মাশরাফি বিন মুর্তজার ক্যাচ নিয়ে ঘোর কাটছে না অনেকেরই। পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠার ম্যাচে দারুণ ছিল মুশফিকুর রহিমের ক্যাচটিও। ব্যাটে-বলে পারফরম্যান্স তো আছেই, ক্যাচিংয়েও সিনিয়র ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স মুগ্ধতা জাগানিয়া। মুশফিকুর রহিম মজা করে বলছেন, বুড়ো বয়সেও তারা ভালো ক্যাচ নিতে পারছেন!
Published : 27 Sep 2018, 11:38 AM
পাকিস্তানকে ৩৭ রানে হারানো ম্যাচের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট মাশরাফির ক্যাচ। শর্ট মিড উইকেটে অসাধারণ ক্যাচ নিয়ে ফিরিয়েছেন মূল বাধা শোয়েব মালিককে। ৬৭ রানের জুটি ভাঙার পর ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ।
মালিকের ক্যাচের আগে মুশফিক নিয়েছিলেন সরফরাজ আহমেদের ক্যাচ। মুস্তাফিজের বলে বেশ জোরে ব্যাট চালিয়েছেন সরফরাজ, ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় পেছনে। মুশফিকের নাগালের খুব বাইরে ছিল না বলটি, তবে গতি ছিল অনেক। মুশফিক দুহাতে জমিয়ে নেন দারুণ ক্ষিপ্রতায়।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে উঠল মাশরাফির ক্যাচটির প্রসঙ্গ। যদিও মুশফিকের এমন কোনো বয়স হয়নি, ৩৫ ছুঁইছুঁই মাশরাফির চেয়ে বছর চারেকের ছোট তিনি। তবু নিজের ক্যাচটিকেও টেনে এনে কৌতুক করে জানালেন, তারা দুজনই খুশি।
“এটা অনেক বড় উইকেট ছিল। শোয়েব ওদের দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ধারাবাহিক ক্রিকেটার। আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে তাকে বড় ইনিংস খেলতে দেইনি। আর বুড়ো বয়সেও একটি-দুটি ভালো ক্যাচ ধরার তৌফিক আল্লাহ দিয়েছেন। সেদিক থেকে খুবই খুশি। মাশরাফি ভাইও খুশি, আমিও খুশি।”
আবু ধাবিতে এদিন ১২ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে উদ্ধার করে ম্যান অব দা ম্যাচ হয়েছেন মুশফিক। তার ৯৯ রানের ইনিংস আর মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে ১৪৪ রানের জুটিতেই ২৩৯ পর্যন্ত যেতে পারে দল। যদিও এই স্কোরে জেতা যাবে, এমন বিশ্বাস ছিল না মুশফিকের।
“সত্যি বলতে, আমার মনে হয়েছিল ২৩৯ যথেষ্ট নয়। আমি ওই সময় আউট হয়ে বেশ হতাশ ছিলাম। কারণ উইকেট দেখে আমার মনে হয়েছিল, ২৬০ রান লড়াকু স্কোর। সেটা করতে হলে আমার টিকে থাকতে হতো। কিন্তু বোলাররা দারুণ করেছে।”
“এই রান ডিফেন্ড করতে হলে শুরুতে উইকেট দরকার ছিল। মুস্তাফিজ যা করেছে, এর চেয়ে ভালো কিছু আর হতে পারে না। গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়েছে। মাশরাফি ভাইয়ের ক্যাচটি ছিল অসাধারণ। কারণ আমরা জানতাম ওদের ব্যাটিংয়ে শোয়েব মালিকই আমাদের মূল হুমকি। দু-একটি সুযোগ হাতছাড়া করলেও ফিল্ডিং সব মিলিয়ে ছিল দারুণ।