খামারিরা বলছেন, আমদানি করে বাজার নিয়ন্ত্রণের চিন্তা ভুল। খাবার ও বাচ্চার দাম নিয়ন্ত্রণের তাগিদ দিয়েছেন তারা।
Published : 14 Sep 2024, 01:06 AM
গত বছরের নভেম্বরে ভারত থেকে ডিমের একটি চালান আসার পর থেকে দাম কমতে শুরু করলেও এবারের চিত্র ভিন্ন। দাম কমেছে, এমন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না বাজারে গিয়ে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রথম চালানে আসা সোয়া দুই লাখ ডিম দেশের চাহিদার তুলনায় ‘সমুদ্রের বুকে এক ফোঁটা জলের মত’। এভাবে আমদানি করে বাজার দরে কতটা প্রভাব ফেলা যাবে, সে বিষয়ে আশাবাদী নন তারা।
আবার আমদানি বাড়ালে দেশের পোলট্রি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে, আমদানিনির্ভর হয়ে গেলে ভবিষ্যতে দাম আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে, তাতে দেশে কর্মসংস্থানেও প্রভাব পড়তে পারে। এ সব কিছু বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে খামারিরা।
এরই মধ্যে খামারিদের একটি সংগঠন ডিম আমদানির বিরোধিতা করে কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তারা বলছে, খাবার ও বাচ্চার দাম নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ না নিয়ে আমদানিতে গেলে কোনো লাভ হবে না, উল্টো দেশের ক্ষতি।
গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আসে ২ লাখ ৩১ হাজারের কিছু বেশি ডিম। পরের দিন তা ছাড় করা হয় বন্দর থেকে।
বুধবার মহাখালী কাঁচা বাজারে গিয়ে যারপরনাই হতাশ আজিজ মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নিউজে দেখলাম লাখ লাখ ডিম আইছে ভারত থেকে। কিন্তু দাম তো কমল না। আর ভারতের ডিমেরও কোথাও দেখা মিলল না।”
বৃহস্পতিবার সুপার শপ স্বপ্নতে একটি ডিম বিক্রি হয়েছে ১৪ টাকা করে, এই হিসাবে ডজন দাঁড়ায় ১৬৮ টাকা। বাজারে হালি ৫৫ টাকা।
“এত দাম দিয়ে কি নিয়মিত ডিম খাওয়া যায়? বাড়িতে বাচ্চাদের ডিম খাওয়াতে হয়। আমরা খাই। কিন্তু দাম খালি বাড়েই”, বলছিলেন আজিজ মিয়া।
মহাখালী স্কুল রোডে এঅ্যান্ডএ ভ্যারাইটিজ স্টোরের বিক্রেতা মোরশেদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাংলাদেশে ডিমের চাহিদা কত, আর কী পরিমাণ এলো, সেটা দেখার বিষয়। ভারতের আসা ডিম যেন সাগরের বুকে এক ফোটা জলের মত।
“সরকার চার দেয়ালের ভেতরে বসে এসব চিন্তাভাবনা করলে হবে না। বাজার গবেষণা করে দেখতে হবে। যেখানে দৈনিক কয়েক কোটি ডিমের চাহিদা, সেখানে এই লাখখানেক ডিমে কিছুই হবে না।”
নভেম্বরে আমদানিতে প্রভাব পড়লেও এবার নেই কেন
২০২৩ সালের নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভারত থেকে ৬২ হাজার ডিমের একটি চালান আসার পর পাইকারিতে প্রতিটি ডিমের দাম তাৎক্ষণিকভাবে ৮০ পয়সা কমে গিয়েছিল। এরপর টানা দাম কমতে থাকে, এক পর্যায়ে ডজন ১২০ টাকার আশেপাশে নেমে আসে।
সে বছর দেড় কোটি ডিম আমদানির অনুমতি থাকলেও একটি চালানের পর দেশে আর ডিম ঢোকেনি।
এবার কেন দাম কমেনি- এ প্রশ্নে ব্যবসায়ীরা বললেন, শীতে ডিমের দাম পড়তি থাকে। সেটি ছিল নভেম্বরে দাম কমার একটি কারণ। আর এখন সরকার পতনের পর সময়টা অস্থির, এখানে বাজার থেকে শুরু করে কোনো কিছুই স্বাভাবিক অবস্থায় নেই।
আবার দেশের ১১ জেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত। সেখানে মুরগি ও ডিমের খামারগুলো ধ্বংসপ্রায়। এতে সরবরাহ সংকট তৈরি হয়েছে।
