষাৎও করেন। তবে কারো কাছ থেকে কোনো ফুল গ্রহণ করেননি ইউনুছ।

সিডিএ চেয়ারম্যান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি ঠিক সকাল ৯টায় অফিসে গিয়েছি, সারাদিন অফিস করেছি, সভা করে আমার মেসেজ জানিয়ে দিয়েছি।

“উনারা সবাই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বেতনভুক্ত কর্মচারী। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকারের প্রতি যেমন জবাবদিহিতা থাকবে, তেমনি ৩০ লক্ষ শহীদ এবং সৃষ্টিকর্তার কাছেও থাকতে হবে।”

ইউনুছ বলেন, “আমি শুধু চেয়ারম্যান নই, আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। সবাই মিলেমিশে এ শহরকে আমরা বাসযোগ্য করব। আমি কারও বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যেতে চাই না, কিন্তু কেউ দায়িত্ব পালনে গাফিলতি করতে পারবে না। এটা আমি বরদাশত করব না।”

সংসদীয় কমিটির বৈঠকে অংশ নিতে সোমবার রাতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন সিডিএ চেয়ারম্যান।

গত ২৪ এপ্রিল ইউনুছকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখা।

আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ইউনুছ মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদ চট্টগ্রামেরও মহাসচিব।

তিনি সিডিএর সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলমের দোভাষ ডলফিনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।

২০০৯ সাল থেকে সরকার সিডিএ চেয়ারম্যান পদে রাজনৈতিক নিয়োগ দিয়ে আসছে। সেবার প্রথম সিডিএ চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও বর্তমানে বোয়ালখালী-চান্দগাঁও আসনের সংসদ সদস্য আবদুচ ছালামকে।

টানা ১০ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন ছালাম। ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জহিরুলকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এরপর আবারও ২০২১ সালের ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় মেয়াদে তিন বছরের জন্য নিয়োগ পান ডলফিন। গত ২৪ এপ্রিল তার মেয়াদ শেষ হয়।