পরিত্যক্ত মার্কেটে চুটিয়ে ব্যবসা, আরেক দুর্ঘটনার অপেক্ষা?

পাঁচ বছরে অনেকবার উদ্যোগ নিলেও এসব বিপণিবিতান ভাঙা যায়নি।

ওবায়দুর মাসুমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 March 2024, 07:31 PM
Updated : 20 March 2024, 07:31 PM

বড় কোনো অগ্নিকাণ্ড বা দুর্ঘটনা হলেই টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের, ব্যাপক তোড়জোড় চলে কয়েকদিন, এরপর আলোচনা থামলে থেমে যায় তাদের তৎপরতাও।

বছরের পর বছর ধরে এভাবেই চলছে ঢাকার ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিত্যক্ত বিপণিবিতানগুলো; কর্তৃপক্ষের ‘নমনীয়তা’ কিংবা ব্যবসায়ীদের ‘অনীহা বা বাধায়’ সেগুলো ভেঙে ফেলা যায়নি এখনো।

আর ব্যবসায়ীরাও ‘ভুলে গেছে’ মাত্র তিন সপ্তাহ আগের বেইলি রোডের আগুন কিংবা বছরখানেক আগের বঙ্গবাজার ও নিউ মার্কেটের আগুনের ভয়াবহতা। জীর্ণ শরীর নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মার্কেটগুলোতেই দেদারসে ব্যবসা চলছে।

বছরের পর বছর ধরে এসব মার্কেটে ব্যবসা করে আসা ব্যক্তিরা তাদের জায়গাতেই থাকতে চান। কেউ দাবি করছেন, তাদের মার্কেট ঝুকিপূর্ণ নয়। আবার কেউ বলছেন, বিকল্প জায়গা দিলেই সরে যাবেন।

অপরদিকে সিটি করপোরেশন বলছে, ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিত্যক্ত মার্কেটগুলোর বিষয় তাদের কার্যক্রম চলমান। যদিও বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের পর বছর গড়ালেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ৪৩ মার্কেটের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়েছে ২০টিকে। এর মধ্যে আটটি ভবনের অবস্থা ‘অতি নাজুক’। ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ বিবেচনায় সেসব মার্কেট ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল পরিত্যক্তও ঘোষণা করা হয়।

পাঁচ বছরে অনেকবার উদ্যোগ নিলেও এই বিপণিবিতানগুলো এখনো ভাঙা যায়নি। মাঝে গত বছরের ৪ এপ্রিল বঙ্গবাজারের আগুনের পর বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে চিঠি দেওয়া হয়। এরপর একটি মার্কেট ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নিলেও ব্যবসায়ীদের বাধায় সরে আসতে হয়।

এসব বিপণিবিতানের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনাতেও বসেছিল সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। তাতে লাভ হয়নি। ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে এখন কোনো কোনো মার্কেটের ফাটলে প্লাস্টার আর ঘষামাজা করে ব্যবসা চলছে।

ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষিত এসব মার্কেটের বিপদ সম্পর্কে ক্রেতাদের সতর্ক করে কোনো ব্যানার বা সাইনবোর্ড নেই। উল্টো ব্যবসায়ীদের দাবি, এসব মার্কেট ‘ঝুঁকিপূর্ণ নয়’, সিটি করপোরেশন তাদের ‘সরানোর পাঁয়তারা করছে’।

ঝুঁকিপূর্ণ যেসব মার্কেট

  • ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন গুলশান উত্তর কাঁচা মার্কেট, গুলশান দক্ষিণ পাকা মার্কেট, মোহাম্মদপুর কাঁচা বাজারের প্রথম ও দ্বিতীয় তলা, রায়েরবাজার মার্কেট, কারওয়ান বাজার ১ নম্বর মার্কেট, কারওয়ান বাজার ২ নম্বর মার্কেট, কারওয়ান বাজার কাঁচা মার্কেট (কিচেন মার্কেট), কারওয়ান বাজার কাঁচামালের আড়ত মার্কেট ঝুঁকি বিবেচনায় ‘পরিত্যক্ত’ঘোষণা করা হয়েছে।

