এই চুক্তির আওতায় সর্বশেষ আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ‘ফিফথ ফ্রিডম’ পর্যন্ত পাবে বাংলাদেশ বিমান।
Published : 06 May 2024, 06:23 PM
মধ্য এশিয়ার দেশ উজবেকিস্তানের সঙ্গে প্রায় ২০ বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া বিমান চলাচল আবার শুরু করতে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল সংক্রান্ত চুক্তির খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “এই চুক্তির আওতায় উজেবেকিস্তানের সঙ্গে এখন সরাসরি বিমান চলাচল কার্যক্রম শুরু হবে। ১৯৯৩ সালে একটি চুক্তির মাধ্যমে এই জার্নি শুরু হয়েছিল। তারপর ২০০৫ সালে এটি বন্ধ হয়ে যায়। এখন নতুনভাবে শুরু করার জন্য উজবেকিস্তানের পক্ষ থেকে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে।”
এই চুক্তির আওতায় সর্বশেষ আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ‘ফিফথ ফ্রিডম’ পর্যন্ত পাওয়া যাবে জানিয়ে সচিব বলেন, “আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে একেকটা লেবেল আছে। ফিফথ ফ্রিডম হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশে বিমান নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে থেকে যাত্রী তুলতে পারবে, তারপর উজবেকিস্তান নিয়ে যেতে পারবে। চুক্তিটা এখন আগের চেয়ে অনেক বিস্তৃত হয়েছে।”
এদিন সভায় ‘প্রত্নসম্পদ আইন, ২০২৪’ এর খসড়া উপস্থাপন করার পর কয়েকটি জায়গায় পরিমার্জন করে আবার মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “১৯৮৬ সালের একটি আইনকে পরিবর্তন করে বাংলা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের দেশে যত প্রত্নসম্পদ আছে সেগুলোকে সংজ্ঞায়িত করা, সংরক্ষণ করা, সেগুলোর হস্তান্তর ও নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়গুলো সেখানে আছে। নির্দেশনা অমান্য করলে শাস্তির বিষয়ও আছে। কয়েকটা জায়গায় কারেকশনের জন্য বলা হয়েছে। আবার আনতে বলা হয়েছে।”
‘জাতীয় পরিকল্পনা উন্নয়ন একাডেমি আইন ২০২৪’ এর খসড়া এদিন নীতিগত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়। আগের আইনকে পরিবর্তন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নতুন এই আইন করতে চেয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রিসভায় আলোচনার প্রেক্ষিতে সেটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
২৩ জুলাই জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস পালন করা হয়। এটি ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস ছিল। এটি ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু বৈঠকে আলোচনার পর মন্ত্রণালয় তা প্রত্যাহর করে নিয়েছে।
সুন্দরবনের আগুন নিয়ে আলোচনা
সভায় সুন্দরবনে আগুন লাগার বিষয়ে সর্বশেষ অবস্থা প্রধানমন্ত্রী জানতে চেয়েছিলেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্বশেষ পরিস্থিতি মন্ত্রিসভাকে জানিয়ে বলেন, সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে, শতভাগ নিভে গেছে এমন না, কন্ট্রোল করা গেছে, কর্ডোন করা গেছে, আগামী কয়েক দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
“বনের আগুন কিন্তু স্বাভাবিক আগুন নয়, মনে হয় নিভে গেছে কিন্তু কোনো একটা লতা দিয়ে আগুন অনেক দুর পর্যন্ত চলে যায়, পরে আবার জেগে ওঠে। বনের আগুন নেভানোর পর সাথে সাথে ঘোষণা করা যায় না। এজন্য তারা এখন আগামী কয়েকদিন গভীর পর্যবেক্ষণে রাখবেন।”
সর্বশেষ পরিস্থিতি জেনে প্রধানমন্ত্রী ‘সন্তোষ প্রকাশ করেছেন’ বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।