সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ: তদন্ত প্রতিবেদন ডিসির হাতে

জেলা প্রশাসক বলছেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলে’ প্রতিবেদনের বিস্তারিত গণমাধ্যমে তুলে ধরা হবে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 March 2023, 06:12 AM
Updated : 14 March 2023, 06:12 AM

সীতাকুণ্ডের সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় করা তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে জেলা প্রশাসনের কাছে।

তবে প্রতিবেদনে কী আছে বা বিস্ফোরণের কী কারণ কমিটি উৎঘাটন করেছে, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামান মঙ্গলবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতা সারা হবে আজ বিকাল ৩টায়। এরপর প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়সহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন দপ্তরে পাঠানো হবে। তাদের অনুমতি পেলে প্রতিবেদনের বিস্তারিত গণমাধ্যমে তুলে ধরা হবে।”  

সীতাকুণ্ডের সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে শিল্পে ব্যবহারের জন্য অক্সিজেন উৎপাদন হত। গত ৪ মার্চ ওই কারখানায় বিস্ফোরণে ৭ জনের মৃত্যু হয়, আহত হন আরও ২৫ জন। বিস্ফোরণে ৫০০ গজ দূরে উড়ে যাওয়া লোহার পাতের আঘাতেও একজনের মৃত্যু হয়।

Also Read: অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ ‘এয়ার সেপারেশন কলাম থেকে’

Also Read: সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের বিরুদ্ধে মামলা

ওই ঘটনার পর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়, যার নেতৃত্ব দেওয়া হয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসানকে। ফায়ার সার্ভিস, বিস্ফোরক পরিদদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, শিল্প ও জেলা পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা ছিলেন ওই তদন্ত কমিটিতে।

তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এর আগে বলেছিলেন, প্ল্যান্টের ‘এয়ার সেপারেশন কলাম’ থেকে এই বিস্ফোরণ হতে পারে।

বিস্ফোরণের পর সোমবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের এক সভায় জানা যায়, সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টটি পরিচালিত হচ্ছিল দুজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার এবং মানবিক থেকে পাস করা একজন সুপারভাইজার দিয়ে।

মালিকপক্ষ সব কমপ্লায়েন্স পালনের দাবি করলেও সরকারি সংস্থাগুলো জানায়, তিন মাস আগেই পরিদর্শনে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিভিন্ন অনিয়ম ধরা পড়েছিল। কারখানাটির পরিবেশ ছাড়পত্র ছিল না। এমনকি ফায়ার সেফটি প্ল্যান ও বয়লার ব্যবহারের সনদও ছিল না।

বিস্ফোরণের পর থেকে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।বিস্ফোরণে নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়েছে মালিকপক্ষ।

Also Read: সীতাকুণ্ডে কত কারখানা? সংখ্যাই জানা নেই, তদারকি তো দূর

Also Read: ‘ত্রুটির জন্য’ একবার নোটিস পেয়েছিল সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্ট

Also Read: সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্ট চালাতেন দু’জন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার

এছাড়া বিস্ফোরণে আহতদের মধ্যে যে দু’জন পা ও চোখ হারিয়েছেন, তাদের ৫ লাখ টাকা করে দেবে সীমা অক্সিজেন। আহত অন্যরা চিকিৎসার জন্য দুই লাখ টাকা করে পাবেন।

আহতরা কর্মস্থলে ফেরা পর্যন্ত সবরকম বেতন-ভাতা পাবেন। সুস্থ হওয়ার পর তারা চাইলে কাজে ফিরতে পারবেন। তাদের চাকরির নিশ্চয়তা দিয়েছে সীমা অক্সিজেন লিমিটেড। এছাড়া নিহতদের পরিবারের কেউ চাকরি করতে চাইলে তাদেরও চাকরি দেওয়া হবে।