র্যাবের বর্তমান ও সাবেক সাত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ জানিয়েছে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
Published : 13 Dec 2021, 09:45 PM
এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, যথাযথভাবে তথ্য যাচাই বাছাই ছাড়াই পুলিশের অভিভাবক আইজিপি বেনজীর আহমেদসহ সাত জন কর্মকর্তার উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এমন আকস্মিক এক তরফা সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য মর্মাহত ও বিব্রত বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত শুক্রবার র্যাবের ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ ঘটনায় এ বাহিনী, এর সাবেক প্রধান, বর্তমান পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদসহ সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। দেশটির অর্থ দপ্তর ও পররাষ্ট্র দপ্তর এ ঘোষণা দেয়।
সোমবার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক গুলশান বিভাগের উপ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের নেতৃত্বে দেশের গণমানুষের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, সন্ত্রাসবাদ দমন, মানবাধিকার সুরক্ষা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ।
“পুলিশের কর্মতৎপরতার কারণে বাংলাদেশে চমৎকার বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশ বিনিয়োগ ও ব্যবসার জন্য বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছে।“
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ, আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমন, সাইবার অপরাধসহ নানা ধরনের অপরাধ দমনে বাংলাদেশ পুলিশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো একযোগে কাজ করে যাচ্ছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, নিজেদের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার আমাদের সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদানসহ নানাভাবে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
“এমন সৌহার্দ্যপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় থাকা অবস্থায় যথাযথভাবে তথ্য যাচাই-বাছাই ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অর্থ দপ্তর ও পররাষ্ট্র দপ্তর কর্তৃক বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি বেনজীর আহমেদসহ সাত কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত।”
“বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ বিরোধী একটি চক্র যারা উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়, বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে বিব্রত করতে চায়, দুই দেশের পারষ্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বাধাগ্রস্ত করতে চায়- তারাই আন্তর্জাতিক লবিস্ট গ্রুপের সহায়তায় ভুল, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য সরবরাহ করেছে,” বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
তারা বাংলাদেশের প্রকৃত অবস্থাকে গোপন করে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাবিত করেছে।
বিবৃতিতে অ্যাসোসিয়েশনের প্রত্যাশা বাংলাদেশ পুলিশের চলমান আন্তঃদেশীয় সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কার্যক্রমকে বেগবান করতে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করবে।