ঢাকায় ‘পরিত্যক্ত’ মার্কেটে বাধাহীন ব্যবসা

গুলশান উত্তর কাঁচা মার্কেট, গুলশান দক্ষিণ পাকা মার্কেট, মোহাম্মদপুর কাঁচা বাজার, রায়েরবাজার মার্কেট, কারওয়ান বাজার ১ ও ২ নং মার্কেট, কারওয়ান বাজার কিচেন মার্কেট ও কাঁচা মালের আড়ত পরিত্যক্ত বলে ঘোষিত হলেও ব্যবসা চলছে বাধাহীন।

ওবায়দুর মাসুমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 April 2023, 07:22 PM
Updated : 10 April 2023, 07:22 PM

কেবল বঙ্গবাজার নয়, রাজধানীতে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত এমনকি ‘পরিত্যক্ত’ ঘোষিত মার্কেটগুলোতেও ব্যবসা চলছে বছরের পর বছর ধরে।

জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি পাত্তা দিচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা, সরকারি সংস্থাগুলো এবং নগর কর্তৃপক্ষও যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অথচ সংস্থাটির এক বিভাগ থেকে আরেক বিভাগে পাঠানো চিঠিতে এটা স্পষ্ট যে, দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় ভীত তারাও।

বঙ্গবাজারে দুর্ঘটনার পর যোগাযোগ করা হলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে জানানো হয়েছে, ‘পরিত্যক্ত’ এসব মার্কেট ভেঙে ফেলতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঈদের পর থেকে পর্যায়ক্রমে ভাঙার কাজ শুরু হবে। এ জন্য ম্যাজিস্ট্রেটও নিয়োগ করা হয়েছে।

চার বছরে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি নোটিস উপেক্ষা করে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া বঙ্গবাজার ভস্মীভূত হয়েছে পুরোপুরি। গত সপ্তাহের এই ঘটনার পর প্রকাশ পায়, এই মার্কেট ভেঙে বহুতল মার্কেট করার পরিকল্পনা চূড়ান্ত ছিল। তবে ব্যবসায়ীরা হাই কোর্টে গিয়ে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসার কারণে তা আর আগানো যায়নি।

এই ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আক্ষেপ করে বলেছেন, “মার্কেটটি নির্মিত হলে হয়ত এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটত না।”

এরপর খোঁজ নিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানতে পেরেছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৩টি মার্কেটের মধ্যে ২০টিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এর মধ্যে ৮টির ভবনের অবস্থা ‘অতি নাজুক’। ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ বিবেচনায় সেসব মার্কেট ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল পরিত্যক্তও ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এসব মার্কেটে থেমে নেই ব্যবসা।

Also Read: পুড়ল বঙ্গবাজার: এক আগুনে ছাই হল হাজারো স্বপ্ন

Also Read: কোন কোন বিপণি বিতান ঝুঁকিপূর্ণ, জরিপে নামছে ফায়ার সার্ভিস

Also Read: ঝুঁকিপূর্ণ বিপণি বিতান থেকে ব্যবসায়ীদের সরতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান

Also Read: ঈদের পরে বন্ধ করা হবে ঢাকার কিছু মার্কেট: সালমান এফ রহমান

পরিত্যক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটগুলো

  • গুলশান উত্তর কাঁচা মার্কেট, গুলশান দক্ষিণ পাকা মার্কেট, মোহাম্মদপুর কাঁচা বাজারের প্রথম ও দ্বিতীয় তলা, রায়েরবাজার মার্কেট, কারওয়ান বাজার ১ নম্বর মার্কেট, কারওয়ান বাজার ২ নম্বর মার্কেট, কারওয়ান বাজার অস্থায়ী কাঁচা মার্কেট (কিচেন মার্কেট), কারওয়ান বাজার কাঁচা মালের আড়ত মার্কেট ঝুঁকি বিবেচনায় ‘পরিত্যক্ত’ ঘোষণা করা হয়েছে।

