শামীমা অন্য মামলায় জামিনে থাকলেও এ মামলায় তাকে পলাতক দেখিয়ে আদালতের কার্যক্রম চলছে।
Published : 02 Mar 2023, 03:15 PM
গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ই-কমার্স কোম্পানি ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত।
ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত বৃহস্পতিবার দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য আগামী ২৯ এপ্রিল দিন ঠিক করে দেন।
রাসেলকে এদিন কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তার পক্ষে আইনজীবী আহসান হাবীব অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। রাসেল কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান।
ইভ্যালি: চমক জাগানো উত্থান, পতন গ্রাহক ডুবিয়ে
ইভ্যালির ব্যবস্থাপনায় পর্ষদ করে দিল আদালত
আর শামীমা এর আগে মামলার নির্ধারিত তারিখে আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। তবে পলাতক দেখিয়ে এ দিন অভিযোগ গঠনের শুনানি করে আদালত, ফলে তার অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করতে পারেননি তার আইনজীবী।
রাসেলের আইনজীবী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কোনো ধারাই এ মামলার অভিযোগের সঙ্গে মেলে না। অভিযোগটি দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪২০ ধারায় আনা যেতো। রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে ঢাকায় প্রায় দুইশ মামলা হয়েছে । সবগুলোই দণ্ডবিধির প্রতারণা ও আত্মসাতের ধারায়। সুতরাং রাসেল অব্যাহতি পেতে পারেন।
এর বিরোধিতা করে বক্তব্য দেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। শুনানি শেষে বিচারক অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বাড্ডা থানায় এ মামলা করেন ইভ্যালির একজন গ্রাহক।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদী ইভ্যালি অ্যাপের মাধ্যমে দুটি অ্যাকাউন্ট খুলে দুই আইডি থেকে ২৮ লাখের বেশি টাকার পণ্য অর্ডার করেন। বিকাশ, নগদ এবং বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা পরিশোধও করেন। অর্ডার করা পণ্য ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও তা সাত মাসে দেওয়া হয়নি।
এজাহারে বলা হয়, এ বিষয়ে ইভ্যালি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে সময় ক্ষেপণ করেন।
ইভ্যালিকে দেওয়া টাকা ফেরত পেলেন ১৪ গ্রাহক
আসামিরা কম দামে পণ্য দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ডিজিটাল মাধ্যমে ‘প্রতারণা করে’ এভাবে দেশের অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক প্রদীপ কুমার দাস।