পথচারীদের মোবাইল ফোন ঘাঁটাঘাঁটি বেআইনি কাজ: আসক

বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে এমন কাজ করেছে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সমর্থকরা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Dec 2022, 12:31 PM
Updated : 11 Dec 2022, 12:31 PM

বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে পথচারীদের মোবাইল ফোন নিয়ে পুলিশ ও ছাত্রলীগের ঘাঁটাঘাঁটির নিন্দা জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র।

মানবাধিকার সংস্থাটি রোববার এক বিবৃতিতে বলেছে, “গোপনীয়তা একজন ব্যক্তির সংবিধান স্বীকৃত অন্যতম একটি মৌলিক অধিকার। বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৩ এ এই অধিকারটি নিশ্চিত করা হয়েছে। কারও গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে এমন কর্মকাণ্ড সংবিধান ও আইনসঙ্গত নয়।”

শনিবার ঢাকায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে তল্লাশি চৌকি বসায় পুলিশ। সেখানে যাত্রীদের মোবাইল ফোন ঘেঁটে তারা বোঝার চেষ্টা করেছিল, তারা বিএনপির সমাবেশে যাচ্ছেন কি না?

এছাড়া ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় পথচারীদের মোবাইল ফোন ঘেঁটে তাদের বিএনপি সংশ্লিষ্টতা দেখার চেষ্টা চালিয়েছিল। নীলক্ষেত এলাকায় এভাবে ১২ জনকে ধরে পুলিশেও দিয়েছিল তারা।

গাজীপুরসহ আরও কিছু এলাকায়ও পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পথচারীদের মোবাইল ফোন ঘাঁটাঘাটির অভিযোগ উঠেছে।

Also Read: গাজীপুরে পুলিশের তল্লাশি, চেক করা হচ্ছে ‘ফোনের মেসেজ’

Also Read: গোলাপবাগে বিএনপি, মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগ

Also Read: সাভারে চেকপোস্ট বসিয়ে পুলিশের তল্লাশি

পুলিশ দাবি করেছে, বিএনপির সমাবেশ ঘিরে নাশকতা এড়াতে তল্লাশি করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক নেতা বলেন, ‘নাশকতা করার উদ্দেশ্যে’ আসা সংঘবদ্ধ ব্যক্তিদের তারা পুলিশে তুলে দেন।

নীলক্ষেতে মারধরের শিকার ফারুক হোসেন জমাদ্দার নামে একজন ব্যক্তি বলেন, তিনি ঢাকা উদ্যান এলাকা থেকে যাচ্ছিলেন বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে। নীলক্ষেতের মোড়ে চড়াও হয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। তাদের ফোন কেড়ে নেয় তারা। এরপর তাদের কয়েকজনকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

এসব কাজের নিন্দা জানিয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের বিবৃতিতে বলা হয়, এভাবে মোবাইল ফোন ঘাঁটাঘাটি করা একজন ব্যক্তির গোপনীয়তার অধিকারের চরম লঙ্ঘন। ব্যক্তির গোপনীয়তার সঙ্গে তার মর্যাদার সম্পর্ক জড়িত।