রাজধানীর খিলগাঁওয়ে নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষকের স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তার নাম মেহনাজ ফরিদ ঐশী (২৯)। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরের উত্তর কামারগাঁওয়ে।
পুলিশ বলছে, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ঐশী।
বৃহস্পতিবার রাতে বনশ্রী এলাকার বাসা থেকে ঐশীর মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানান খিলগাঁও থানার এসআই সোনিয়া পারভীন।
“প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ঐশী সাংসারিক অশান্তি ও মানসিক যন্ত্রণার কারণে আত্মহত্যা করেছেন।”
ঐশীর বাবা ফরিদ উদ্দিনের অভিযোগ, তার জামাতা নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার গোলাম রব্বানী অয়ন এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিষয়টি ঐশী বুঝতে পারলে এ নিয়ে তাদের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে রব্বানী তার স্ত্রীকে নিযার্তন করত। নিযার্তন সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহত্যা করেছে।”
দশ বছর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে চাচাত ভাই গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে বিয়ে হয় ঐশীর। তাদের তিন বছর বয়সী একটি ছেলে আছে।
ফরিদ উদ্দিন বলেন, “সাত বছর তাদের সংসার ভালোভাবেই কাটছিল। গত তিন বছর যাবত সে (রব্বানী) যে নির্যাতন চালিয়েছে, তা ঐশী ডায়েরিতে লিখে গেছে। সেটি পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে।”
ঘটনার পর থেকে ঐশীর স্বামী রব্বানী পলাতক রয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।