গত ১৪ মার্চ এক্সিম ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের ১৮৭তম সভার সিদ্ধান্ত বিজ্ঞাপন আকারে এসেছে গণমাধ্যমে।
Published : 17 Mar 2024, 08:09 PM
দুর্দশাগ্রস্ত পদ্মা ব্যাংক একীভূত করতে পরিচালক পর্ষদের নেওয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য (পিএসআই) প্রকাশ করল পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এক্সিম ব্যাংক।
কোম্পানি সচিব মনিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, পরিচালক পর্ষদের সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীদের অবহিত করতে পিএসই প্রকাশ করা হয়েছে পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে।
গত ১৪ মার্চ এক্সিম ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের ১৮৭তম সভার সিদ্ধান্ত বিজ্ঞাপন আকারে এসেছে গণমাধ্যমে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির ব্যবসায় পরিবর্তন, সংযোজন বা এমন কোনো সিদ্ধান্ত যা আর্থিক প্রতিবেদনে প্রভাব পড়তে পারে ও শেয়ারদরকে প্রভাবিত করতে পারে, এমন কোনো তথ্য বিনিয়োগকারীদেরকে জানানোর বাধ্যবাধকতা আছে। একেই মূল্য সংবেদনশীল তথ্য বা পিএসআই বলে।
সিদ্ধান্ত নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ‘মূল্য সংবেদনশীল তথ্য’ বিনিয়োগকারী ও স্টক এক্সচেঞ্জকে জানানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এজন্য পত্রিকার পাশাপাশি অনলাইন নিউজ পোর্টালে বিজ্ঞাপন আকারে ছাপাতে হবে।
পরবর্তী কার্যদিবসে স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদেরও তা জানানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে লেনদেন শুরু হওয়ার পূর্বে।
পদ্মা ব্যাংক পুঁজিবাজারে না থাকলেও এক্সিম ব্যাংক ২০০৪ সালে তালিকাভুক্ত হয়েছে। সে হিসেবে দুই ব্যাংকের একীভূতকরণ প্রক্রিয়া বিনিয়োগকারীদেরকে জানানোর বাধ্যবাধকতা আছে। সোমবার ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি আকারে এই তথ্য প্রকাশ হবে।
লোকসানি পদ্মা ব্যাংককে অধিগ্রহণ করলে তার আমানত ও ঋণের দায়, পুঞ্জিভূত লোকসান-সব কিছুই মুনাফায় থাকা এক্সিম ব্যাংকের ওপর পড়বে। এতে করে কোম্পানির ভবিষ্যতের আয়কে প্রভাবিত করতে পারে।
গত ১৪ মার্চ এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “এক্সিম ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পদ্মা ব্যাংকে একীভূত করার। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখন পদ্মা ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা করতে চুক্তি করব সোমবার।”
বাংলাদেশ ব্যাংকে এই চুক্তি করা হবে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের উপস্থিতিতে। চুক্তির পর একীভূত করার প্রক্রিয়া নির্ধারণ করা হবে।
পদ্মা ব্যাংক অধিগ্রহণ করে এক্সিম ব্যাংকের কী লাভ
দুর্দশাগ্রস্ত পদ্মা ব্যাংক একীভূত হচ্ছে এক্সিমে
ব্যাংক একীভূতকরণ: স্বেচ্ছায় ডিসেম্বরের মধ্যে, না হলে মার্চে প্রক্রিয়া শুরু