মিতু হত্যা: বাবুলের মামলায় তদন্ত সংস্থা বদলের আবেদন

মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যার ঘটনায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের করা মামলার তদন্তকারী সংস্থা পরিবর্তনের আবেদন করেছেন বাবুলের আইনজীবী।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Nov 2021, 04:45 PM
Updated : 14 Nov 2021, 04:45 PM

রোববার চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের আদালতে এ আবেদন করা হয়।

বাবুল আক্তারের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বর্তমান তদন্ত সংস্থা পরিবর্তন করে মামলাটি সিআইডি বা র‌্যাব বা অন্য যে কোনো সংস্থাকে তদন্ত দেওয়ার জন্য আবেদন করেছি।

“আদালত ১২ ডিসেম্বর শুনানির জন্য তারিখ ধার্য করেছেন।”

এর আগে বাবুলের করা মামলাটি ‘অধিকতর তদন্ত’ করতে আগের তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন আদালত। যদিও এ মামলায় পিবিআই এর দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি আদালত গ্রহণ করেনি।

অধিকতর তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দিতে পিবিআইকে ১২ ডিসেম্বর সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে আদালত।

এ বিষয়ে শেখ ইফতেখার বলেন, “আমরা যেহেতু তদন্তকারী সংস্থা পরিবর্তনের আবেদন করেছি। তাই এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশনার অপেক্ষায় থাকব। তারপর বলতে পারব।”

বাবুলের করা মামলায় পিবিআই এর দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের উপর গ্রহণযোগ্যতার শুনানি শেষে গত ৩ নভেম্বর মামলাটি নতুন করে তদন্তের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।

সেদিন বাবুলের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী জানিয়েছিলেন, আদালত মামলাটি পুন:তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে কোনো তদন্তকারী সংস্থা ঠিক করে দেয়নি।

পরে লিখিত আদেশে এ বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়। সেখানে মামলাটি আগের তদন্তকারী কর্মকর্তাকেই (আইও) অধিকতর তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। আগামী ১২ ডিসেম্বর সময়ও নির্ধারণ করে দিয়েছেন আদালত।

পাঁচ বছর আগের ওই হত্যা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে খোদ বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়ে গত মে মাসে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল তদন্ত সংস্থা পিবিআই।

এর ভিত্তিতেই বাবুলকে আসামি করে নতুন একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন।

অন্যদিকে ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে সিআইডি বা অন্য কোনো সংস্থার কোনো জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার মাধ্যমে মিতু হত্যার ঘটনায় নিজের করা মামলাটির পুনঃতদন্ত চেয়েছিলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার।

শুনানি শেষে আদেশে পিবিআই এর দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করা হয়নি। পাশাপাশি বাবুলের করা নারাজি আবেদনটিও নামঞ্জুর করেন আদালত।

মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের করা মামলায় প্রধান আসামি বাবুল আক্তার। ওই মামলায় মোট আসামি নয় জন। আইন অনুসারে একই অপরাধের ঘটনায় দুটি মামলা চলতে পারে না।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদরদপ্তরে যোগ দিতে ওই সময় ঢাকায় ছিলেন তখনকার পুলিশ সুপার বাবুল। তার ঠিক আগেই চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশে ছিলেন তিনি।

হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছিলেন বাবুল আক্তার নিজেই।

আরও পড়ুন: