রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ‘কোভিড-১৯ পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে প্রতারণা এবং রোগীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার’ কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. আব্দুল বাতেন।
Published : 16 Jul 2020, 02:35 PM
সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশ দিনের রিমান্ডে পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বাতেন বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালের বেশ কিছু মেশিনপত্র র্যাবের অভিযানের আগেই সরিয়ে ফেলার কথাও বলেছেন।”
সেসব মেশিন দিয়ে কী করা হত, সেগুলো এখন কোথায় রাখা হয়েছে, সে বিষয়েও সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে জানিয়ে এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, “তাকে রিমান্ড আনা হয়েছে, দেখা যাক জিজ্ঞাসাবাদে কী কী বলেন।”
চার মাস আগে বাংলাদেশে নতুন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পরপরেই রিজেন্ট হাসপাতালকে ‘কোভিড ডেডিকেটেড’ হাসপাতালে হিসেবে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার অনুমতি দেয় সরকার।
অভিযানের পর ৭ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানায় প্রতারণার অভিযোগে সাহেদকে এক নম্বর আসামি করে ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে র্যাব। সাহেদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তার ব্যাংক হিসাবও জব্দ করা হয়।
অভিযানের পর থেকে পলাতক সাহেদ বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্তে র্যাবের হাতে ধরা পড়েন। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে নিয়ে আসা হয় ঢাকায়।
র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, কলপে চুল কালো করে বোরাকা পরে নৌকায় করে দেবহাটা সীমান্তবর্তী নদী পেরিয়ে সাহেদ ভারতে পালানোর চেষ্টায় ছিলেন।
আর রিজেন্ট গ্রুপের এমডি মাসুদ পারভেজকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গাজীপুরে কাপাসিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যেই র্যাব সাহেদের সন্ধান পায়।
বুধবার বিকালে উত্তরার র্যাব সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেল র্যাবপ্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, “তিনি (সাহেদ) অনেক কিছু বলেছেন, তবে তদন্তের স্বার্থে তা বলা যাবে না।”
সাহেদ ও মাসুদকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চাওয়া হলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।