“আমরা চাই, সরকার আমাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে দ্রুত বিষয়টির সমাধান করুক।"
Published : 02 Jul 2024, 02:51 PM
সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মত সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
আগের দিনের মতই মঙ্গলবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের ক্লাস, পরীক্ষা এবং দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। খোলা হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারও।
দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদার নেতৃত্বে শিক্ষকরা কলা ভবনের ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তবে ‘অসুস্থতার কারণে’ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া সেখানে উপস্থিত হতে পারেননি।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ‘আন্দোলন চলবে’ জানিয়ে জিনাত হুদা বলেন, “আমরা সর্বজনীন পেনশনের বিরুদ্ধে নই, আমরা প্রত্যয় স্কিমের বিরুদ্ধে। এই প্রত্যয় অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
“আমরা শিক্ষার্থীদের ক্ষতির মুখে ফেলতে চাই না। আমরা ক্লাসরুমে ফিরে যেতে চাই। আমরা চাই, সরকার আমাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে দ্রুত বিষয়টির সমাধান করুক।"
সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদও কর্মবিরতি পালন করেছে। দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে দেখা যায়, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেই ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে রয়েছেন।
আগের ঘোষণা অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রথম দিন থেকেই ‘প্রত্যয়’ স্কিম চালু হয়েছে। তাতে যুক্ত হলে অবসরপরবর্তী আর্থিক সুবিধা কমে যাওয়ার শঙ্কায় সোমবার থেকে আন্দোলনে নেমেছেন দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকরা। এই আন্দোলনে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরাও।
শিক্ষকদের অভিযোগ, এ স্কিম ‘বৈষম্যমূলক’। এতে ১ জুলাই এবং এর পরে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
তাদের দাবি হল ‘প্রত্যয়’ স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন করা।
এদিকে এক বার্তায় জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ বলেছে, গত ৩০ জুনের আগে চাকরিতে যোগদানকারী শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নতুন স্কিমে যুক্ত হওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই।
পুরনো খবর
প্রত্যয় স্কিম: সোমবার থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা