“সেখানকার পরীক্ষায় এক্সপ্লোসিভ পাওয়া গেছে”, বলেন সিআইডি প্রধান
Published : 07 Mar 2024, 10:02 PM
বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুনের সূত্রপাত গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা সিআইডি।
এই ঘটনায় রমনা থানায় যে মামলা হয়েছে, সেটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে এই সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিআইডি কার্যালয়ে অন্য একটি প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে আসা সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়ার কাছে বেইলি রোডে আগুনের বিষয়ে প্রশ্ন রাখেন সাংবাদিকরা।
জবাবে সিআইডি প্রধান বলেন, তারা ঘটনার পরেই বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছেন। সেগুলোর পরীক্ষা চলছে। দুই একদিনের মধ্যে প্রতিবেদন পাওয়া যাবে।
“তবে আমরা প্রাথমিকভাবে যেটা মনে করেছি সেটা হল, গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই এটার সম্ভাবনা খুবই, খুবই বেশি। তবে রিপোর্ট পাওয়ার পরেই বিস্তারিত বলতে পারব।”
অন্য এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “সেখানকার পরীক্ষায় এক্সপ্লোসিভ পাওয়া গেছে।”
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপ কমিশনার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেছেন, মঙ্গলবার আদেশ পেয়ে মামলার সব নথি সিআইডিকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত ১ মার্চ রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় চার জনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন ভবনটির নিচতলার চা-কফির দোকান ‘চুমুক’র এর মালিক আনোয়ারুল হক, ভবন নির্মাতা আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের স্বত্বাধিকারী (নাম নেই), ভবনটি দেখভালের দায়িত্বে থাকা মুন্সী হামিমুল হক বিপুল এবং দোতলায় কাচ্চি ভাইয়ের মালিক সোহেল সিরাজ।
দুই আসামি আনোয়ারুল ও হামিমুলের পাশাপাশি সন্দেহভাজন হিসেবে চুমুকের অপর মালিক শফিকুর রহমান রিমন এবং কাচ্চি ভাইয়ের বেইলি রোড শাখার কর্মকর্তা জয়নুদ্দিন জিসানকেও গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে দুই দিন জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
রিমান্ড শেষে চারজনকেই কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
শুরুতে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু আনছার। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মামলা এখন আর থানা পুলিশের কাছে নেই। সিআইডিকে নথি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।”