হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “আজকে গোটা বাংলাদেশের মানুষ ফুঁসে উঠেছে। আমরা বন্দিশালার তালা ভাঙতে চাই না।”
Published : 18 Feb 2025, 09:32 PM
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এ টি এম আজহারুল ইসলামকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ।
মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর লালদীঘি মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।
এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “আজকে গোটা বাংলাদেশের মানুষ ফুঁসে উঠেছে। আমরা বন্দিশালার তালা ভাঙতে চাই না। বিগত ১৫ বছর আমাদের রক্ত ঝরেছে, কারাবরণ ও ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়েছে।
“বিরোধী দল দমন করার জন্য গায়েবি মামলা দায়ের করেছিল। জামায়াতকে আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করতে না পেরে মামলা দিয়ে হয়রানি করেছিল। যে সাজানো মামলা এবং ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে তৎকালীন কথিত রায়ে এ টি এম আজহারকে বন্দি রাখা হয়েছে।”
বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার জন্য এ টি এম আজহার অসংখ্যবার জেল খেটেছেন মন্তব্য করে এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “তিনি ১৩ বছরের অধিক কারাগারে বন্দি। এভাবে ফ্যাসিবাদের আমলে নির্যাতিত হয়েছে। জামায়াত ইসলামী অন্যায় ও অবিচারের কাছে মাথা নত করবে না।
“ন্যায় বিচারের জন্য ৫ অগাস্ট ছাত্রজনতা রক্ত দিয়েছে। আমাদেরকে আপনারা বাধ্য করবেন না। ৪৮ ঘণ্টার ভেতর জননেতা এ টি এম আজহারকে মুক্তি দিতে হবে।”
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর এ টি এম আজহারকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এরপর ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর দেওয়া রায়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে আপিল বিভাগ।
এ রায় রিভিউ চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করেন এ টি এম আজহারুল ইসলাম। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি সেই শুনানি হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আহছানুল্লাহ ভুঁইয়া, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য জাফর সাদেক, অধ্যক্ষ মাওলানা আমিরুজ্জামান ও অধ্যাপক নুরুল আমিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, উত্তর জেলা জামায়াতের আমীর আলাউদ্দিন সিকদার, মহানগরের নায়েবে আমীর ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ ও মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, দক্ষিণ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক, উত্তর জেলা সেক্রেটারি আবদুল জব্বার প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর লালদীঘি মাঠ থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পুরাতন রেল স্টেশনে গিয়ে শেষ হয়।