  • খিলগাঁও তালতলা সুপার মার্কেট, গুলশান উত্তর পাকা মার্কেট, গাবতলীর প্রান্তিক সুপার মার্কেট, মোহাম্মদপুর টাউন হল মিলনায়তন কাম সুপার মার্কেট, মোহাম্মদপুর রিংরোড টিনশেড মার্কেট, মোহাম্মদপুর রিং রোড পাকা মার্কেট, কারওয়ান বাজার মুরগি শেড, কারওয়ান বাজার মৎস্য আড়ত, কারওয়ান বাজার কর্মকার শেড, কারওয়ান বাজার কাঁচা মার্কেটের চারপাশের মার্কেট এবং কলমিলতা মার্কেট আছে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ তালিকায়।

‘জায়গা দিলেই সরে যাব’

পাঁচ বছর আগে পরিত্যক্ত ঘোষিত গুলশান উত্তর কাঁচা মার্কেটের দোতলার ওপর ফ্লোর হয়েছে আরেকটি। ওই ফ্লোরেও বসেছে দোকান। মার্কেট ভবনের গায়ে, বিমে, সিঁড়ির বিভিন্ন অংশে রয়েছে ফাটল। অনেক জায়গায় খসে পড়েছে পলেস্তারা।

মার্কেটটির নিচতলার একটি ক্রোকারিজের দোকানের ওপরের ছাদের বিভিন্ন অংশ খসে পড়েছে। এই দোকানের ব্যবসায়ী বেলায়েত হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মার্কেটের এই অবস্থায়ও ব্যবসা করতে ভয় লাগে না। আমাদের ওপর আল্লাহর রহমত আছে। এ বিল্ডিং ভাঙবে না।

“আমরা শুনছি সিটি করপোরেশন মার্কেট ভেঙে নতুন করে বানাবে। মার্কেট বানানোর সময় আমাদের অন্য কোথাও ব্যবসা করার ব্যবস্থা করে দেবে। জায়গা দিলেই সরে যাব।”

এ মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুল মালেকের ভাষ্য, “সরিয়ে দিলে ভালো হত, কিন্তু সরাচ্ছে না।”

এক প্রশ্নের জবাবে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমাদের কোনো ক্ষমতাই নাই, ওই মার্কেটের মালিক সিটি করপোরেশন। আমরা কমিটিতে আজকে আছি কাল নাই। আমার কী এখানে। যা জিজ্ঞেস করবেন সিটি করপোরেশনকে করুন?”

ঢাকার মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজারও পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে ডিএনসিসি। বুধবার সেখানে গিয়ে দেখা যায়, মার্কেটের ছাদ ও বিমে ফাটল। খসে পড়েছে পলেস্তারা। এই দুরবস্থা আড়াল করতে নিচতলার বিভিন্ন জায়গায় প্লাস্টার করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে সাদা রঙ। একইভাবে ওপর তলায়ও বিভিন্ন জায়গায় প্লাস্টার করা হয়েছে।

মোহাম্মদপুর টাউন হল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কাঁচাবাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. লুৎফুর রহমান বাবুল বলেন, “ওই মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ নয়। পাশের টাউন হল মার্কেটকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করতে গিয়ে পাশাপাশি এই মার্কেটও ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে।

“আমাদের মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ ছিল না। আমাদের মার্কেটকেও তারা ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় ফেলেছে। তারপরও আমরা বলেছি আমাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে।”

ঢাকার বঙ্গবাজারে আগুন লাগার এক মাস পর ২০২৩ সালের ১১ মে কারওয়ান বাজারে কাঁচামালের আড়ত উচ্ছেদ করতে যায় সিটি করপোরেশন। কিন্তু ব্যবসায়ীদের বাধায় উচ্ছেদ না করেই ফিরে আসতে হয়। কারওয়ান বাজারের পরিত্যক্ত ঘোষিত অন্য মার্কেটগুলো উচ্ছেদে আর কোনো অভিযান চালায়নি সিটি করপোরেশন।

