৪৯৪ উপজেলার মোট ৯৮৮ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান অপসারিত হলেন।
Published : 19 Aug 2024, 11:20 PM
নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগের কয়েক ঘণ্টা পর দেশের ৪৯৪ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যানকেও অপসারণ করা হয়েছে।
সোমবার স্থানীয় সরকার বিভাগ এ সংক্রান্ত আদেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এতে বলা হয়, “উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর ধারা ১৩ঘ প্রয়োগ করে ভাইস চেয়ারম্যান ও সব মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে উপজেলা পরিষদের স্ব স্ব পদ থেকে অপসারণ করা হল।”
সবশেষ নির্বাচনের পর ৪৯৪ উপজেলার সব মিলিয়ে ৯৮৮ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের আদেশে তারা সবাই এখন অপসারিত হলেন।
এর আগে ৪৯৩ উপজেলা চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা হয়। আর খুলনার কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা মারা যাওয়ায় শূন্য ঘোষণা করা হয় তার পদটি।
চেয়ারম্যানশূন্য দেশের ৪৯৫টি উপজেলাতেই সোমবার সংশ্লিষ্ট ইউএনওকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর ভাইস চেয়ারম্যানদেরও সরানো হল।
বিশেষ পরিস্থিতিতে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ এবং প্রশাসক নিয়োগের ক্ষমতা সরকারের হাতে রেখে পৌরসভা, উপজেলা, জেলা ও সিটি করপোরেশনের আইন সংশোধনের আলাদা আলাদা অধ্যাদেশ শনিবার রাতে জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।
‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এ দুইটি নতুন ধারা সন্নিবেশ করা হয়েছে।
এর মধ্যে ১৩ঘ ধারায় রয়েছে বিশেষ পরিস্থিতিতে চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান বা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বা অন্য সদস্যগণকে অপসারণের ক্ষেত্রে সরকারের ক্ষমতা এবং ১৩ঙ ধারায় রয়েছে বিশেষ পরিস্থিতিতে প্রশাসক নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের ক্ষমতা।
বিশেষ পরিস্থিতিতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সদস্যগণের অপসারণের ক্ষেত্রে সরকারের ক্ষমতা শীর্ষক অধ্যাদেশের ১৩ (ঘ) ধারায় বলা হয়েছে, “এই আইনের অন্যান্য বিধানে কিংবা আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার অত্যাবশক বিবেচনা করিলে বা জনস্বার্থে, সকল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান বা অন্যান্য সদস্যগণকে অপসারণ করিতে পারিবে।”
উপজেলা পরিষদের মত রোববারই জেলা পরিষদ ও পৌরসভার ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ নেয় সরকার।
গত ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর থেকে জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় আওয়ামী লীগ সমর্থক চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মেয়র, কাউন্সিলররা অনুপস্থিত থাকায় নাগরিক সেবা ব্যাহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-