বছর চারেক বিরতিতে আরেকটি ক্রিকেট বিশ্বকাপ চলে এসেছে প্রায়। অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ডে একাদশ বিশ্বকাপের খেলা মাঠে গড়ানোর আগে ফিরে দেখা যাক আগের ১০ আসর। প্রথমেই ১৯৭৫ সালে প্রথম বিশ্বকাপ আয়োজনের পটভূমি এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বজয়ের কাহিনী।
Published : 01 Feb 2015, 12:46 PM
২০১১: বাংলাদেশেও বিশ্বকাপ, শিরোপা ভারতের
২০০৭: অস্ট্রেলিয়ার হ্যাটট্রিক শিরোপা, বাংলাদেশের সেরা সাফল্য
১৯৭৯: আবারও স্বাগতিক ইংল্যান্ড, চ্যাম্পিয়ন উইন্ডিজ
১৯৮৩: অঘটনের তৃতীয় বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন ভারত
১৯৮৭: উপমহাদেশে প্রথম বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার আধিপত্যের সূচনা
১৯৯২: পাকিস্তানের ক্রিকেটীয়-রূপকথা
১৯৯৬: শ্রীলঙ্কার আভিজাত্যে উত্তরণের কাহিনী
বিশ্বকাপ - নামেই যার পরিচয়। ব্যাপারটা খেলাধুলার হলে বুঝে নিতে কারো বিন্দুমাত্র কষ্ট হয় না যে এটা নির্দিষ্ট কোনো খেলার বিশ্বসেরাদের নিয়ে আয়োজিত শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতা।
ফুটবল, আইস হকি, টেবিল টেনিসের বিশ্বকাপের পথচলা শুরু দুই মহাযুদ্ধের মাঝের সময়টায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষের বছর দশকের মধ্যে সে পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবল, রাগবি লিগ। ১৯৭১ আসতে আসতে হকিও চলে আসে সেই দলে। কিন্তু ক্রিকেটের বিশ্বকাপ? বিশ্বের প্রথম সংগঠিত দলীয় খেলা এক্ষেত্রে পিছিয়ে ঢের। ১৯৭৫ সালের আগ পর্যন্ত হয়নি যে ক্রিকেটের বিশ্বকাপ!
ঠিক বিশ্বকাপ নাম দিয়ে নয়, তবে ১৯১২ সালে ক্রিকেটে ওই ধরনের চেষ্টা হয়েছিল একবার। তখনকার টেস্ট খেলুড়ে তিন দেশ অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে আয়োজিত হয় চ্যাম্পিয়নশিপ। কিন্তু বাজে আবহাওয়ায় বেশিরভাগ খেলা বাধাগ্রস্থ হওয়ায় কলিতেই ঝরে যায় সেই প্রচেষ্টা। কালক্রমে টেস্ট আঙ্গিনায় যোগ হয় নিউ জিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত ও পাকিস্তান। ‘টাইমলেস’ যুগ থেকে পাঁচ দিনের জমানায় ঢোকে অভিজাত খেলাটি। তবু বিশ্বকাপ আয়োজন দুঃসাধ্য হয়ে ছিল দীর্ঘ দিন। একেকটি খেলাই যদি হয় পাঁচ দিন করে, তাহলে যে বিশ্বকাপ শেষ করতে লেগে যাবে দীর্ঘ সময়!
ওই সমস্যার সমাধান নিয়ে এল ওয়ানডে ক্রিকেট। ১৯৭১ সালের ৫ জানুয়ারি এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ চালু হল বলেই না এর চার বছরের মধ্যে মঞ্চস্থ হতে পারে বিশ্বকাপ!
ওয়ানডে ক্রিকেট চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যে সবাই হুড়মুড়িয়ে পড়ে সেদিকে, ব্যাপারটি মোটেই তেমন না। ১৯৭১ সালের ৫ জানুয়ারি পথচলা শুরুর পর ১৯৭৫ সালের ৭ জুন প্রথম বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়ানোর আগ পর্যন্ত মোট ওয়ানডে হয়েছে মোটে ১৮টি। অথচ ঠিক ওই সময়ে বিশ্বজুড়ে আয়োজিত টেস্ট ম্যাচের সংখ্যা ৮৪। দৈর্ঘ্যে পাঁচগুণ বেশি হওয়ার পরও যখন প্রায় পাঁচগুণ বেশি আয়োজিত হয় টেস্ট, ওয়ানডের গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তার অবস্থা তখন সহজেই অনুমেয়।
খেলোয়াড় (দেশ) | ম্যাচ | রান | সেরা | গড় | ১০০/৫০ |
গ্লেন টার্নার (নিউ জিল্যান্ড) | ৪ | ৩৩৩ | ১৭১* | ১৬৬.৫০ | ২/০ |
ডেনিস অ্যামিস (ইংল্যান্ড) | ৪ | ২৪৩ | ১৩৭ | ৬০.৭৫ | ১/১ |
মাজিদ খান (পাকিস্তান) | ৩ | ২০৯ | ৮৪ | ৬৯.৬৬ | ০/৩ |
কিথ ফ্লেচার (ইংল্যান্ড) | ৪ | ২০৭ | ১৩১ | ৬৯.০০ | ১/১ |
অ্যালেন টার্নার (অস্ট্রেলিয়া) | ৫ | ২০১ | ১০১ | ৪০.২০ | ১/০ |
সবচেয়ে বেশি উইকেট:
খেলোয়াড় (দেশ) | ম্যাচ | উইকেট | সেরা | গড় | ইকোনমি |
গ্যারি গিলমোর (অস্ট্রেলিয়া) | ২ | ১১ | ৬/১৪ | ৫.৬৩ | ২.৫৮ |
বার্নার্ড জুলিয়েন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) | ৫ | ১০ | ৪/২০ | ১৭.৭০ | ২.৯৫ |
কিথ বয়েস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) | ৫ | ১০ | ৪/৫০ | ১৮.৫০ | ৩.৫৫ |
রিচার্ড হ্যাডলি (নিউ জিল্যান্ড) | ৪ | ৮ | ৩/২১ | ২০.২৫ | ৩.৫২ |
অ্যান্ডি রবার্টস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) | ৫ | ৮ | ৩/৩৯ | ২০.৬২ | ২.৯১ |
ডেনিস লিলি (অস্ট্রেলিয়া) | ৫ | ৮ | ৫/৩৪ | ২৭.৮৭ | ৪.২০ |