কাকরাইলে মা-ছেলে জোড়া খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার গৃহকর্তা আব্দুল করিম ও তার তৃতীয় স্ত্রী শারমিন আক্তার মুক্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়দিন করে হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
Published : 03 Nov 2017, 04:29 PM
ঢাকার মহানগর হাকিম খোরশেদ আলম শুক্রবার তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের এ অনুমতি দেন বলে আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই মোজাম্মেল হোসেন জানান।
কাকরাইলে রাজমনি প্রেক্ষাগৃহের কাছের একটি বাড়িতে বুধবার সন্ধ্যায় খুন হন গ্রোসারি ব্যবসায়ী করিমের প্রথম স্ত্রী শামসুন্নাহার ও তার ছেলে সাজ্জাদুল করিম শাওন। শামসুন্নাহারের বড় দুই ছেলে বিদেশে থাকেন।
মুন্সীগঞ্জের শামসুন্নাহার ব্যবসায়ী করিমের প্রথম স্ত্রী। করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী ফরিদার সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর তিনি চার বছর আগে মুক্তাকে বিয়ে করেন বলে পুলিশ জানায়।
গ্রোসারি ব্যবসা পাশাপাশি এফডিসিকেন্দ্রিক চলচ্চিত্রের প্রযোজনা ও পরিচালনায় যুক্ত করিমের বহুবিবাহের কারণে পারিবারিক জটিলতা থেকে এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশের।
হত্যাকাণ্ডের সময় করিম বাসায় ছিলেন না। তবে ঘটনার দিন রাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানায় নিয়ে যায় রমনা থানা পুলিশ। আর তার তৃতীয় স্ত্রী সিনেমার অভিনয় শিল্পী মুক্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নয়া পল্টনের একটি বাসা থেকে বৃহস্পতিবার সকালে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী মামলা দায়ের করার পর করিম ও মুক্তাকে তাতে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। মামলায় মুক্তার ভাই আল আমিন জনিকেও আসামি করা হয়েছে। তবে তাকে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি।
হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের মাধ্যমে করিম ও মুক্তাকে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে বলে শুক্রবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছিলেন রমনা থানার ওসি কাজী মাইনুল হক।
এসআই মোজাম্মেল হোসেন বলেন, আব্দুল করিম ও শারমিন আক্তার মুক্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে তাদের ছয়দিন করে হেফাজতে নেওয়ার আদেশ দেন বিচারক।
আদালতে রিমাণ্ড বাতিল চেয়ে মেহেদী হাসান নামের একজন আইনজীবী শুনানি করেন।
আসামি এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত নয় দাবি করে শুনানিতে তিনি বলেন, “দোষী মুক্তি পেলেও নির্দোষ যেন শাস্তি না পায়- এটি আইনের স্বতঃসিদ্ধ একটি সিদ্ধান্ত।”
শুনানির সময় করিমকে এজলাসে কাঁদতে দেখা যায়।