জঙ্গি ছিনতাই মামলার প্রতিবেদন পেছাল

২০২২ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকার আদালত চত্বর থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 May 2023, 07:44 AM
Updated : 15 May 2023, 07:44 AM

ঢাকার আদালত চত্বর থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৪ জুন নতুন তারিখ রেখেছে আদালত।

ঢাকার মহানগর হাকিম আফনান সুমি সোমবার মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।

এদিন প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও তদন্ত কর্মকর্তা তা জমা দিতে পারেননি; পরে আদালত নতুন দিন রাখে বলে মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান।

২০২২ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকার আদালত চত্বর থেকে প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি আনসার আল ইসলাম সদস্য মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান এবং আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাবকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা।

এ সময় আসামি আরাফাত ও সবুর নামে আরও দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করলেও পরে তাদের ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ঢাকার কোতোয়ালি থানায় টিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন আকন্দ ২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে সাগর ওরফে বড় ভাই ওরফে মেজর জিয়ার (চাকরিচ্যুত মেজর) পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় আয়মান ওরফে মশিউর রহমান (৩৭), সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক (২৪), তানভীর ওরফে সামশেদ মিয়া ওরফে সাইফুল ওরফে তুষার বিশ্বাস (২৬), রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রিয়াজ ওরফে সুমন (২৬) ও মো. ওমর ফারুক ওরফে নোমান ওরফে আলী ওরফে সাদ (২৮) পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে।

“এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দুটি মোটরসাইকেল যোগে আনসার আল ইসলামের অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জন সদস্য অবস্থান নেয়। এছাড়া আদালতের আশপাশে ও মূল ফটকের সামনে অবস্থান করা অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জন আনসার আল ইসলামের সদস্য ছিল। এরপর তারা পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।”

ওই দিন সকাল ৮টা ৫ মিনিটে কাশিমপুর থেকে ১২ জন আসামিকে প্রিজনভ্যানে ঢাকার আদালতে নিয়ে আসা হয়। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকার প্রসিকিউশন বিভাগে আসামিদের হাজিরা দেওয়ার জন্য আদালত ভবনের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল ৮- এ নিয়ে যাওয়া হয়।

বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে আদালতের মূলফটকের সামনে পৌঁছলে পুলিশের মুখে স্প্রে মেরে আসামি ছিনিয়ে নেয়।

এদিন অন্য এক মামলার শুনানির জন্য জামিনে থাকা মো. ঈদী আমিন (২৭) ও মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি (২৪) নামে আরও দুই আসামি আদালতে ছিলেন। ওই দিন মোহাম্মদপুর থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলার শুনানির জন্য তাদের আদালতে হাজির করা হয়েছিল। পরে নতুন মামলায়ও তাদের নাম রাখা হয়।

এদিকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় মেহেদী প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন বলে পুলিশ দাবি করেছিল। ঘটনার তিনদিন পর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এর কয়েকদিন পর ঈদী আমিনও আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

পুরনো খবর

জঙ্গি ছিনতাই মামলার এক আসামির আত্মসমর্পণ
যেভাবে ছিনতাই ২ জঙ্গি
পলাতক জিয়ার নির্দেশনায় জঙ্গি ছিনতাই: পুলিশ
জঙ্গি ছিনতাইয়ে ‘জড়িত’ একজন গ্রেপ্তার
জঙ্গি ছিনতাই: মেহেদী রিমান্ডে
জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় ‘প্রধান সমন্বয়ক’ ছিলেন মেহেদী: সিটিটিসি