আগামী ৭ জানুয়ারির ভোটকে সামনে রেখে কবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে নামবে- সেই সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।
Published : 20 Nov 2023, 10:54 PM
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় সাড়ে সাত লাখ নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন করা হবে; তবে তারা কবে মাঠে নামবেন তা এখনও ঠিক হয়নি।
আগামী ৭ জানুয়ারির ভোটকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাঠে নামার এ সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এবার ১১ কোটি ৯৭ লাখ ভোটারের এ নির্বাচনে কত দিনের জন্য আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ও সশস্ত্রবাহিনী নির্বাচনী এলাকায় নিয়োজিত থাকবে এবং সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে কতজন করে সদস্য থাকবেন তা ইসি আলোচনা করে ঠিক করবে; পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করবে।
সোমবার ইসি সচিবালয়ে সংশ্লিষ্ট বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন সম্ভাব্য নিয়োজিত সদস্যের সংখ্যা ও আগাম অর্থ ছাড় নিয়ে আলোচনা হয়।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, বৈঠকে সম্ভাব্য বাজেট নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এবার আনসার সদস্য ৫ লাখ ১৬ হাজার জন, পুলিশ ও র্যাব এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন, কোস্টগার্ড দুই হাজার ৩৫০ জন, বিজিবি ৪৬ হাজার ৮৭৬ জন থাকবেন।
তিনি বলেন, “পার ডে, পার পারসন হিসাবে তাদের চাহিদা ও অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদিত হার অনুযায়ী কত সংখ্যক নিয়োগ হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিছু বরাদ্দ অ্যাডভান্স চেয়েছে, কত দিতে পারব- বরাদ্দ সাপেক্ষে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।”
নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে আসুন, ভোট কারচুপি প্রতিহত করুন: সিইসি
ইসির ঊর্ধ্বতন এ কর্মকর্তা জানান, সশস্ত্র বাহিনীর বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। সশস্ত্রবাহিনী ডেপ্লয় হলে পরবর্তীতে তা যুক্ত হবে। কোন বাহিনী কত দিনের জন্য মোতায়েন হবে সে সিদ্ধান্ত হলে (ইসির সিদ্ধান্তের পর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পরিপত্র জারি করা হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, এবার ভোটার সংখ্যা বাড়ায় কেন্দ্রও বেড়েছে। সেজন্য নিরাপত্তা ব্যয়ও বাড়বে। নির্বাচন পরিচালনা খাতে যেমন ব্যয় তুলনামুলক বেশি হচ্ছে, নিরাপত্তা ব্যয়ও তাই বাড়ছে।
নির্বাচন পরিচালনা ও আইনশৃঙ্খলা খাতে এবার প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা। সাধারণত এর দুই-তৃতীয়াংশই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পেছনে ব্যয় হয়, বাকিটা খরচ হয় নির্বাচন পরিচালনা খাতে।
>> এবার প্রায় সাড়ে সাত লাখ নিরাপত্তা সদস্য থাকবেন, যা একাদশ সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এক লাখ ৩০ হাজার বেশি।
>> দেশের প্রায় ৪২ হাজার ভোটকেন্দ্রের ২ লাখ ৬২ হাজার ভোট কক্ষে এবার প্রায় ১১ কোটি ৯৭ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
>> ৬৬ জন রিটার্নিং অফিসার ও ৫৯২ জন সহকারি রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
>> ৭ জানুয়ারির ভোটের দিনকে সামনে রেখে অন্তত ছয় দিনের জন্য মাঠে থাকবে নিরাপত্তা সদস্যরা।
>> ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে বিজিবি-কোস্টগার্ড ১১দিন, র্যাব-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ৮ দিন, সশস্ত্রবাহিনী ১০ দিন নিয়োজিত ছিল।
>> নির্বাচন চলাকালে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বেসামরিক প্রশাসনকে যথা-প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে ‘এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’ বিধানের অধীনে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয় সবশেষ একাদশ সংসদ নির্বাচনে।
>> সশস্ত্র বাহিনীর কর্মপরিধি এবং কত সময় তারা নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করবে- সে বিষয়গুলো ঠিক হয় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠকে।
>> ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি এবং ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় ৫০ হাজার সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছিল।