‘ভারতের ২০ উইকেট নেওয়া সম্ভব’

যে কোনো টেস্ট সিরিজের আগে ঘুরে-ফিরে আসে প্রশ্নটা, প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট কি নিতে পারবে বাংলাদেশ? এলো এবারও। সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে বোলিংয়ে শক্তি হারানো দলটি কি ভারতের মাটিতে পারবে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের কঠিন পরীক্ষায় ফেলতে? মোহাম্মদ মিঠুন আত্মবিশ্বাসী, ভারতকে দুইবার অলআউট করার সামর্থ্য আছে তাদের।

ক্রীড়া প্রতিবেদকইন্দোর থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Nov 2019, 11:10 AM
Updated : 12 Nov 2019, 11:40 AM

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আগের সিরিজে তিন টেস্টে মোটে ২৫ উইকেট হারায় ভারত। শেষ দুই টেস্ট জেতে ইনিংস ব্যবধানে। স্পিনের বিপক্ষে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে কতটা কি করতে পারবেন তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজরা?

ইন্দোরে আগামী বৃহস্পতিবার শুরু হবে দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটি। হলকার স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের প্রথম অনুশীলন সেশনের পর মিঠুন জানান, সুশৃঙ্খল বোলিং করতে পারলে দুইবার স্বাগতিকদের অলআউট করা অসম্ভব নয়।

“বিশ্বাস করি এটা সম্ভব। আমি একজন ব্যাটসম্যান, আমার আউট হতে একটা বলই লাগে। এটা সব ব্যাটসম্যানের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আমরা যদি চাপ তৈরি করতে পারি, যে বোলিং ইউনিট আছি যদি সুশৃঙ্খল বোলিং করতে পারি, অবশ্যই সম্ভব।”

“অবশ্যই আমরা ওদের সম্মান করি। ওরা বিশ্বের সেরা দলগুলোর একটি। বিশেষ করে দেশের মাটিতে ওরা অনেক বেশি শক্তিশালী। আমরা এই সিরিজের দিকে তাকিয়ে আছি।”

সীমিত ওভারের ক্রিকেটের চেয়ে টেস্টে সাকিব ও তামিম ইকবালের অভাব অনেক বেশি অনুভব করবে বাংলাদেশ। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মিঠুন আশাবাদী, সবাই এগিয়ে এলে দেশের সেরা দুই খেলোয়াড়ের অভাবও পূরণ করা সম্ভব।

“অবশ্যই সাকিব, তামিমের অভাব অনুভব করব। তারা আমাদের সেরা খেলোয়াড়। তবে এটা নিয়ে পড়ে থাকার সুযোগ নেই। ওদের অভাব পূরণ করতে দল হিসেবে আমাদের ভালো খেলতে হবে।”

“সাকিব ভাইকে রিপ্লেস করার অবস্থা আমাদের নেই। তারা থাকলে তাদের অভিজ্ঞতা কাজে দিত। তবে তারা যেহেতু নেই সেটি চিন্তা করে যারা আছি, কিভাবে ভালো করতে পারি সেদিকে মনোযোগ দিচ্ছি।”

উইকেটের জন্য তাইজুল-মিরাজ কিংবা বড় রানের জন্য মুমিনুল-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর দিকে তাকিয়ে নেই বাংলাদেশ। মিঠুন জানান, নিজের অবস্থান থেকে সবাই যতটুকু সম্ভব অবদান রাখতে প্রস্তুত।

“আমাদের দলটি ভারসাম্যপূর্ণ। ব্যাটিং, বোলিং দুই দিক থেকেই দলে ভালো ভারসাম্য আছে। যখন আমরা দল হিসেবে খেলতে পারি তখন আমরা ভালো করি। জিততে হলে আমাদের একজন-দুইজনের ওপর নির্ভর করলে চলবে না। পুরো দলেরই ভালো করতে হবে। বিশেষ করে ভারতের মতো দলের বিপক্ষে ইউনিট হিসেব খেলতে পারলে আমাদের সম্ভাবনা থাকবে।”

“ওদের দুর্বল দিক খুঁজে বের করার চেয়ে নিজেদের শক্তির জায়গা নিয়ে বেশি ভাবছি। ভারতের মাটিতে কোনো দলই সুবিধা করতে পারেনি। আমরা চেষ্টা করছি কিভাবে এখানে ভালো ক্রিকেটটা খেলতে পারি। ওদের দুর্বলতা খুঁজতে গিয়ে আমার মনে হয় আমাদের মনোযোগ, প্ল্যান থেকে দূরে সরে যাব।”

সবাইকে চমকে দিয়ে দিল্লিতে ভারতকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তেমন কিছুর দিকেই তাকিয়ে আছেন মিঠুন।

“যদি পেছনে তাকাই, এই সফরের আগে কেউ আশা করেনি যে আমরা টি–টোয়েন্টিতে ভারতের মাটিতে ভারতকে হারিয়ে দেবে। তবে আমাদের বিশ্বাস ছিল। আমরা যখনই মাঠে নামি জেতার জন্যই নামি। আমাদের আত্মনিবেদনে কিন্তু ঘাটতি নেই।”

“টেস্টে প্রতিটি সেশন জেতা গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম দিনের প্রথম সেশন যেমন গুরুত্বপূর্ণ শেষ দিনের শেষ সেশনও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যত বেশি সেশন জিতব আমাদের সম্ভাবনা তত বেশি থাকবে।”