স্থানীয় সরকারে কাউন্সিলর থাকবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেবে প্রশাসক।
Published : 20 Aug 2024, 01:28 AM
আড়াই মাস আগে অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে জয়ী হয়েছিলেন উপজেলা পরিষদে ভোটে; তবে পরাজিত প্রার্থীর অভিযোগের কারণে এতদিন শপথ নিতে পারছিলেন না রংপুরের গংগাচড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন সুজন।
আদালতের নিষেধাজ্ঞা শেষে গত ২৯ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়ী এ চেয়ারম্যান শপথ নেন সোমবার সকালে। কিন্তু শপথ নেওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই জানতে পারেন তিনি আর চেয়ারম্যান নেই।
এদিন স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে শুধু তিনি নন, দেশের ৪৯৩ উপজেলা চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা হয়।
ক্ষমতার পালাবদলের পর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার সারাদেশে উপজেলার পাশাপাশি স্থানীয় সরকারের চার স্তরের মেয়র ও চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে।
আর কাউন্সিলরদের রাখা না রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার প্রশাসকদের ওপর ছেড়ে দিয়েছে।
গত ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর থেকে জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় আওয়ামী লীগ সমর্থক চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মেয়র, কাউন্সিলররা অনুপস্থিত থাকায় নাগরিক সেবা ব্যাহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে আইন সংশোধনের এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়।
সোমবার কয়েক দফায় পৃথক প্রজ্ঞাপনে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এসব সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
রাতে আরেক প্রজ্ঞাপনে সরকারের পতনে পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে অনুপস্থিত রয়েছেন এমন চেয়ারম্যানদের বদলে দায়িত্ব পালন করবেন প্যানেল চেয়ারম্যানরা।
এর আগে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগের কয়েক ঘণ্টা পর দেশের ৪৯৪ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যানকেও অপসারণ করা হয়েছে।
আর দিনের ভাগে স্থানীয় সরকারের পাঁচ স্তরের প্রতিষ্ঠারে মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়া চার স্তরে মেয়র ও চেয়ারম্যান পদে জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ করা হয়।
সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদে প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সরকারি কর্মকর্তারা।
এর ফলে বিএনপির বর্জনের মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচিত হয়ে আসা জনপ্রতিনিধরা বাদ পড়লেন।
এদের মধ্যে আছে ১২টি সিটি করপোরেশনের মেয়র, প্রায় পাঁচশ উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, তিন শতাধিক পৌর মেয়র এবং ৬১ জন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তীকালীন সরকার সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের বাদ দিয়ে এবং প্রশাসক নিয়োগে অধ্যাদেশ জারির পর এ উদ্যোগ এল।
যা বললেন উপদেষ্টা
সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, “কাউন্সিলরদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রশাসক নিয়োগের পর কাউন্সিলররা দায়িত্ব পালন করবে কি করবে না, এটা এখন তাদের ব্যাপার। মূল হচ্ছে-মেয়রের জায়গায় প্রশাসক, চেয়ারম্যানের জায়গায় প্রশাসক; তারাই সমস্ত দায়িত্ব পালন করবেন।”
তিনি বলেন, “এখন চারটিতে করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদে এখন হাত দিচ্ছি না। যাচাইবাছাই করে দেখা যাক সেখানে কার্যক্রম কী রকম আছে, যদি পরবর্তীকালে কোনো সময় প্রয়োজন হয় বা প্রয়োজনের তাগিদে কোনো পদক্ষেপ নিতে হয় সেটি নেওয়া হবে।”
উপদেষ্টা বলেন, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনসহ অন্যান্য যে কাজগুলো দৈনন্দিন করতে হয় সেগুলো যেন চালু থাকে এবং গ্রামীণ পর্যায়ের প্রকল্প কার্যক্রম যেন চলমান থাকে সেজন্য প্রথম দিকেই স্থানীয় যারা সরকারি কর্মচারী আছেন, তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বড় পরিসরে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও জেলা পরিষদেও প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সবগুলোই প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা দেওয়া হয়েছে।
“পরবর্তীতে কোনো পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন হলে তাহলে সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
মেয়াদ নিয়ে যা বললেন
প্রশাসকদের মেয়াদের বিষয়ে উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেন, “পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলা হয়েছে। সেটা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে। ছাত্র আন্দোলনের, তাদের চিন্তাধারা, ভাবনা, প্রত্যাশার উপর নির্ভর করছে।”
খুব শিগগির নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা আসছেন কি না? জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, “শিগগিরটা তো আবার কোয়ালিফাইড। এটা কলকেও হতে পারে, একটা পরও হতে পারে, আবার এক বছর, দুই বছর, তিন বছর, চার বছর পরও হতে পারে। এটা ভবিষ্যদের উপর নির্ভর করছে।”
তিনি বলেন, “পুরো আন্দোলনের যে প্রত্যাশা এবং দাবি পুরনো কোনো রেজিম সংক্রান্ত বা রেজিমের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রত্যেকটি কিন্তু রিপ্রেজেন্টেটিভ বডি। ছোট থেকে বড় পযন্ত। পার্লামেন্ট থেকে ধাপে ধাপে গ্রাম পযায়ে ইউনিয়ন পরিষদে। সুতরাং তারই ধারাবাহিকতায় যে রেজিমের সঙ্গে সম্পৃক্ত নতুন যে যগের সূচনা ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে গণবিপ্লব সাধন করতে চাচ্ছে তারই ধারাবাহিক প্রকাশ এখানে।
”উপস্থিত বা অনুপস্থিত এখানে বড় ফ্যাক্টর না। দু’চার জন তো উপস্থিত আছে।”
সরানো হল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানদেরও
নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগের কয়েক ঘণ্টা পর দেশের ৪৯৪ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যানকেও অপসারণ করা হয়েছে।
সোমবার স্থানীয় সরকার বিভাগ এ সংক্রান্ত আদেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এতে বলা হয়, “উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর ধারা ১৩ঘ প্রয়োগ করে ভাইস চেয়ারম্যান ও সব মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে উপজেলা পরিষদের স্ব স্ব পদ থেকে অপসারণ করা হল।”
সবশেষ নির্বাচনের পর ৪৯৪ উপজেলার সব মিলিয়ে ৯৮৮ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের আদেশে তারা সবাই এখন অপসারিত হলেন।
এর আগে ৪৯৩ উপজেলা চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা হয়। আর খুলনার কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা মারা যাওয়ায় শূন্য ঘোষণা করা হয় তার পদটি।
চেয়ারম্যানশূন্য দেশের ৪৯৫টি উপজেলাতেই সোমবার সংশ্লিষ্ট ইউএনওকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর ভাইস চেয়ারম্যানদেরও সরানো হল।
বিশেষ পরিস্থিতিতে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ এবং প্রশাসক নিয়োগের ক্ষমতা সরকারের হাতে রেখে পৌরসভা, উপজেলা, জেলা ও সিটি করপোরেশনের আইন সংশোধনের আলাদা আলাদা অধ্যাদেশ শনিবার রাতে জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।
‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এ দুইটি নতুন ধারা সন্নিবেশ করা হয়েছে।
এর মধ্যে ১৩ঘ ধারায় রয়েছে বিশেষ পরিস্থিতিতে চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান বা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বা অন্য সদস্যগণকে অপসারণের ক্ষেত্রে সরকারের ক্ষমতা এবং ১৩ঙ ধারায় রয়েছে বিশেষ পরিস্থিতিতে প্রশাসক নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের ক্ষমতা।
বিশেষ পরিস্থিতিতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সদস্যগণের অপসারণের ক্ষেত্রে সরকারের ক্ষমতা শীর্ষক অধ্যাদেশের ১৩ (ঘ) ধারায় বলা হয়েছে, “এই আইনের অন্যান্য বিধানে কিংবা আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার অত্যাবশক বিবেচনা করিলে বা জনস্বার্থে, সকল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান বা অন্যান্য সদস্যগণকে অপসারণ করিতে পারিবে।”
উপজেলা পরিষদের মত রোববারই জেলা পরিষদ ও পৌরসভার ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ নেয় সরকার।
ইউপি চেয়ারম্যানের বিকল্পে প্যানেল চেয়ারম্যান, প্রশাসক
সরকার পতনে পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে অনুপস্থিত রয়েছেন চেয়ারম্যানরা; এ অবস্থায় কাজ চালাতে প্যানেল চেয়ারম্যান কিংবা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এদিন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে অবিলম্বে এটি কার্যকরের কথা জানানো হয়।
এ অবস্থায় স্থানীয় সরকারের এসব অঙ্গপ্রতিষ্ঠানে বিকল্প নেতৃত্ব দিয়ে কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
স্থানীয় সরকারের জারি কার পরিপত্র অনুযায়ী, দেশের যেকোনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে জনসাধারণের সেবাকাজ বিঘ্নিত হলে সেখানে বিভাগীয় কমিশনার বা জেলা প্রশাসকরা নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্যানেল চেয়ারম্যানদেরকে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করবেন।
আর প্যানেল চেয়ারম্যানরাও অনুপস্থিত থাকলে সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অথবা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) এসব ক্ষমতা অর্পণ করবেন।
মেয়রদের সরিয়ে ১২ সিটিতে প্রশাসক যারা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যাপক রদবদলের মধ্যে ঢাকাসহ দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনেই মেয়র সরিয়ে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন করে সরকার।
নির্বাচিত মেয়রদের অপসারণে সংশোধিত স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর ২৫ (ক) ধারা প্রয়োগ করার কথা বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মহ. শের আলী, আর ঢাকা উত্তর সিটিতে নিয়োগ পেয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের মহাপরিচালক মাহমুদুল হাসান।
আর চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের কমিশনারদের দেওয়া হয়েছে ওইসব সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব।
স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালককে (অতিরিক্ত সচিব) কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এবং ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসকরা সিটি করপোরেশনের মেয়রের ক্ষমতা প্রয়োগ এবং দায়িত্ব পালন করবেন। এসব কর্মকর্তারা তাদের দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করবেন, এজন্য তারা বিধি অনুযায়ী দায়িত্ব ভাতা পাবেন। এছাড়া আর আর্থিক বা অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাবেন না।
প্রতিক্রিয়া সাবেক মেয়রদের
রায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীও তার পদ হারিয়েছেন।
অপসারণের পর সোমবার বিকালে আইভী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দল-মত নির্বিশেষে নগরবাসীর সেবা করেছি৷ সিটি মেয়র হিসেবে কখনও কাউকে দলীয় চোখে দেখিনি, নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছি৷
“সবসময় অন্যায়, অত্যাচার, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাহসের সঙ্গে প্রতিবাদ করেছি৷ আগামীতেও আমি একইভাবে নারায়ণগঞ্জবাসীর পাশে থাকব৷”
অপসারণের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত এ জনপ্রতিনিধি বলেন, “এটা তো সরকারের সিদ্ধান্ত, আমার বলার কিছু নাই। সরকারের সিদ্ধান্তকে ওয়েলকাম জানাই।”
সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ গ্রহণ, বিকালে অপসারণ
ইউপি চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে প্যানেল চেয়ারম্যান
এবার সরানো হল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানদেরও
পদ হারিয়ে রংপুর সিটির মেয়র বললেন, 'ওয়েলকাম'