  • খিলগাঁও তালতলা সুপার মার্কেট, গুলশান উত্তর পাকা মার্কেট, গাবতলীর প্রান্তিক সুপার মার্কেট, মোহাম্মদপুর টাউন হল মিলনায়তন কাম সুপার মার্কেট, মোহাম্মদপুর রিংরোড টিনশেড মার্কেট, মোহাম্মদপুর রিং রোড পাকা মার্কেট, কারওয়ান বাজার মুরগি শেড, কারওয়ান বাজার মৎস্য আড়ত, কারওয়ান বাজার কর্মকার শেড, কারওয়ান বাজার কাঁচা মার্কেটের চারপাশের মার্কেট এবং কলমিলতা মার্কেট আছে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ তালিকায়।

কংক্রিটের ঢালাই ভেঙে বেরিয়ে গেছে রড

কারওয়ান বাজার কিচেন মার্কেটের বাইরের অংশের দেয়ালে নোনা ধরেছে। অনেক জায়গায় কংক্রিটের ঢালাই ভেঙে ভেতরের রড দেখা যাচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেল, ঝুঁকি নিয়ে তারা খুব উদ্বিগ্ন নন।

আবেদ হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বললেন, “ভয় লাগার কী আছে? আর মার্কেট যদি ঝুঁকিপূর্ণ হয়, তাইলে ভাইঙা ফেলে না ক্যান?”

কারওয়ান বাজার কিচেন মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন বলেন, “পরিত্যক্ত ঘোষণা করা সহজ। কিন্তু এটা যখন পরিত্যক্ত ঘোষণা করবেন তখন কিছু প্রস্তুতি দরকার।

“এই লোকগুলি কোথায় গিয়ে ব্যবসা করবে? আপনি কোথায় তাদের পুনর্বাসন করবেন? সেটাও আপনাকে ভাবতে হবে।”

মার্কেটের দেয়ালে বটগাছ

গুলশান কাঁচাবাজার মার্কেটটি তিন তলা। এই ভবনেরও বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে। অনেক জায়গায় কংক্রিট খুলে রড বেরিয়ে আছে। ফাটলে জন্ম নিয়েছে বটগাছ।

মার্কেটের দ্বিতীয় তলার ব্যবসায়ী আজহারুল ইসলাম বললেন, “লোকজন সিঁড়ি দিয়ে যাওয়ার সময় মার্কেটের মেঝে কেঁপে ওঠে।

“মানুষ যখন উঠানামা করেন, তখন ফ্লোর কেঁপে ওঠে। অনেকদিন ধরে শুনছি ভেঙে নতুন ভবন বানাবে। বড় কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলে কারও হুঁশ হবে না।”

ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও এখানে ব্যবসা করছেন কেন- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “দোকান ছেড়ে যাব কোথায়? এখানেই তো আমাদের রুটিরুজি।”

গুলশান উত্তর ডিএনসিসি কাঁচাবাজার বাজার দোকান মালিক ব্যবসায়ী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল মালেক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মার্কেটের ৭০টি কলামের একটিতেও কোনো ফাটল নেই। তবে ভবনের বাইরের দিকের কিছু অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে।”

তিনি বলেন, “ডিএনসিসি নতুন ভবন করবে, তাতে ব্যবসায়ীদের আপত্তি নেই। কিন্তু ভবন করার সময় তাদের অন্য কোথাও ব্যবসা করার সুযোগ দিতে হবে।

“এই মার্কেট ঘিরে পাঁচ হাজার মানুষের জীবিকা। এজন্য ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করলেও আমরা কোথায় যাব? এটা ভেঙে নতুন ভবন করার কথা বলা হচ্ছে। আমরা বলেছি, আমাদের বসার জায়গা দিয়ে মার্কেট ভেঙে দিক। এতে আমাদের আপত্তি নেই।”

এই ব্যবসায়ী নেতার বলা পুনর্বাসনের প্রশ্নে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগে ব্যবসায়ীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হবে। তাদের পুনর্বাসন এবং যৌক্তিকভাবে ব্যবসা পরিচালনার বিষয়টিও ডিএনসিসি দেখবে।

“যে ভবন কোনোভাবেই নিরাপদ না, ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তো কেউ ক্ষমা করবে না। এজন্য ভবন ভাঙতে হবে এটা যেমন সত্য, তেমনি তাদের পুনর্বাসন করতে হবে, এটাও সত্য। শতভাগ পুনর্বাসন না করতে পারি, তাদের ব্যবসা করার একটা জায়গা করে দেওয়া বা তাদের সঙ্গে বসা এগুলো অবশ্যই পাশাপাশি চলবে। ”

বুয়েটের সুপারিশের পর ১৪ বছর ঘুমিয়ে সিটি করপোরেশন

ভবনটি রেট্রোফিটিং করার জন্য বুয়েটের কারিগরি দল ২০০৯ সালে সুপারিশ করে বলেও জানান কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী নেতা লোকমান। জানান, এরপর ১৪ বছরেও ভবনটিতে কোনো কাজ করেনি সিটি করপোরেশন।

উন্নত দেশগুলোতে রেট্রোফিটিং বহুল প্রচলিত ভবন সংস্কার পদ্ধতি। ডেভেলপার ও বিল্ডিং সার্ভিস কোম্পানিগুলো পুরো স্ট্রাকচার ডিজাইন করা থেকে যাবতীয় সংস্কার ও পরিচর্যামূলক কাজ পরিচালনা করে থাকে। এগুলোর ভেতর বহুতল শপিং মল, ঐতিহ্যবাহী পুরোনো স্থাপনা ও পূর্বপুরুষের স্থাপনার সংখ্যাই বেশি।

সুপারিশ বাস্তবায়ন না করার বিষয়ে লোকমান বলেন, “এই দায়ভার, ব্যর্থতা কি ব্যবসায়ীদের নাকি সিটি করপোরেশনের?”

১৯৮৬ সালে মার্কেট করা হয়েছে জানিয়ে তিনি এও বলেন, “ভবনের বয়স হয়েছে মাত্র ৩৭ বছর। এই ইমারত কীভাবে পরিত্যক্ত হয়? কী ভবন তারা বানাল?”

বুয়েট যখন সুপারিশ করেছিল, সে সময় ঢাকা সিটি করপোরেশন ছিল একটিই। এরপর প্রশাসনিক সুবিধার জন্য ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে ভাগ করা হয়। কিন্তু এই ভাগের আগে বা পরে সুপারিশ বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগই নেওয়া হয়নি।

নগর কর্তৃপক্ষের নথিপত্র বলছে গত চার বছরে ডিএনসিসি সম্পত্তি বিভাগ থেকে প্রকৌশল বিভাগে এ বিষয়ে পাঁচবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে পরিত্যক্ত ঘোষণা করার পর এসব ভবন অবকাঠামোর মূল্য নির্ধারণ এবং নিলাম আয়োজনের তাগাদা দেওয়া হয়।

সবশেষ ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলীর কাছে পাঠানো চিঠিতে তৎকালীন প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক লিখেছিলেন, পরিত্যক্ত মার্কেট ভবন ভেঙে সেখানে আধুনিক বহুতল শপিংমল ও মার্কেট নির্মাণের জন্য প্রকৌশল বিভাগ এবং মার্কেটের স্থায়ী বরাদ্দ গ্রহীতাদের অস্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পরিত্যক্ত মার্কেট ভবনগুলোর অবকাঠামো নিলামে বিক্রয় বা অপসারণের জন্য জরুরি ভিত্তিতে সরকারি মূল্য নির্ধারণের জন্য ৪ বার অনুরোধ করা হলেও মার্কেটের কোনো সরকারি মূল্য পাওয়া যায়নি।

“বিলম্বের কারণে এসব মার্কেটে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সম্পত্তি বিভাগ দায়ী থাকবে না”, এমন কথাও লেখা হয় সেই চিঠিতে।

