‘বাড়তি গৃহকর বাতিল না হলে নগর ভবন ঘেরাও’

বর্ধিত হোল্ডিং ট্যাক্স বাতিল করা না হলে নগর ভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়েছে ‘করদাতা সুরক্ষা পরিষদ’।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Oct 2017, 12:19 PM
Updated : 8 Oct 2017, 12:19 PM

রোববার পরিষদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীর দেওয়ানহাট মোড়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

এর আগে সকালে নগরীর ১০টি ওয়ার্ড কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি এবং ১০ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের স্মারকলিপি দেওয়া হয় পরিষদের পক্ষ থেকে।

এরপর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আসা বাসিন্দারা নগরীর আগ্রাবাদ জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘরের সামনে সমবেত হন। সেখান থেকে বেলা পৌনে ১২টায় শুরু হওয়া একটি মিছিল শুরু হয়ে দেওয়ানহাট মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে করদাতা সুরক্ষা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আমির উদ্দিন বলেন, “মাসব্যাপী ঘেরাও কর্মসূচির পরে আমরা গডফাদারকে ঘেরাও করব। এই ঘেরাওয়ের পরে মন্ত্রণালয়ের দোহাই দিয়ে চট্টগ্রামবাসীর উপরে যে ট্যাক্স, সেটা উড়ে যাবে।”

এর আগে সমাবেশে শুক্রবার সব পাড়া-মহল্লা, ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে বিক্ষোভ মিছিল এবং রোববার আরও ১০টি কাউন্সিলর অফিস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

মুহাম্মদ আমির উদ্দিন বলেন, “অক্টোবর মাসব্যাপী ওয়ার্ড কার্যালয়গুলো ঘেরাও করা হবে। তারপর আটটি রাজস্ব সার্কেল অফিস ঘেরাও করব। তাতেও কাজ না হলে সবশেষে নগরভবন ঘেরাও করা হবে।”

আন্দোলনের কার্যকারিতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “দাবি আদায় হবে সে বিশ্বাস আছে। গণমানুষের ঢলকে কেউ রুখতে পারবে না।”

সমাবেশে পরিষদের সভাপতি নুরুল আবছার বলেন, “এক বছর পর্যন্ত করের ব্যাপারে বিভিন্ন বাদ-প্রতিবাদ আপনারা করেছেন যে, অযৌক্তিক কর আমরা মানি না। আমরা অন্যায় অযৌক্তিক এর কাছে মাথা নত করব না।

“উনি (মেয়র) শুধু বলছেন, আইনে যা আছে তা করছেন। শুধু আইন দিয়ে দেশ চলে না। আইনের সাথে মানবতাও রাখতে হবে। চট্টগ্রামের মানুষের অধিকার আমরা আদায় করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ।”

নুরুল আবছার বলেন, “আমরা আইন-টাইন কিছু মানি না। আমরা মানি দেশের স্বার্থ, চট্টগ্রামের মানুষের স্বার্থ, চট্টগ্রামের মানুষের অধিকার।”

কাউন্সিলরদের নিরবতায় ‘বিস্ময়’

রোববার ১০ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়, গৃহকর নির্ধারণের প্রচলিত পদ্ধতি (আয়তন বা ইমারতের ধরণের ভিত্তিতে) বাদ দিয়ে বাড়ি ভাড়ার ওপর মূল্যায়নের কারণে হোল্ডিং ট্যাক্স অসহনীয় বৃদ্ধি পেয়েছে।

“যা পরিশোধের ক্ষমতা মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্ন মধ্যবিত্তের নেই। এ প্রক্রিয়া থেকে সরে আসতে সাক্ষাতে সিটি মেয়রকে আমাদের অক্ষমতা বোঝানোর চেষ্টা করি। কিন্তু আমাদের সব চেষ্টা বিফলে গেছে।”

কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে স্মারকলিপিতে বলা হয়, “আপনারা এলাকার সন্তান। আমাদের দুঃসময়ে আপনারা ত্রাতা হিসেবে আর্ভিভূত হবেন সেটাই প্রত্যাশিত।

“করপোরেশনের সাধারণ সভায় হোল্ডিং ট্যাক্স প্রক্রিয়া বাতিলে আপনাদের নিরবতা আমাদের বিস্মিত করেছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের জনবিরোধী প্রস্তাবের বিরুদ্ধে আপনাদের লিখিত ভিন্নমত (নোট অব ডিসেন্ট) দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।” 

পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার নগরীর জালালাবাদ, উত্তর আগ্রাবাদ, দক্ষিণ আগ্রাবাদ, উত্তর পাঠানটুলী, পশ্চিম মাদারবাড়ি, পাঠানটুলি, গোসাইলডাঙ্গা, মধ্যম হালিশহর, দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ও উত্তর হালিশহর ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের কাছে স্মারকলিপি দেয় পরিষদ।