সেরা তিনের একটি? বিরাট কোহলির মনে তেমন কোনো সংশয় নেই। নিজেদের পেস আক্রমণকে ভারত অধিনায়ক মনে করেন বিশ্বসেরা। সেই পেস আক্রমণের তেজ দেখা যাবে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টেও। তিন পেসার নিয়ে বোলিং আক্রমণ সাজাবে ভারত, ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন কোহলি।
Published : 13 Nov 2019, 05:28 PM
সবশেষ সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানের জয়ে কেবল একটি টেস্টে তিন পেসার খেলিয়েছিল ভারত। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে একসঙ্গে খেলেছিলেন মোহাম্মদ শামি, ইশান্ত শর্মা ও উমেশ যাদব। প্রথম টেস্টে ভারতের দুই পেসার ছিলেন শামি ও ইশান্ত। শেষ টেস্টে ইশান্ত ছিলেন বিশ্রামে, শামির সঙ্গে ছিলেন উমেশ।
পেসারদের পারফরম্যান্স আর ইন্দোরের উইকেট, সব বিবেচনায় নিয়ে তিন পেসারের সিদ্ধান্ত, বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট শুরুর আগের দিন জানালেন কোহলি।
“উইকেটের দিকে তাকিয়ে এটিই মনে হচ্ছে সবচেয়ে সম্ভাব্য (তিন পেসার)। আরেকটি বড় কারণ, উমেশ যেভাবে বোলিং করছে (গত কয়েক টেস্টে)। শামি তো দুর্দান্ত করছেই। বুমরাহ ফিট নন। গত ২ বছরে ইশান্ত আমাদের সবচেয়ে ধারাবাহিক বোলার এবং টেস্টে আমাদের সাফল্যে তার বড় ভূমিকা আছে। ওর অভিজ্ঞতা দলের জন্য সহায়ক হবে।”
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে আপাতত অনেকটা এগিয়ে থেকে শীর্ষে আছে ভারত। আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়েও ভারত এক নম্বরে আছে সবার চেয়ে অনেকটা এগিয়ে থেকে। গত কয়েক বছরে দেশের মাটিতে যেমন, দেশের বাইরেও টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের পারফরম্যান্স দারুণ।
দলের এমন পারফরম্যান্সে বড় অবদান তাদের পেস আক্রমণের। একসময় যাদের বোলিং আক্রমণ ছিল পুরো স্পিন নির্ভর, এখন দেশের মাটিতেও দলকে জেতায় পেস আক্রমণ। গত কয়েক বছরে যেন পেস বিপ্লব হয়ে গেছে ভারতীয় ক্রিকেটে।
কেন এমন একটি পেস আক্রমণ গড়ে তোলা জরুরি ছিল, সেই ভাবনার পেছনের গল্প শোনালেন কোহলি।
“আমাকে জিজ্ঞেস করলে বলব, আমাদের পেস আক্রমণ একদম চূড়ায়। সেরা তিনের কথা বলব না। ওদের এটা প্রাপ্য (স্বীকৃতি)। অধিনায়ক হিসবে যখন যাত্রা শুরু করলাম, এটি নিয়েই ছিল আমাদের আলোচনা। আমার মাথায় এটি ছিল এবং আমি সত্যিই এমন কিছু দেখতে চেয়েছিলাম। ব্যাটিং কখনোই আমাদের সমস্যা ছিল না, স্পিন সমস্যা ছিল না।”
“যখন জ্যাক (জহির খান) ও অন্য পেসাররা চলে গেলেন, আমরা ভেবেছি, কিভাবে আবার আমরা চূড়ায় ফিরতে পারি। ভেবেছি, কিভাবে ২০ উইকেট নিতে পারি। বিশ্বাসটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই পেস আক্রমণ বিশ্বাস করে, যে কোনো উইকেটে প্রতিপক্ষের চেয়ে নিজেরা বেশি কিছু আদায় করে নিতে পারে। সবচেয়ে সেরা ব্যাপার হলো, এখনও ওরা ফুরিয়ে যায়নি। ক্রমাগত আরও ক্ষুধার্ত হয়ে মাঠে নামছে। এটিই এই পেস আক্রমণের সেরা শক্তি।”