স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে সাহেদ-মাসুদকে ডিবিতে হস্তান্তর

জালিয়াতি-প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম এবং এমডি মাসুদ পারভেজকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর পর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে র‌্যাব।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 July 2020, 12:48 PM
Updated : 16 July 2020, 05:23 AM

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে র‌্যাব সদস্যরা তাদের দুজনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান।

“সাহেদের ইসিজি ও বুকের এক্সরে করা হয়েছে। আর মাসুদ পারভেজকে ওষুধ লিখে দেওয়া হয়েছে। চেকআপ শেষে চিকিৎসকের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত সনদ নিয়ে র‌্যাব সদস্যরা সোয়া ৬টার দিকে তাদের নিয়ে চলে যান।”

পরে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আশিক বিল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মেডিকেল চেকআপ করানোর পর আমরা তাদের গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি।”

রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে র‌্যাবের দায়ের করা জালিয়াতির মামলাটি এখন গোয়েন্দা পুলিশই (ডিবি) তদন্ত করছে। সে কারণেই দুই আসামিকে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তবে র‌্যাব ওই মামলার তদন্তের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য নিয়ম অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে বলে আশিক বিল্লাহ জানিয়েছেন।

মহামারীকালে রিজেন্ট হাসপাতালের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির খবর ফাঁসের পর পালিয়ে যাওয়া সাহেদ বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্তে ধরা পড়েন।

পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে এসে উত্তরার র‌্যাব সদর দপ্তরে রাখা হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে সঙ্গে নিয়ে উত্তরায় তার আরেকটি কার্যালয়ে অভিযান চালায় র‌্যাব ।

আর রিজেন্ট গ্রুপের এমডি মাসুদ পারভেজকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গাজীপুরে কাপাসিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যেই র‌্যাব সাহেদের সন্ধান পায়।

বিকালে উত্তরার র‌্যাব সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেল র‌্যাবপ্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, “তিনি (সাহেদ) অনেক কিছু বলেছেন, তবে তদন্তের স্বার্থে তা বলা যাবে না।”

আরও খবর -