সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে এসেছেন তার বাবা-মা।
Published : 26 Jan 2017, 12:56 PM
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বন্দরনগরীর লালদীঘি এলাকায় চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে আসেন বাবুলের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন ও শাশুড়ি শাহেদা মোশাররফ নীলা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কামারুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কথা বলতে কয়েকজন আসার কথা ছিল। এখন তারা দুইজন এসেছেন।”
এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলেন মিতুর স্বামী হত্যা মামলাটির বাদী সাবেক এসপি বাবুল আক্তার। এরপর ২২ ডিসেম্বর বাবুলের শ্বশুর মোশাররফ হোসেনও তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে চট্টগ্রাম এসেছিলেন।
ঘটনার পর বাবুল ঢাকা থেকে গিয়ে মামলা করেন এবং দুই সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় এসে শ্বশুর বাড়িতে ওঠেন।
শুরুতে এই হত্যাঢকাণ্ডের জন্য জঙ্গিদের সন্দেহ করা হলেও পরে পুলিশের তদন্তে গতিপথ পাল্টায়। এর মধ্যেু ২৪ জুন রাতে বাবুলকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে নিয়েও সন্দেহের গুঞ্জন সৃষ্টি হয়।
তবে এই বিষয়ে বাবুল কিংবা পুলিশ বিভাগ নীরব থাকে। এরপর ৬ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাবুলের ইচ্ছায় তাকে চাকরি থেকে অব্যায়হতি দেওয়া হয়েছে।
মিতু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ ইতোমধ্যে সাতজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে। দুজন পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহতও হয়েছেন।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম ও আনোয়ার হোসেন নামে দুজন নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে গত ২৬ জুন আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসার নাম বলেন বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ছাত্রলীগ নেতা রাশেদ হত্যাসহ প্রায় ছয় মামলার আসামি মুছা ছিলেন চট্টগ্রামে বাবুল আক্তারের সোর্স। পাশাপাশি অস্ত্রের জোগানদাতা হিসেবে গ্রেপ্তার এহতেশামুল হক ভোলাও বাবুলের সোর্স বলে পরিচিত।