ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা এখন ৭ হাজার

২০১৮ সাল থেকে এই বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত মামলার হিসাব দিয়েছেন আইনমন্ত্রী।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 June 2023, 02:00 PM
Updated : 5 June 2023, 02:00 PM

পাঁচ বছর আগে আইন পাসের পর ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সারাদেশে মামলা হয়েছে ৭ হাজার ১টি।

সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এই তথ্য জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান এই প্রশ্ন জানতে চেয়েছিলেন। প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

আগে প্রণীত তথ্য প্রযুক্তি আইন নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ওঠার পর সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে আগের আইনটি এতে একীভূত করে।

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংসদে পাসের আগেও তা নিয়ে সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তার বিরোধিতা করে।

ওই বছরের ৮ অক্টোবর আইনটি কার্যকর হওয়ার তিন দিনের মাথায় ১১ অক্টোবর এই আইনে প্রথম মামলা হয়।

মোকাব্বির খান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় আইনে মামলায় গ্রেপ্তারের সংখ্যাও জানতে চেয়েছিলেন। তবে সেই উত্তর আইনমন্ত্রী দিতে পারেননি।

আনিসুল হক বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এই পর্যন্ত কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সংক্রান্ত প্রশ্নের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সংশ্লিষ্টতা থাকায় ওই অংশ জননিরাপত্তা বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরোধিতা আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকেও আসছে। সম্প্রতি জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থা এই আইন স্থগিত করার আহ্বানও জানিয়েছে।

Also Read: বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আবার বিতর্কে

Also Read: কথা বলতে ‘না দিতেই’ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন: ফখরুল

Also Read: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অবিলম্বে স্থগিত করুন: জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান

Also Read: বাতিল নয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন হবে: আনিসুল হক

সংসদে আরেক প্রশ্নে আইনমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বাংলাদেশের অধস্তন আদালতগুলোতে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৩৬ লাখ ৭০ হাজার ৬৭০টি মামলা বিচারাধীন ছিল। এর মধ্যে দেওয়ানি মামলা ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ১৬০টি এবং ফৌজদারি মামলা ২০ লাখ ৮৬ হাজার ৫১০টি।

দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ঢাকায় সর্বোচ্চ ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৩৩ মামলা চলমান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চট্টগ্রামে ২ লাখ ৭১ হাজার ৬০৬ মামলা। সর্বনিম্ন খাগড়াছড়িতে ৬ হাজার ৬৩০টি মামলা চলমান রয়েছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল বলেন, বর্তমান সরকার বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি লাঘবের জন্য একটি আধুনিক বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হলে সারাদেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা একটি সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে এবং মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিরন ক্ষেত্রে কার্যকর ও দৃশ্যমান উন্নয়ন হবে।

২৮-৪০ বিসিএসে ৪১,৫৬৬ নিয়োগের সুপারিশ

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সংসদে জানান, ২০১০ সাল হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত (২৮তম থেকে ৪০তম (বিশেষ) বিসিএস পরীক্ষায় ৪১ হাজার ৫৬৬ জনকে ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।

একই সময়ে প্রথম শ্রেণীর নন-ক্যাডার পদে ৫ হাজার ৭০৯ এবং দ্বিতীয় শ্রেণীতে ৭ হাজার ১৬১ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (বিপিএসসি) কোনো পদে সরাসরি নিয়োগ দেয় না। ক্যাডার ও নন ক্যাডার পদ ছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৯ সাল হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত ৯ম ও তদুধর্ব গ্রেডে ৪ হাজার ৫৬৬ জনকে এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর (১০ম ও ১১তম) বিভিন্ন নন ক্যাডার পদে ৪৩ হাজার ৪১২ জন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।