মহাবিপদ সংকেত নামানো হলে উভয় বন্দর কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি শুরু করে।
Published : 14 May 2023, 09:47 PM
ঘূর্ণিঝড় মোখা উপকূল অতিক্রমের পর বিপদ কেটে সতর্ক সংকেত কমায় এবং চট্টগ্রাম নিরাপদ থাকায় আবার কার্যক্রম শুরু হয়েছে সমুদ্র বন্দরে; শাহ আমানত বিমানবন্দর খোলার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে।
রোববার রাত থেকে দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দরে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরুর কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক।
অপরদিকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মোখা’র বিপদ কেটে গেছে, বিপদ সংকেতও কমানো হয়েছে। আশা করছি সোমবার সকাল ছয়টা থেকে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করা যাবে।
ইতোমধ্যে বিমানবন্দর সচলে সব ধরনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে সোমবার সকালে কোন ফ্লাইটটি আসবে বা যাবে তা এখনও ঠিক হয়নি।
অতি প্রবল ঘূর্নিঝড় মোখা চট্টগ্রামের উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়ার প্রেক্ষিতে শনিবার সকাল থেকে বিমানবন্দরে সব ধরনের বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
রোববার দিনের ভাগে ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূল হয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়। এরপর রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে। এরপর বন্দর চালুর বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা কার্যক্রম শুরু করেন।
উপকূলে আঘাত হানার পর কক্সবাজার ও মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে তাণ্ডব চালিয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা; বৃষ্টি ঝরিয়ে শক্তি হারিয়ে পরিণত হয়েছে স্থল গভীর নিম্নচাপে।
ঝড়ের বিপদ কেটে যাওয়ায় কক্সবাজার বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত থেকে নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরকে।
বিমানবন্দরের মতো শনিবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। মহাবিপদ সংকেত দেখানোর পর জাহাজগুলো বহিনোঙরে পাঠানো হয়। বন্ধ রাখা হয় পণ্য সরবরাহ কার্যক্রমও।
বন্দর সচিব ফারুক জানান, রোববার রাত থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হবে। তবে জেটিতে জাহাজ ভিড়বে সোমবার সকালে।
তিনি বলেন, “সিগন্যাল কমার পর স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বন্দরের সচলতা শুরু হয়েছে বলা যায়। বন্দরের শেড থেকে পণ্য সরবরাহের জন্য আমরা প্রস্তুত আছি, কেউ আসলে সরবরাহ দেওয়া যাবে।”
তিনি জানান, সোমবার ভোরে জোয়ারের সময় আউটারে যাওয়া জাহাজ ফিরবে। এরপর জেটিতে জাহাজ ভিড়লে পণ্য ওঠানামা শুরু হবে।