আজিজের মতই ডিম কিনতে এসে হতাশা প্রকাশ করলেন সংবাদকর্মী তাসমিয়া আহমেদ। তিনি প্রতি সপ্তাহে দুই হালির মত ডিম কেনেন।
আগের সপ্তাহের মতই ৫৫ টাকা হালিতে ডিম কিনে তিনি বললেন, “দাম আর কমল কই? কমার কোনো লক্ষণও দেখি না।”
দেশে বেশি চাহিদা লাল ডিমের। ভারত থেকে এসেছে সাদা ডিম। বাজারে সাদা ডিমের দাম একটিতেই হালিতে ৫ টাকা কম।
ভারত থেকে আসা ডিম কোথায়
৮ সেপ্টেম্বর যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আসা ২ লাখ ৩১ হাজার ৪০টি ডিম ছাড় করা হয় পরদিনই।
কিন্তু ঢাকায় ডিমের বড় আড়ত কাপ্তান বাজার, তেঁজগাও ও মহাখালীতে গিয়ে সেই ডিমের কোনো হদিস পাওয়া গেল না।
ব্যবসায়ীরা বললেন, এই চালানে আমদানিকারকের মুনাফা বৃদ্ধি ছাড়া ক্রেতারা সুফল পাবে না।
মহাখালীর ডিম বিক্রেতা রবিন মিয়া বলেন, “আমরা সাদা ডিম নিই প্যারাগন থেকে। হালি প্রতি ৫০ টাকা। আর লাল ডিম আনি তেজগাঁও থেকে। বিক্রি করছি ৫৫ টাকা হালি দরে। গত ৫-৭ দিন ধরে এই দামেই বেচতাছি। ভারতের ডিম তেজগাঁওয়ে খুঁজছি, পাই নাই। হুনছি সেটার দাম নাকি কম। আমি কাস্টমারগো যদি কমে দিতে পারি এটা তো আমার জন্যই ভালো। কাস্টমার বেশি আইব।”
মহাখালী আড়তে বুধবার ১০০টি লাল ডিম ১ হাজার ২৫০ টাকা ও সাদা ডিম ১ হাজার ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে৷
মহাখালী বাজারের বিক্রেতা আলমগীর হোসেন বলেন, “ভারতের ডিম দেশে আসবে নিউজে দেখছি। কিন্তু কোথায় পাওয়া যাবে তা জানি না। ভারতের ডিম বাজারে এসে যদি পাইকারিতে কমে, তখন দেশি ডিমের দাম কমবে।”
একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন মাহবুব আক্তার মিরা। তিনি বললেন, “গত সপ্তাহে কিনেছি ১৬০ টাকা ডজন, আজও ১৬০ টাকাই আছে। দামে কোনো পরিবর্তন নাই। আর ভারতের ডিম তো কোথাও দেখলামই না। শুধু শুনলাম আসছে। কিন্তু কোথায় আসছে?”
কাপ্তান বাজারে ডিমের পাইকারি দোকান মেসার্স ওমর ফারুকের বিক্রেতা মো. সেলিম বললেন, বুধবার ১ হাজার ২৩০ টাকা শ হিসেবে বিক্রি হয়েছে ডিম। আগের দিন ছিল ২০ টাকা কম।
সাদা ডিমের দাম বুধবার ছিল প্রতি শ ১ হাজার ২১০ টাকা, আগের দিন ছিল ১ হাজার ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা।
“দেশে যদি কয়েক কোটি ডিম আনে তাহলে দাম কমবে। আর এটা একসাথে না, ধাপে ধাপে আনতে হবে। একদিন আনতে হবে ২০ লাখ, আরেকদিন ৩০ লাখ,” বলেন এই ব্যবসায়ী।
তেঁজগাওয়ে ডিমের পাইকারি দোকান আমানত এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আমানত হোসেন বলেন, “ভারতের ডিম এখানে আসে নাই। তেঁজগাওয়ের কোথাও দেখি নাই এখনও। আমদানি বাড়লে দাম কমবে। আমরা চাই দাম কমুক। আমরা ভারতের ডিম খুঁজি, কিন্তু কোথাও পাই না।”
আমদানিকারক কোম্পানি হাইড্রো ল্যান্ড সলিউশনের কর্মকর্তা মিল্টন রায় জানালেন, এবারের চালানে যে ডিম এসেছে, সেগুলো ভৈরব ছাড়াও নরসিংদী, বেলাবো ও আশেপাশের এলাকায় যাচ্ছে।
এই ডিম আকারে দেশি ডিমের তুলনায় ছোট জানিয়ে তিনি বলেন, “একেকটা ডিমের ওজন ৫০ থেকে ৫৩ গ্রাম। আর দেশি ডিমের ওজন ৬৫ গ্রাম।”
আমদানির পর খরচ আসলে কত
ভারত থেকে ডিম এনেছে ঢাকার ‘হাইড্রো ল্যান্ড সলিউশন’ নামের একটি কোম্পানি। তাদের পক্ষে চালানটি ছাড় করার জন্য বেনাপোল শুল্কভবনে কাগজপত্র দাখিল করে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল এন্টারপ্রাইজ।
এ কোম্পানির স্বত্বাধিকারী আব্দুল লতিফ বলেন, “বর্তমান যে বাজার, ভারতের ডিম কাছাকাছিই দাম। সব খরচ মিলে আমাদের লাভ খুব একটা থাকে না। ১০ টাকা ৪০ পয়সা করে বিক্রি করেছি। বাজারে দাম আরও বাড়বে।
