বর্ধিত গৃহকরের বিষয়ে নির্ধারিত সময়ে আপিল না করে কর দিতে বিরত থাকলে ‘ক্রোকি পরোয়ানা’ জারির সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে হুমকি দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।
Published : 06 Nov 2017, 09:35 PM
সোমবার গৃহকর নিয়ে নগর বাইশ মহল্লার সর্দার কমিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ হুমকি দিলেন।
এর আগে গত ২২ অক্টোবর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) সাধারণ সভায় গৃহকর নিয়ে ‘অপপ্রচার ও জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারীদের’ বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করার হুমকি দিয়েছিলেন মেয়র নাছির।
১৫ অক্টোবর করদাতা সুরক্ষা পরিষদের এক সমাবেশ থেকে আগের মতো আয়তনের ভিত্তিতে গৃহকর ধার্য না করলে কর না দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন পরিষদের নেতারা।
সোমবার নগর বাইশ মহল্লার সর্দারদের সঙ্গে বৈঠকে নিজের দেওয়া বক্তব্য উদ্ধৃত করে রাত ৮টায় নিজের ফেইসবুক পাতায় স্ট্যাটাস দেন মেয়র নাছির।
নাছির বলেন, আপিল আবেদনের নির্ধারিত সময় আরও এক মাস বাড়াতে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। এরমধ্যে পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সম্মানিত হোল্ডারদের সর্বোচ্চ ছাড় (গড়ে প্রায় ৭১ শতাংশ) দিয়ে ট্যাক্স চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
“আজ পর্যন্ত আপিল নিষ্পত্তিতে খুশি হননি বা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এমন একজনকেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবুও যারা ট্যাক্স ইস্যুতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন তাদের অভিপ্রায় সকলের কাছে পরিষ্কার।”
আপিলের জন্য আবেদনকৃত সময় নির্ধারিত হলে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ির মালিকরা সময় পাবেন জানিয়ে তিনি বলেন, “আর যারা সময়ে আপিল আবেদন করবেন না বা ট্যাক্স প্রদান থেকে বিরত থাকবেন, তাদের বিরুদ্ধে সরকারি ট্যাক্স আইনের ধারায় ক্রোকি পরোয়ানার সিদ্ধান্তও গ্রহণ করা হতে পারে।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন নগর বাইশ মহল্লা সর্দার কমিটির সভাপতি মো. ইউসুফ, সাধারণ সম্পাদক মাসকুদ আহমদ সর্দার, সহ-সভাপতি আবু মোহাম্মদ মুছা চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী আলী বক্স, মো. তারেক, সহ সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন ইবনে আহমেদ প্রমুখ।
এদিকে সোমবার সপ্তম দিনের মতো আপিল আবেদনের শুনানি করেছে রিভিউ বোর্ড।
সিসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সপ্তম দিনে ১৫৩ জন আবেদনকারীর আপিল নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
“এদিন নির্ধারিত ভেল্যুয়েশনের থেকে গড়ে ৭১ দশমিক ৮০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা ও পাঁচজন হোল্ডারকে বছরে নামমাত্র ৫১ টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ করা হয়েছে। ১০ জনের আগের হোল্ডিংট্যাক্স বহাল রাখা হয়েছে।”
সোমবারের শুনানিতে আপিল রিভিউ বোর্ড ১৫৩ আবেদনকারীর অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু তিন কোটি ৫০ লাখ ৫৫ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৯৮ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ধার্য করেছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ফলে এই আবেদনকারীদের দুই কোটি ৫১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ভেল্যুয়েশন কমেছে।
৫ নভেম্বর পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৪৮ জন আপিলের আবেদন করেছেন বলেও জানায় সিসিসি। ১১ নভেম্বর পর্যন্ত আয়কর বিষয়ে আপিল বোর্ডে রিভিউ আবেদন করার সময় নির্ধারিত আছে।