তিন শপথ গ্রহণ করার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ৪৯৩ উপজেলা চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
Published : 19 Aug 2024, 10:23 PM
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেও পরাজিত প্রার্থীর অভিযোগের কারণে এতদিন শপথ নিতে পারছিলেন না রংপুরের গংগাচড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন সুজন।
আদালতের নিষেধাজ্ঞা শেষে ৬৬ দিন পর সোমবার সকালে শপথ নেন তিনি।
কিন্তু শপথ গ্রহণ করার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে উপসচিব মো. আকবর হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সেই প্রজ্ঞাপনে দেশের ৪৯৩ উপজেলা চেয়ারম্যানকে স্ব স্ব পদ থেকে অপসারণ করা হয়। এর মধ্যে রংপুরের গংগাচড়া উপজেলারও নাম রয়েছে।
গত ২৯ মে তৃতীয় ধাপে গংগাচড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ২৯ হাজার ৪১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন মোকারম হোসেন সুজন। দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি তাকে অব্যাহতি দিয়েছে।
তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনকে ৮৩৩ ভোটে পরাজিত করেন।
গত ৪ জুন প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী ৩ জুলাই তার শপথের দিন ধার্য করা হয়।
কিন্তু ১৩ জুন নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে শপথের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল জেলা যুগ্ম জজ আদালত ১ এ মামলা করেন আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থী রুহুল আমিন।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ জুন শপথের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেন আদালতের বিচারক আব্দুল মালেক।
পরে ১৪ অগাস্ট হাই কোর্ট থেকে নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মোকারম হোসেন সুজনকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে শপথ গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে রোববার রংপুর বিভাগের স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক রিয়াজ উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সোমবার সকালে তার শপথ গ্রহণের দিন ঠিক করা হয়।
সে অনুযায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে সুজনকে নিজ কার্যালয়ের সভাকক্ষে শপথ বাক্য পাঠ করান রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার মো. জাকির হোসেন।
কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টা পর স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে জারি করা সারাদেশের উপজেলা চেয়ারম্যানদের স্ব স্ব পদ থেকে অপসারণের প্রজ্ঞাপনে তার চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালনের স্বপ্ন ভেঙে যায়।
এ বিষয়ে মোকাররম হোসেন সুজন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সরকার যেহেতু সব উপজেলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই এ বিষয়ে আমার প্রতিক্রিয়া নেই। সরকার যা করবে সেটাই আমাকেও মেনে নিতে হবে।”