কারওয়ান বাজারে উচ্ছেদ অভিযান চেষ্টার এক মাস পর গত বছরের ৮ জুন টিসিবি ভবন মিলনায়তনে কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজার ও মার্কেট স্থানান্তরের জন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে ডিএনসিসি। ওই সভায় কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা ছাড়াও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং মেয়র আতিকুল ইসলাম ছিলেন।

সেদিন ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট থেকে ব্যবসায়ীদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানান মেয়র। তবে ব্যবসায়ীরা কোনো অবস্থাতেই ওই জায়গা ছাড়তে চাননি। সেদিন মেয়রের বক্তব্যের সময় ব্যবসায়ীরা কয়েক দফা হট্টগোলও করেন।

মেয়র আতিক সেদিন বলেন, কারওয়ানবাজারের এসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় নিতে হবে ব্যবসায়ীদেরই।

ওই বৈঠকের পর ব্যবসায়ীরা নিজেদের উদ্যোগে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর বিভিন্ন ফাটল, দেয়ালসহ বিভিন্ন জায়গায় প্লাস্টার ও রঙ করে।

কারওয়ানাবাজার কিচেন মার্কেটসহ পাশের আরেকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন স্থানে ফাটলে করা হয়েছে প্লাস্টার। পুরো মার্কেটে সাদা রঙ করা হয়েছে। বাইরে রঙ করে সাইন বোর্ড টাঙানো হলেও ‘মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ’ লেখা কোনো সাইনবোর্ড নেই।

কারওয়ান বাজার কিচেন মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেনের দাবি, ডিএনসিসির মেয়র, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মালের আড়ত মার্কেট বাদে বাকি তিনটি মার্কেট থাকবে, নয়তো তিনটি মার্কেটকে কারওয়ানবাজারেই একটি কমপ্লেক্সে স্থানান্তর করা হবে- এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। অস্থায়ী মার্কেটগুলো স্থানান্তর নিয়ে কথা হচ্ছে স্থায়ী মার্কেট নয়।

তিনি বলেন, সেদিনের বৈঠকে মেয়র বলেছিলেন, ভবন ধসে পড়লে দায়িত্ব কে নেবে। তখন ব্যবসায়ীরা বলেছিলেন, তাদের মার্কেটের দায়িত্ব তারাই নেবেন। এরপর ব্যবসায়ীরা নিজেদের উদ্যোগে মার্কেটে কিছু সংস্কার কাজ করে নিয়েছে। সিটি করপোরেশন ২০০৯ সাল থেকে এই মার্কেটের কোনো সংস্কার কাজ করে না।

“তারা কোনো কাজ করে না। শুধু হুমকিই দিয়েছে। এজন্য ব্যবসায়ীরা তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে,” বলেন লোকমান।

তার ভাষ্য, “১৯৮৬ সালে বানানো একটি ভবন কীভাবে এত তাড়াতাড়ি পরিত্যক্ত হয়ে যায়। ১২ তলা নকশার ভবন করা হয়েছে তিন তলা পর্যন্ত। এই ব্যর্থতা কার, এই প্রশ্ন কেউ করছে না।

“কিন্তু এই ভবন না। ইনটেনশনালি এইটাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে ব্যবসায়ীদের এখান থেকে সরিয়ে আমলারা তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট উদ্দেশ্য হাসিল করতে চাচ্ছে। কারওয়ানবাজার ঢাকার প্রাণকেন্দ্র, এখানে কেউ যদি একটা ফ্লোর নিতে পারে, একটা অফিস করতে পারে… সেইজন্য এগুলো করছে। আর কিছু না।”

ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটগুলোর বিষয়ে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, “আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে। কয়েকদিন অপেক্ষা করলেই বোঝা যাবে। আমাদের একটা মিটিং আছে। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়কেও ফোন করেছি, বলেছি উনাদের একজন প্রতিনিধি দেওয়ার জন্য।

“গাবতলীতে যে মার্কেট করেছি, সেটা কারওয়ানাবাজারের ব্যবসায়ীদের দেওয়া হবে।”

‘মামু বাড়ির খেলা?’

মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ হলেও তাতে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়াকে ‘ভয়াবহ সংস্কৃতি’ বলছেন স্থপতি ইকবাল হাবিব।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “এভাবে ভয়াবহ দুর্ঘটনার অপেক্ষায় আছে সবাই। একমাত্র ব্যতিক্রম গুলশানের এক নম্বরের একটি মার্কেট। আদালতের রায়ের পর এক মাসের মধ্যে ওই মার্কেটের সবাই সরে গেছে। কিন্তু আদালতের রায়ে রাষ্ট্র চলার কথা নয়।

“তার মানে রাষ্ট্রযন্ত্র তার কতগুলো ইনস্টিটিউশন্স কতগুলো মানুষের হাতে জিম্মি হয়ে যাওয়ার কারণে এখন আদালত কর্তৃক নির্দেশিত হয়ে তৎপরতা চালাতে হয়। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জাজনক। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সিটি করপোরেশনও একটি প্রতিষ্ঠান। এটা কারো কাছে মাথা নত করবে না যখন কোনো ভবন জনগণের জন্য অনিরাপদ ঘোষিত হবে। অতএব এখানে কোনো ধরনের কম্প্রোমাইজ করার সুযোগ নেই। সেটা কারওয়ানবাজার হোক, গুলশান বা বনানী যাই হোক।”

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “ওই ঘটনার পরই সংস্থাগুলোর উচিত ছিল ঢাকার অনিরাপদ ভবনগুলোকে মানুষের জন্য নিরাপদ করার উদ্যোগ নেওয়া। কিন্তু তা করা হয়নি।

“বেইলি রোডের ঘটনার পর বিভিন্ন হোটেলের ম্যানেজার-কর্মীদের গ্রেপ্তার না করে বরং এই ভবনগুলোকে নিরাপদ করার উদ্যোগ বা যতক্ষণ নিরাপদ না হচ্ছে ততক্ষণ ব্যবহারের অনুপযুক্ত ঘোষণা করে সেগুলোকে মানুষের জন্য মৃত্যুকূপ হওয়া থেকে উদ্ধার করার দায়িত্ব ছিল।”

সিটি করপোরেশনের বাইরে গিয়ে ব্যবসায়ীরা নিজেরাই ভবনগুলো মেরামত করছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইকবাল হাবিব বলেন, “রেট্রোফিটিং প্লাস্টারের কাজ না। রেট্রোফিটিং করতে হলে কতগুলো নিয়ম মেনে চলতে হয়। রাজউকের তালিকাভুক্ত প্রকৌশলী, স্থপতি, পরিকল্পনাবিদসহ পেশাদার লোকদের দিয়ে এটা করতে হবে।

“রেট্রোফিটিং করার জন্য অনুমোদন নিতে হয় এবং কাজ করার পর রাজউকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে অকুপেন্সি সার্টিফিকেট নিতে হয়। ‘এটা আমি করে ফেলেছি’…এটা মামু বাড়ির খেলা নাকি!”

পুরনো খবর-

Also Read: ঢাকায় ‘পরিত্যক্ত’ মার্কেটে বাধাহীন ব্যবসা

Also Read: গ্রিন কোজির আগুন গ্যাস সিলিন্ডার থেকে, ধারণা সিআইডির

Also Read: ঢাকার রেস্তোরাঁয় ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ, গ্রেপ্তার ৩৭

Also Read: ঢাকার ৮ মার্কেটের গ্যাস পানি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে চিঠি

Also Read: ঢাকার নিউ সুপার মার্কেটে আগুন, ৩ ঘণ্টা পরও ধোঁয়ায় ঢাকা চারিদিক

Also Read: পুড়ল বঙ্গবাজার: এক আগুনে ছাই হল হাজারো স্বপ্ন

Also Read: কোন কোন বিপণি বিতান ঝুঁকিপূর্ণ, জরিপে নামছে ফায়ার সার্ভিস

Also Read: ঝুঁকিপূর্ণ বিপণি বিতান থেকে ব্যবসায়ীদের সরতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান

Also Read: ঈদের পরে বন্ধ করা হবে ঢাকার কিছু মার্কেট: সালমান এফ রহমান