সেটা যে সাহেদের চাল ছিল, কেউ বোঝেনি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

করোনাভাইরাস মহামারীর বিস্তারের মধ্যে সংকটময় মুহূর্তে আগ বাড়িয়ে আক্রান্তদের রিজেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসার প্রস্তাব দেওয়াটা যে প্রতারক মোহাম্মদ সাহেদের চাল ছিল তা কেউ ধরতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 July 2020, 09:38 AM
Updated : 15 July 2020, 10:23 AM

কোভিড-১৯ পরীক্ষা না করে সনদ দেওয়া ও অর্থ আত্মসাতসহ নানা অভিযোগে বুধবার সাহেদকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় আনার পর নিজের বাড়িতে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।

তিনি বলেন, “কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য আমরা অনেক হাসপাতাল খোঁজছিলাম। কেউ তখন দিবেন কি দিবেন না- এরকম একটা ভয়ের প্রসঙ্গ এসেছিল সামনে।

“সে (সাহেদ) তখন এগিয়ে এসেছিল, এটা যে একটা তার চাল ছিল; সেটাতো অনেকেই তখন বুঝতে পারিনি। আমিও তার হাসপাতালে ৪/৫ জন রোগী পাঠিয়েছিলাম। এটা আমার এখনও মনে পড়ে।”

সাহেদ সবসময় প্রতারণার ফাঁকফোকর তৈরিতে লেগে থাকত এবং তার জন্য ‘টেলিভিশনের টক-শোতে’ গিয়ে নিজের একটা ব্যক্তিত্ব তৈরি করেছিল বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

“আপনারা এখনই বলবেন, অনেকের সঙ্গে তার ফটো রয়েছে, অনেকের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এই ধরনের … তিনি সব সময় নিয়ে থাকেন এবং এই পর্যন্ত এসেছেন।”

আসাদুজ্জামান খান বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সবাই যখন উদ্বিগ্ন, ঠিক সেই সময় মিথ্যা সার্টিফিকেট দিয়ে যে প্রতারণা সাহেদ করেছেন, তাতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।

“এটা সত্যিই দুঃখজনক এবং আমরা মনে করি, প্রকৃত তদন্তের মাধ্যমে বিচারকের কাছে পাঠিয়ে দিব। তার যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়, সেটাই আমরা ব্যবস্থা করব।”

কোন ‘দুষ্কৃতিকারী’ শেখ হাসিনার আমলে পার পাচ্ছে না দাবি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সেদিন আপনারা (সাংবাদিক) জানতে চেয়েছিলেন সাহেদকে ধরা হবে কি না। আমি জোর দিয়ে বলেছিলাম, যেই হোক তাকে ধরা হবে।”

মহামারীর মধ্যে চিকিৎসার নামে প্রতারণা আর জালিয়াতির মামলায় এক সপ্তাহ ধরে পলাতক রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি পরিচিত আধা-পাকা চুলে কলপ দিয়েছেন ও গোঁফ ছোট করছেন কিন্তু তারপরও ধরা পড়লেন। এখন তিনি র‌্যাবের সদরদপ্তরে রয়েছেন।