ডিএনসিসি নিজেই যখন উদ্বিগ্ন, তখন কেন বুয়েটের সুপারিশ মানা হয়নি, এই প্রশ্নে ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একটি ভবন রেট্রোফিটিং করার সময় সেটি খালি করে দিতে হয়। কিন্তু মালিকরা একদিনের জন্যও দোকান বন্ধ করতে চান না। আমরা পিলার করব, জ্যাকেটিং করব, তখন চতুর্দিকে খালি করতে হবে। দুর্ঘটনা ঘটারও আশঙ্কা থাকে।”

মেয়র এও জানান, পরিত্যক্ত ভবনগুলো নিয়ে সবাইকে সতর্ক করতে সেগুলোতে লাল পতাকা লাগিয়ে দিতে বলেছেন তারা। কিন্তু দোকান মালিকরা সতর্কতামূলক কোনো ব্যানার পোস্টার লাগাতে দিচ্ছেন না। তারা চান, ক্রেতারা মার্কেটে যাওয়ার আগে যেন না বোঝে সেটি ঝুঁকিপূর্ণ।

তিনি বলেন, “দ্বিতীয়ত, তারা আমাদের কাছে সময় চেয়েছে ঈদ পর্যন্ত। ঈদের আর বেশি বাকি নেই। কখন ভবনে আগুন লাগবে বা ধসে পড়বে আমরা কেউ তা জানি না। জেদ করলে হবে না, কোর্টে গেলেও হবে না।”

ঈদের পর মার্কেট ভাঙতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পরিত্যক্ত ভবনগুলো ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে ম্যাজিস্ট্রেটও নিয়োগ করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজ শুরু হবে, এটা সম্ভবত ঈদের পর।”

বঙ্গবাজারের পরিণতির পর ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আর বাধা আসবে না বলেও মনে করেন তিনি। বলেন, “আগে বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ীদের আপত্তি থাকলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তারা এখন বুঝতে পারছেন, নতুন ভবন করলে তাদেরই লাভ হবে।”

ঈদের পর কিছু মার্কেট বন্ধ করে দেওয়া হবে, এ কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানও। রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের আলোচনা অনুষ্ঠান ‘ইনসাইড আউট’ এ তিনি বলেন, “আমি মনে করি, ঈদের ঠিক পরে ঢাকার কিছু বিপণি বিতান বন্ধ করে দেওয়া হবে।

“এক বা দুটো বিপণিবিতানকে আমরা মনে করি অনিরাপদ এবং সেখানে আকস্মিক দুর্ঘটনা (ডিজাস্টার) ঘটতে পারে। তাদের বিষয়ে আমাদের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।”

সালমান যেসব স্থাপনার কথা বলছেন, সেগুলো মূলত বিপণি বিতান। তিনি বলেন, “দেশে আমরা তাদের পর্যবেক্ষণ করছি, প্রধানত ঢাকায়, চট্টগ্রামে। যেখানে সরকার মনে করছে যে এই মার্কেটগুলো দুর্ঘটনাপ্রবণ, সেখানে নোটিস দেওয়া হয়েছে এবং দোকানদার ও সমিতিকে বলা হয়েছে, ‘তোমাদের এটা ঠিক করতে হবে’।

“আমি বলছি না যে, আমরা বন্ধ করে দেব। আমরা পরিদর্শনের পর নোটিস দিয়েছি, এখন দেখব তারা প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে কি না।”

কাদের বিষয়ে এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “এখন আমি তাদের নাম বলছি না। কয়েকটি রয়েছে, যাদের সঙ্গে আমরা কথা বলব এবং যদি তারা প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে থাকে আমরা বন্ধ করব।”

ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নিয়ে কী ভাবনা

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রশ্নে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, “ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটগুলো নিয়ে তিনটি বিষয় হতে পারে- রেট্রোফিটিং করা, সেগুলো ভেঙে নতুন মার্কেট করা এবং তাদের স্থানান্তর করা।

“আমাদের জায়গাটা পেতে হবে। সবগুলো উপায় নিয়ে আমরা কাজ করছি। অবশ্যই কোনো না কোনোভাবে এই কাজগুলো করব। কারণ মার্কেট অনিরাপদ রাখা যাবে না, এটা আমরা বুঝে গেছি।”