“সরকার যদি ট্যাক্স কমাতে পারে, আমদানি যদি বেশি করা যায়, তাহলে দাম কমবে।”
আমদানির নথিপত্র বলছে, ভারত থেকে প্রতিটি ডিম কেনা হয়েছে ৫ টাকা ৬০ পয়সা দরে। এর সঙ্গে ৩৩ শতাংশ শুল্ক যোগ হওয়ায় দাম পড়েছে সাড়ে ৭ টাকার মত। এর বাইরে আছে পরিবহন খরচ আর অপচয়।
তবে রাতুল এন্টারপ্রাইজের আব্দুল লতিফ বলছেন, ডিমের হিসাব এত সহজে করা যায় না।
“গড়ে ১০ শতাংশ ডিম নষ্ট হয়। কাস্টমস ডিউটি ছাড়াও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের একটা চার্জ আছে, এরপর শ্রমিকের মজুরি, বেনাপোল থেকে পরিবহন খরচ আছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনেরও একটা ফি জমা দেওয়া লাগে। আবার ভারতে আমাদের টিম কাজ করেছে, তারও খরচ আছে। সব মিলিয়ে প্রতি ডিমে খরচ ১০ টাকা ৩০ পয়সা।”
আবার পাইকারি থেকে খুচরায় এক থেকে দেড় টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে হয় জানিয়ে লতিফ বলেন, “দেশীয় ফার্মগুলো চায় না বাইরে থেকে ডিম আসুক। কারণ তাতে তারা একচেটিয়া ব্যবসা করতে পারবে না।”
তাহলে ভারত থেকে ডিম এনে লাভ কী- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আবেদন করেছি যাতে ট্যাক্স ফ্রি করে দেয়। তাতে ১ টাকা ৮৪ পয়সা দাম কম পড়বে।”
আমদানিকারক কোম্পানি হাইড্রো ল্যান্ড সলিউশনের কর্মকর্তা মিল্টন রায় বলেন, “খালি দাম আর ট্যাক্সের হিসাব করলে তো হবে না। ২ লাখ ডিমে নষ্ট হয় ১৬ থেকে ১৭ হাজার, খরচ যায় ১ টাকা। এরপর অন্যান্য মিলিয়ে সাড়ে ১০ টাকার মত হয়ে যায়। যদি ট্যাক্স মওকুফ হয় তাহলে ৯ টাকায় ডিম থাকবে।”
ডিমের বাজার অস্থির হওয়ার পেছনে কুমিল্লা, ফেনী ও নোয়াখালী অঞ্চলে বন্যাকেও দায়ী করেন তিনি।
মিল্টন বলেন, “ওই অঞ্চলে প্রচুর ডিম হত। সেখানে বন্যা হওয়ায় উৎপাদন কমেছে।”
আমদানি বন্ধের দাবি
সব মিলিয়ে দেশে ৫০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে দেশে ডিমের চাহিদা দিনে চার কোটির মত।
আমদানিকারক কোম্পানির কর্মকর্তা মিল্টন বলেন, “প্রতিদিন ৫০ লাখের মত ডিম এলে বাজারে প্রভাব পড়তে পারে।”
তবে বাংলাদেশে খামারিদের সমিতি বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন-বিপিএ ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়ার ঘোর বিরোধী।
বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলছে, “ডিমের উৎপাদন খরচ না কমিয়ে ডিম আমদানি করে প্রান্তিক খামারিদের ধ্বংসের চক্রান্ত চলছে।”
দেশে চাহিদার চেয়ে ডিমের উৎপাদন দিনে ৫০ লাখ বেশি জানিয়ে সমিতি বলেছে, “তাই আমদানি প্রশ্নই আসে না।”
আমদানির সিদ্ধান্তকে ‘ভুল’ আখ্যা দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এই সিদ্ধান্ত প্রান্তিক খামারিদেরকে লসের মুখে ফেলবে। আস্তে আস্তে দেশীয় খামারগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।”
দেশে ডিমের দাম বেশি কেন
ভারতের ‘শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ ভাণ্ডার' ডিম রপ্তানি করেছে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ টাকা ৬০ পয়সা দরে। ওই ডিমের উৎপাদন খরচ সে দেশে ৫ টাকার নিচে না হলে এই দরে রপ্তানি করা যেত না বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসেসিয়েশন বা বিপিএ বলছে, বাংলাদেশ একটি ডিমের উৎপাদন খরচ ১০ টাকা ২৯ পয়সা, অর্থাৎ ভারতের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।
প্রশ্ন হল কেন?
সংগঠনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের দেশে ফিডের (মুরগির খাবার) আর বাচ্চার দাম বেশি হওয়ায় ডিমের উৎপাদন খরচ বেশি। এই উৎপাদন খরচ না কমালে কোনোভাবেই ডিমের দাম কমানো সম্ভব না।”
বিপিএর হিসাব বলছে, ডিম ও মুরগির উৎপাদনে ৭৫ শতাংশ খরচ খাবারের। তাই ফিডের দাম কমালেই কেবল ডিম ও মুরগির দাম কমানো সম্ভব।
মুরগির বাচ্চার দামও ভারতের তুলনায় বাংলাদেশে অনেক বেশি বলে জানাচ্ছে সংগঠনটি।
বিপিএ সভাপতি বলেন, “ফিডের একটা সিন্ডিকেট আছে। তারা ইচ্ছেমত দাম বাড়ানোর সুযোগ পায়। ফিডের প্রধান উপকরণ ভুট্টার দাম কমলেও খাবারের দাম কমে না।”
প্রতিবেশী দুই দেশে ফিড আর বাচ্চার দামের পার্থক্য তুলে ধরে সুমন বলেন, “ভারতে প্রতি কেজি ফিডের দাম বাংলাদেশে মুদ্রায় ৩৬ টাকা, আর আমাদের দেশে দাম ৬০ টাকা, প্রায় দ্বিগুণ। ভারতে বাচ্চার দাম ২৫ থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ টাকা, আমাদের দেশে বর্তমানে ৮০ টাকা। কখনো সংকট দেখিয়ে ১২০ টাকা পর্যন্ত দাম উঠে যায়।
“ভারতের তুলনায় আমাদের দেশে ওষুধের দামও তিনগুণ। এসব দিকে যদি সরকার কঠোর নজরদারি করে তাহলে ৮ টাকার নিচে ডিমের দাম আনা সম্ভব।”
তিনি বলেন, ফিড আর বাচ্চার দাম কমালে ডিমের উৎপাদন খরচ এমনিতেই কমে যাবে।
“তখন খামারিদেরও হাহাকার থাকবে না। ডিম তখন আমদানি না, রপ্তানিও করা যাবে।”
ভারতের তুলনায় বাংলাদেশে ফিডের দাম এত বেশি কেন- সেই প্রশ্নে কাজী ফার্মের সেলস অ্যাডমিনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মাহবুব আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তাদের (ভারত) আর আমাদের উপাদানের পার্থক্য তো অনেক। তারা ভুট্টা নিজেরা উৎপাদন করে, আর আমাদের আমদানি করতে হয়। আমাদের সব উপকরণ বিদেশ থেকে আনতে হয়।
“গত ছয় মাসে ফিডের দাম বাড়েনি। যা বেড়েছে আগেই বেড়েছে। আর এখন ডলারের দাম বেশি, সব কিছুর দাম বেশি। এ অবস্থায় আমরা কীভাবে দাম কমাব?
পুরনো খবর
ডিম এল ভারত থেকে, দাম পড়ল ৮ টাকার কম
চড়ছে ডিম-মুরগির দাম, বাড়া-কমায় সবজি-মাছ