নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে আরও চারজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার তাদেরকে কুমিল্লার লাকসাম থেকে গ্রেপ্তার করা করা হয়। গ্রেপ্তারদের মধ্যে একজন সংগঠনটির অর্থ বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কের পাশাপাশি হিজরত বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তাদের বিষয়ে বিস্তারিত শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান।
এ নিয়ে র্যাব চার দফায় মোট ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করল। এছাড়া সিটিটিসি নতুন জঙ্গি সংগঠনটির ৫ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে।
বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিরুদ্দেশ হওয়া কয়েকজন তরুণের বিষয়ে খোঁজ করতে গিয়ে সম্প্রতি ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’নামে নতুন জঙ্গি সংগঠনের সন্ধান পাওয়ার কথা জানায় র্যাব।
এ বাহিনী বলছে, উগ্রবাদে আকৃষ্ট হয়ে গত দুই বছরে বাড়ি ছাড়া ৫৫ তরুণের খোঁজ তারা পেয়েছে, তাদের মধ্যে ৩৮ জনের একটি তালিকাও তারা প্রকাশ করেছে।
তিন দফায় ওই দলের ১৯ জন ও তিন পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদীকে গ্রেপ্তারের পর গত ২১ অক্টোবর র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নতুন এ জঙ্গি সংগঠনের আমিরের সঙ্গে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফ এর প্রতিষ্ঠাতা নাথান বমের সমঝোতা হয় ২০২১ সালে।
পার্বত্য অঞ্চলে কেএনএফ’র ছত্রছায়ায় জামাতুল আনসার সদস্যদের ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য তাদের মধ্যে চুক্তিও হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে তিন লাখ টাকা দেওয়ার পাশাপাশি কেএনএফ সদস্যদের খাবার খরচ বহন করে জামাতুল আনসার।
বম পার্টির সঙ্গে ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ায়’ কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সম্প্রতি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেছেন, “এগুলো আমরা দেখছি। যদি কানেকশন পাই, তাহলে ব্যবস্থা নিচ্ছি। ধারণা করছি যে জঙ্গিরা সেখানে গিয়েছিল, তারা কেএনএফের পাশাপাশি ক্যাম্পে অবস্থান করছিল। আমরা এ ঘটনাগুলো দেখছি।”
আরও পড়ুন: