নির্বাচন: নতুন প্রকল্প, ত্রাণ বিতরণ, অর্থ ছাড় ও ফলক উন্মোচনে মানা

ইতোমধ্যে অনুমোদিত কোনো প্রকল্পের অর্থ ছাড়ে খুব জরুরি হলে ইসির সম্মতি নিয়ে তা করা যাবে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Nov 2023, 12:43 PM
Updated : 21 Nov 2023, 12:43 PM

ভোটের আগে নির্বাচনী এলাকায় নতুন প্রকল্প গ্রহণ এবং অর্থ ছাড়, অনুদান বা ত্রাণ বিতরণ এবং নতুন ভিজিডি কার্ড দেওয়ার মত কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার বিভাগ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে আলাদা আলাদা চিঠি দিয়েছেন ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান।

সেখানে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে অনুমোদিত কোনো প্রকল্পের অর্থ ছাড়ে খুব জরুরি হলে ইসির সম্মতি নিয়ে তা করা যাবে।

মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা প্রার্থী হলে সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা ভোটের প্রচার কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না।

নির্বাচনী এলাকায় নতুন কোনো প্রকল্প ঘোষণা, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনা বা ফলক উন্মোচনেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

৭ জানুয়ারির ভোটের তারিখ রেখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যে তফসিল নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে, তাতে মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর।

বাছাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১৮ ডিসেম্বর হবে প্রতীক বরাদ্দ। সেদিন থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থীরা।

রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার দিন থেকে ভোটের ফলের গেজেটে প্রকাশ পর্যন্ত কোনো সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সরকারি বা আধা-সরকারি অথবা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী অথবা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে অনুদান ঘোষণা বা বরাদ্দ ও অর্থ অবমুক্ত করা যাবে না।

বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, এ বিধান লঙ্ঘন দণ্ডনীয় অপরাধ। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আচরণ বিধিমালার বিধি-১৮ অনুযায়ী দণ্ডিত হবেন। আচরণবিধি লঙ্ঘনে জেল-জরিমানা ছাড়াও সর্বোচ্চ প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা রয়েছে ইসির।

যেসব বিষয়ে মানা

  • নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে, নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় কোনো প্রার্থী সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি তথা অফিস, যানবাহন, মোবাইল, টেলিফোন, ওয়াকিটকি বা অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না। এমনকি মাশুল দিয়েও এসব ব্যবহার করা যাবে না।

  • স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। কোনো প্রার্থী সরকারি অর্থে ক্রয়কার্য সংক্রান্ত দরপত্র আহ্বান, গ্রহণ কিংবা বাতিলের বিষয়েও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন না।

  • সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি-৩ অনুসারে নির্বাচনের আগে কোনো সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব বা উন্নয়ন তহবিলভুক্ত প্রকল্পের অনুমোদন, ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কিংবা ফলক উন্মোচন করা যাবে না।

  • নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত, নির্বাচনী এলাকায় অনুদান, ত্রাণ বিতরণ বা উন্নয়নমূলক কোনো প্রকল্প অনুমোদন না করা যাবে না।

  • তবে তফসিলের আগে অনুমোদিত প্রকল্পে অর্থ অবমুক্ত বা প্রদান করা আবশ্যক হলে জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের সম্মতি নিতে হবে।

আরও পড়ুন

Also Read: নিজ খরচে ভোটের আগাম প্রচার সামগ্রী সরাতে বলেছে ইসি

Also Read: ভোটের প্রচারে যা করা যাবে না

Also Read: নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে জানালেন শেখ হাসিনা

Also Read: তফসিলের পর এ সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার: আইনমন্ত্রী

Also Read: ৫২ হাজার কোটি টাকার ৩৭ প্রকল্প অনুমোদন

Also Read: ঢাকাসহ তিন সিটির বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য উন্নয়নে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প